আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ যখন বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে তখনকার সংবাদ

কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন.....

সময়টা ২০২৬ সাল বিশ্বফুটবলের জমজমাট আসর বসবে দক্ষিন এশিয়ায়। বাছাইপর্বে দক্ষিন এশিয়া থেকে অপরাজিত চ্যাম্পিওন হিসাবে বাংলাদেশ অংশগ্রহন করবে। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করেই বিশ্বকাপ শিরোপা জেতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। তার সঙ্গতঃ কারন আছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের বেশ কিছু টগবগে খেলোয়ার বার্সেলোনা সহ স্পেনিশ লিগে খেলে সুনাম কুড়িয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন বছর সেরা খেলোয়ার এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে অংশ গ্রহন করছেন।

বাংলাদেশ যখন বিশ্ব ফুটবলে পরশক্তি হিসাবে আবির্ভাব হলো এবং ফিফা রেং কিং এ বাংলাদেশ প্রথম স্থান ছুই ছই তখন ফিফা বাংলাদেশ কে একটা কঠিন গ্রুপে ফেললো। বাংলাদেশ যে গ্রুপে খেলছে আর্জন্টিনা , বার্জিল এবং জার্মানী মতো দলের বিপক্ষে প্রথম রাউন্ড অংশগ্রহন করছে। তাতে কোন সমস্যা ছিলো না। সমস্যা হলো তখন , যখন ঐ তিন দেশের ডিপ্লোমেটিক রা বাংলাদেশের তখনকার ফুটবল একাডেমির , এবং সরকারে নীতি নির্ধারনী মহলের সাথে যোগাযোগ শুরু করে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার শুরু করেছে। তাদের ধারনা জন্ম নিয়েছে যে ,এই গ্রুপ থেকেই গোল্ডেন বুট পাওয়ার সম্ভাবনা শুরু হয়েছে।

নীতি নির্ধারনী মহলকে প্রথম আর্জেন্টিনা প্রস্তাব করে যে , তাদের একটা রেকর্ড করা প্রয়োজন বাংলাদেশ যেন ১১-০ তে হেরে যায়। এবং যেহেতু পরবর্তী দল অপেক্ষাকুত দূর্বল জার্মান দলের সাথে বাংলাদেশ অনায়াসে ২০ টি গোলে জিতে যেতে পারে। তাই বিশ্ব ফূটবলে এই ১১ গোলের প্রথম দাবিদার আর্জেন্টিনা হতে চায়। তার বিনিময়ে বাংলাদেশ কে একটা বড় রকমের অর্থ বরাদ্দ দিতে তৈরী আছে। তখন কার দূর্নিতিবাজরা তাতে সম্মতি দিয়ে রাজি হয়ে যায়।

ঘটনা যা ঘটার তাই ঘটে। খেলা শেষ হওয়ার পরক্ষণে জার্মান ডিপ্লোমেটিক রা বাংলাদেশের নীতিনির্ধারনী মহলের সাথে যোগাযোগ শুরু করে দেয়। বলে এই যদি তোমাদের অবস্থা আমাদের আগে বলতে। আমরা তোমাদের ফুটবলের উন্নতির জন্যে যথাসাধ্য চেষ্টা করতাম। এখন আগামী খেলা যেহেতু আমাদের সাথে তাই তোমাদের ২০ গোলে হারতে হবে ।

এবং আগামী ফুটবলের উন্নতির জন্যে কোচ নিয়োগ থেকে শুরু করে নগদ অর্থ সাহায্য বৈধ অনুদান এবং নীতিনীর্ধারনী মহলকে ঘুষ দিতে রাজি হয়ে যায়। এই প্রস্তাবে তখনকার সরকার, ফুটবল একাডেমি রাজী হয়ে যায় । ঘটনা যা ঘটার তাই ঘটলো। বাংলাদেশ হারলো ২০-০ গোলে। তারপর ব্রাজিল এর খেলা তারাও একই কায়দায় বাংলাদেশ কে রাজি করাতে পারলো।

গোলের পরিমান দাড়ালো ৩০-০ সর্বমোট ৬০ টা গোল হজম করে বিশাল অর্থ বৈভব এর মালিক হয়ে একেক জন খেলোয়ার বাংলাদেশে ফিরলেন এবং তাদের এই বিশাল অর্থ সংগ্রহের কারণে সরকারের পক্ষ থেকে একটা গণ সংবর্ধনা দেয়া হলো।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৯ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.