অ আ ক খ গ ঙ
আমরা অত্যন্ত বিস্ময়ের সঙ্গে খেয়াল করছি, অক্টোপাস যে ভবিষ্যদ্বাণী করছে তাই সত্য হচ্ছে। কিন্তু এটা কেন হচ্ছে, কী কারণে হচ্ছে? অনেক কারণেই হতে পারে। তবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কারণ খুঁজে বের করেছেন ইকবাল খন্দকার
১. আপনার বাসার কুকুরটি আপনার মতো কথা বলতে পারে না তো কী হয়েছে। সে কিন্তু আপনার কথাবার্তা শুনে এবং আচার-আচরণ শুনে ঠিকই একটা কিছু অনুমান করে ফেলতে পারে। অক্টোপাসের ব্যাপারটাও সে রকমই।
এটাকে যারা খাবার দেয় তারা নিশ্চয়ই আমাদের মতো খেলা নিয়ে আলোচনা করে, কথা কাটাকাটি করে। কোন দল এই মুহূর্তে সবচেয়ে ভালো ফর্মে আছে, সে ব্যাপারেও কথা বলে। ব্যস এটা শুনেই অক্টোপাস যা বোঝার বুঝে ফেলে এবং সে অনুযায়ী ভবিষ্যদ্বাণী করে। আর সেটা ফলেও যায়।
২. অক্টোপাস যে দেশের বক্স থেকে খাবার খায় সেদেশই জেতে।
তবে খাবারটা কিন্তু আকাশ ফুঁড়ে আসে না। মানুষই দেয়। আর যে বা যারা দিচ্ছে তারা কাছ থেকে বিভিন্ন দল দেখে বা দেখছে। তারা বুঝতে পারে কোন দল জিতবে। তারা সে অনুযায়ীই খাবার দেয়।
অর্থাৎ যে দেশ জিতবে বলে মনে করছে সেদেশের বক্সের মধ্যেই সবচেয়ে সুস্বাদু খাবারটা দেয়। বিশেষ করে যে খাবারটা অক্টোপাসদের সবচেয়ে প্রিয়। তখন সেই অক্টোপাস সুস্বাদু খাবারটা মুখে দেয় এবং সেই অনুযায়ীই দল জেতে। মানে সাজানো ব্যাপার-স্যাপার।
৩. এর আগে নাকি দুয়েকবার অক্টোপাসের ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যাও হয়েছে।
তার মানে কী? মানে হল অক্টোপাস যা বলবে তাই যে একেবারে ‘জলজ্যান্ত’ সত্য তা কিন্তু নয়। যদিও সে ‘জলেই’ থাকে। এখন কথা হচ্ছে, জ্যোতিষীদের কথাও কিন্তু কখনও সত্য হয় কখনও অসত্যও হয়। তাই বলছিলাম কি, বানরকে যেমন প্রশিক্ষণ দিলেই যে কাউকে হুবহু অনুকরণ করতে পারে, অক্টোপাসকেও বোধহয় জ্যোতিষ শাস্ত্রের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তাই তার জ্যোতিষগিরি কখনও ফলে কখনও ফলে না।
তবে প্রশিক্ষণটা মনে হয় ভালোভাবে দেয়া হয়েছে তাই বেশিরভাগ সময়ই ফলে।
৪. কেউ যদি আপনাকে বলে আপনার সামনে অনেক বড় বিপদ, আপনার মনোবল কিন্তু এমনিতেই ভেঙে যাবে। আপনি মনের দিক থেকে একদমই জোর পাবেন না। অক্টোপাস তার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী যে দলের বিপক্ষে বলে অর্থাৎ যে দল হারবে বলে জানায় সে দল মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তখন আর তারা ভালো খেলার ক্ষমতা রাখা সত্ত্বেও ভালো খেলতে পারে না।
মূল রহস্য আসলে এটাও হতে পারে। ভালো করে তদন্ত করলে বলা যাবে।
৫. চাকরি করতে গেলে সেখানে অভিজ্ঞতা লাগেই লাগে। তার মানে অভিজ্ঞতার একটা বিশাল দাম আছে। অক্টোপাসের বেলায়ও অভিজ্ঞতা বিশাল কাজ দিয়েছে।
আমাদের কথাটা ক্লিয়ার হল তো? ক্লিয়ার না হলে ক্লিয়ার করছি। বিষয়টা হচ্ছেÑ অক্টোপাস অনেকদিন ধরে ভবিষ্যদ্বাণী করছে তো, তাই তার একটা অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। আর সেই অভিজ্ঞতার আলোকে এখন যা বলে তাই সত্যি হয়ে যায়। আগে অভিজ্ঞতা কম ছিল তো, তাই মাঝে মধ্যে এক-দুটো ভবিষ্যদ্বাণী মিসটিস যেত। ভবিষ্যতে আরও অভিজ্ঞ হবে, আরও কার্যকর কথা বলবে।
৬. জানের ভয় সবারই আছে। সেটা অক্টোপাস হোক আর আপনার আমার মতো মানুষই হোক। উল্টাপাল্টা কোন ভবিষ্যদ্বাণী করবে, আর সেটা সত্য হবে না, তা তো হতে পারে না। মানুষ সেই অক্টোপাসকে ধরে ঠ্যাঙ্গাবে না? তাই অক্টোপাস চেষ্টা করে সবচেয়ে ভালো ভবিষ্যদ্বাণীটা করতে। চেষ্টা করলে কী না হয় বলুন।
এছাড়া আলোচনায় আসার লোভটা তো সবারই থাকে। অক্টোপাসও আলোচনায় আসার লোভে বিশেষ করে ওকে যারা চালায় তারা আলোচনায় আসার লোভে সর্বোচ্চ পারফরমেন্সটা দেখাচ্ছে। আর সেটা ফলেও যাচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।