আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৯বছর মেট্রিক, ১২ বছর বছর বয়সে স্নাতক, ২১ বছর বয়সে মুম্বাই আইআইটির অধ্যাপক।এও সম্ভব, এই অসম্ভব কে সম্ভব করেছেন ভারতীয় ছেলে তথাগত ।

এই দেশটা আমার, আপনার, আপনাদের সবার, আসুন দেশটাকা ভালবাসি।

মাত্র ২১ বছরে তথাগত বিশ্বখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুম্বাই আইআইটির অধ্যাপক। এই খবর ভারতজুড়ে আলোচিত বিষয়। রাস্তার পাশের চায়ের দোকান থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন_ সবখানেই। শুধু তাই নয়, কানাডা ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের অনেক খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় চেয়ার সাজিয়ে তথাগতকে ডাকছে।

যদিও ১২ বছর আগে এই বিস্ময় যুবকের ম্যাট্রিক পরীক্ষায় বসার সুযোগই দিচ্ছিল না স্কুল এবং শিক্ষা বোর্ড। পাশে দাঁড়ান আদালত। সুযোগ করে দেন পরীক্ষায় বসার। দিলি্লর জিন্দাল পাবলিক স্কুলের শিক্ষকরা এবং সিবিআই বোর্ড জানায়, মেধা নয়, বয়সটাই বাধা। এ কথা বাবা তুলসীনারায়ণ প্রসাদ মানতে নারাজ।

কারণ মেধাবী ছেলের বাবা জানেন, বয়স যাই হোক 'পরীক্ষায় ছেলে আমার সবার চেয়ে ভালোই করবে। ' শিক্ষা বোর্ড যখন কোনোভাবেই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেয় না, তখন তথাগতর বাবা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান, বয়স যাই হোক, আমার ছেলে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেবে। উচ্চ আদালত তথাগতর পেছনের পরীক্ষার ফলাফল দেখে পরীক্ষার দুই মাস আগে রায় দেয়, বয়স কোনো বাধা নয়, তথাগতকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হোক। বিপদ যায় তথাগতর। ম্যাট্রিক পরীক্ষায় রেকর্ড পরিমাণ নম্বর পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয় তথাগত।

এরপর ১২ বছর বয়সে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর এবং ২১ বছর বয়সে বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার জটিল বিষয় 'কোয়ান্টাম সার্চ অলগরিদ্ম'-এর ওপর পিএইচডি গবেষণার সফল সমাপ্তি করে তথাগত এখন বিশ্বজুড়ে বিস্ময় প্রতিভা। মা-বাবা এবং তথাগতর বিদেশে পড়াশোনা এবং গবেষণা করার কোনো ইচ্ছা নেই। বাবা তুলসীনারায়ণ জানান, 'বিদেশে গবেষণা করলে দেশের মান বাড়ে না, আমি চাই, আমাদের তথা দেশেই গবেষণা করুক। মান বাড়াক দেশের। ' যোগ্য বাবার যোগ্য সন্তান তুলসীর কথা 'আমি এখন কোয়ান্টাম কম্পিউটার গবেষণায় মন দিতে চাই।

দ্রুত তৈরি করতে চাই কোয়ান্টাম কম্পিউটারের জন্য সফ্টওয়্যার। আশা করছি, দুই থেকে তিন বছরের মধ্যেই তা অবশ্যই পারব। ' জয় হোক তথাগতর। (সংবাদটি আজকের দৈনিক কালের কন্ঠ থেকে নেওয়া)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।