আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেষের অনেক দেরী



"তোমাকে শুধু তোমাকেই চাই,পাবো? পাই বা না পাই এক জীবনে তোমার কাছেই যাবো। ইচ্ছে হলে দেখতে দিও,দেখো। হাত বাড়িয়ে হাত চেয়েছি রাখতে দিও,রেখো। " সাইকোলজিষ্টরা বলেন,খারাপ প্রকতির মানুষের হাতে পড়লে মাথা ঠান্ডা রাখতে হয়। তারা যা বলে তাতেই রাজি হতে হয়।

এবং চেষ্ট করতে হবে কথা বার্তা বলার। তাদের কেউ যদি বলে,আমরা এখন তোমাকে গুলি করে মারবো তখন ভয়ে অস্থির হওয়া চলবে না। ভয় খুব সংক্রামক। তোমার ভয় দেখে সেও ভয় পাবে। হিমির অবস্থা এখন এই রকম।

আমি অধম যেনেও হিমি আমাকে কম দেয়নি। হিমির মন অনেক গভীর এবং স্পশকাতরতা খুব প্রখর। যে কোনো কথা ছাড়াই আমাকে খুব বুঝতে পারে। হিমির মন আকাশের দেবীর মত। অনেকদিন লিখি না।

আজ হিমিকে নিয়ে খুব লিখতে ইচ্ছা করছে। এখন আষাঢ় মাস চলছে। বৃষ্টি নেই। রোদের কি মারাত্নক তাপ কিন্তু আকাশ মেঘে ভরা। অনেকে বলে আমি খুব বেশী রোমান্টি্ক।

আশ্চর্য রোমান্টিক কথাটা কে এরা আজকাল দিব্যি গালি হিসেবেই ব্যাবহার করে। ওদের যুক্তি গুলো এতো খেলো এবং খবুরে কাগুজে যে রীতিমতো হাসি পায় আমার। আমি নাকি রোমান্টিক প্রতিক্রিয়াশীল,হা হা হা Shakespeare এর সেই বিখ্যাত উক্তিটিকে একটু বদলিয়ে বলতে পারি শুধু- In sooth I know not why I am so silent? আকাশে বষ্টির আয়োজন,মেঘের মোহড়া। মনে মনে গান গাই রবীন্দ্রনাথের। ভালো লাগছে সব কিছু।

আর এ ভালো লাগার নেহাত অপ্রয়োজনীয় খবর টুকু লিখতে পেরে ভালো লাগছে। কিন্তু এ ভালো লাগা বেশী ক্ষন থাকে না,ঝরে যায়-মুছে যায় রাইনার মারিয়া বিলকের বর্নিত পাতার মতো। তাই একটা বিষাদ ছেয়ে আসে পরক্ষনে। তবুও হিমি আমার পাশে আছে এটাই বড় কথা। আকাশে মেঘ সরে গেছে,রোদ ফুটে উঠেছে।

কবিতা লেখার মতো সকাল এখন। কিন্তু এখন কবিতার জন্ম সম্ভব না। এই মুর্হুতে হিমির মুখ মনে পড়লো। তাই ইচ্ছা হলো খানিক গল্প করি। টেলিফোনে যোগাযোগ সম্ভব নয় বলেই লিখতে হলো।

হিমির কথা ভাবলেই নিজেকে অপরাধী মনে হয়। চোখ বন্ধ করলেই হিমিকে দেখতে পাই- বিশাল একটা সবুজ পাহাড়ে নীল শাড়ি পরে দাড়িয়ে আছে। হিমির হাসি ভরা মুখটা ঝক মক করছে রোদের আলো পড়ে। আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি। তখন মনে হয় হিমি আমার পাশের ঘরেই আছে।

ডাকলেই সাড়া দিবে। আর তখন স্বংয় রবীন্দ্রনাথ আমার জন্য গান করেন। রবীন্দ্রনাথের গান শুনে আমার চোখ ভিজে উঠে । আর মনে পড়ে হিমির মুখ,হিমির চোখ,হিমির ঠোট,হিমির চুল। হয়তো কক্সবাজারে এখন বষ্টি হচ্ছে।

অর্কিড ফুলের সবুজ পাতা থেকে চুইয়ে চুইয়ে পানি ঝরছে বা দুর থেকে নীলগিরি পাহাড়টা দেখা যাচ্ছে না মেঘের কারনে। খুব দেখতে ইচ্ছা করছে এসব দৃশ্য। মন কেমন করে হিমির কথা ভেবে ভেব। শুয়ে শুয়ে ভাবি কবিতার লাইন,আলসেমি করি-স্বপ্ন দেখি। আমি ঠিক করেছি হিমিকে নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যাবো।

সেখানে বালি নামে খুব সুন্দর একটা দ্বীপ আছে সমুদ্রের কাছে। মনোরম পরিবেশ। আমার প্রিয় কবি টি এস এলিয়েট একটা প্রবন্ধে লিখেছেন- কোনো কবিতা পড়ার সাথে সাথে তার যেটুকু সরাসরি বুঝে ফেলি তার মধ্যে এর প্রকৃত কবিতা নেই। সেটুকুই এর কবিতা যা স্পষ্ট কথা গুলোর আড়ালে -আবডালে বাতাসের ভিতর ঝুলে থাকা কুয়াশার মতো রহস্যময় ভাবে জড়িয়ে থাকে,যার কিছুটা বুঝা যায় কিছুটা বুঝা যায় না। কিছুটা চেনা কিছুটা বোধের বাইরে।

হিমি কে আমার এই রকম'ই মনে হয়। হিমি তোমাকে ধরে রাখবার জন্য আমাদের মধ্যকার বন্ধুত্ব আর ভালোবাসাটার কথা বার বার তোমাকে স্মরন করিয়ে দেওয়া ছাড়া অন্য কোনোও পথ,আর এই পরিপ্রেক্ষিতে খুঁজে পেতাম না। আমি ঠিক মনে করতে পারছি না আমরা কে কাকে আবিষ্কার করেছিলাম!তুমি আমার সব গ্রহনতা কে উন্মোচিত করেছ। আমাদের পরস্পরকে অতিক্রম করার কাজটি যে এখনও চলছে সেটা কি তুমি টের পাও?আমি পাই। মনে হয় প্রতিনিয়ত'ই তো আমরা রাস্তা-ঘাটে,হাঁটে-বাজারে কত মানুষকে অতিক্রম করে যাই,কিন্তু সেটা একবারেই জন্য'ই।

কিন্তু যারা আপনজন এবং সেই আপনজনদের সাথে যদি সময় ও পরিস্থির কারনে বিচ্ছেদও ঘটে তাহলেও তাদের অতিক্রম করার কিংবা ক্রস করার কাজটি আর শেষ হয় না,এই জন্য যে ভালোবাসা কিংবা সম্পর্কের উওাপ শত ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকেও ফিনিক্স পাখির মতো উঠে আসে নিবিড় সৃস্তির ভেতরে। মাঝে মাঝে তোমার কাছ থেকে দীর্ঘ নিশ্চুপতা পেয়ে,আমি মনে মনে ভেবে নিই-তুমি আমার মতো তেমন ভাবে ইমোশনালি ইমব্যালান্সড হও না। আবেগে ভারসাম্যহীন হওয়ার বিষয়টা নারী পুরুষের মধ্যে এক রকমের হয় না বোধ হয়। এনিম্যাল প্লানেট চ্যানেলটা দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। পাহাড় বনভূমি সমুদ্রের তলদেশ,বরফ ঢাকা মাইলকে মাইল সাদা প্রান্তর।

ঝরনা,নিবিড় বন,বৃষ্টি। প্রকৃতি কী যে সুন্দর এই চ্যানেলটা দেখলে তা বোঝা যায়। (চলবে...)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।