আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশকে ধ্বংসযজ্ঞ হতে বাঁচাতে জামাতের ৩ জানোয়ারকে ছেড়ে দেয়া হোক; তবে তার আগে...

গায়ত্রী এসেছি সূর্যযানে

সতর্কীকরণ: এই পোস্ট সবটা না পড়ে কেউ রেটিং দিবেন না কিংবা কমেন্ট করবেন না। উৎসর্গ: আমার দেশের সাড়ে তিনলক্ষাধিক (এটা সরকারি হিশেব, বেসরকারি হিশেবে প্রায় পাঁচলক্ষ) বীরাঙ্গনা মায়ের যন্ত্রণাদগ্ধ স্মৃতিতে সমর্পিত। ভূমিকা: আমি সংখ্যালঘু এটা আমার ধর্মীয় পরিচয়। কিন্তু সবার আগে মানুষ সত্য এটা আমার বিশ্বাস। তারপরে জাতীয়তা।

বাঙালি হিশেবে দাবী জানানো আমার নাগরিক অধিকার। প্রাককথা: ৭১ সনে যেইসব ধরে ধরে আমার যে সকল মায়েদের সেনাক্যাম্পে রাজাকাররা রেখে আসতো, তারপর তাদের যে ধর্ষণশিবিরে রাখা হতো, ওখানে দেখা যেতো দিনের পর দিন নির্যাতন সহ্য করতে না পরে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে আমার মায়েরা আত্মহত্যা করছে। এর ফলে তাদের কাছ থেকে শাড়ি কেড়ে নেয়া হলো। তারপর দেখা গেলো তার ব্লাউজ ছিঁড়ে দড়ি তৈরি করে তা গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করছে। তারপর তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হলো ব্লাউজ।

তারপর তাদের সম্বল পেটিকোট। কেড়ে নেয়া হলো পেটিকোট। এভাবে একে একে শরীরের সমস্ত কাপড় এবং অন্তর্বাস কেড়ে নেয়ার পর বদ্ধ ঘরে আটকে রেখে তাদের পালাক্রমে ধর্ষণ করা হতো। এবার নিরুপায় হয়ে তারা সর্বশেষ সম্বল মাথার চুলকে হাতিয়ার হিশেবে বেঁচে নিলো। নদীর মতো চুলকে বানালো ফাঁস।

তারা গলায় চুল পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করা শুরু করলো। তারপর আমার মায়েদের মাথার চুল কামিয়ে দেয়া হলো। আর স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত ধর্ষণ চলতে থাকলো। এই অন্যায় সংগঠনে সরাসরি ভূমিকা রেখেছে পাকবাহিনির পাচাটা কুকুরগুলি( সত্যিকার অর্থে যারা কুকুরেরও অধম) যথা: গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুহম্মদ মুজাহিদ, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, আব্দুল কাদের মোল্লা প্রমুখ জানোয়ারপাল। এই অন্যায় এতোদিন মাটি কিভাবে সহ্য করে।

কিংবা তথাকথিত ঈশ্বর। একটি ভূল: বঙ্গবন্ধু মুজিব রাজাকারদের ক্ষমা করেছিলেন। কেননা সচক্ষে তিনি যুদ্ধের হত্যাযজ্ঞ কিংবা এই অন্যায় আর নিষ্ঠুরতা দেখেন নি। এমনকি ২৫শে মার্চ রাতের হত্যাযজ্ঞ আর ধর্ষণও যদি পরদিন তিনি দেখার সুযোগ পেতেন তাহলে রাজাকারদের তিনি ক্ষমা করতেন না। তিনি ভুক্তভোগী ছিলেন না।

যুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তান-জেলখানায় ছিলেন। এই ভুলের মাসুল বাঙালিকে দিতে হচ্ছে ৪৯ বছর ধরে। এই ভুলের সংশোধন হওয়া দরকার। ধ্বংসাত্মক পরিণতির দিকে: জামাতশিবিরের দাদারা আজ সারাদেশে ভাঙচুর করেছে। এটা হুমকি।

কাল তারা হত্যাজ্ঞ চালাবে। ছাত্রলীগ-পুলিশ-শিবির ত্রিমুখী সংঘর্ষে রক্তে প্লাবিত হবে জনপদ। বিচার এবং প্রস্তাব: এইসব জানোয়ারের বিচার আদালতের মাধ্যমে কখন হবে এটা অনিশ্চিত। তাই এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ভিতর নাগিয়ে এইসব জানোয়ারদের বিকলাঙ্গ করে ছেড়ে দেয়া উচিত বলে আমার একতিরিশবছরের জীবনের অভিজ্ঞতা বলে। যেমন ধরেন, পাশ করা ডাক্তার দিয়ে এইসব জানোয়ারের হাতপাগুলি এবং জিহ্বাটা একটা করে কাচের জারে ফর্মালিনে ডুবিয়ে সাথে দিয়ে একটা করে হুইলচেয়ারে সরকারি এ্যামবুলেন্সে যার যার বাসায় পৌছে দেয়া যেতে পারে।

আর তার আগে প্রত্যেকের অণ্ডকোষগুলি কেটে বের করে তার জায়গায় রসুনের কোয়া ভরে দিয়ে ভালোমতো সেলাই দিয়ে খাসি বানিয়ে দিতে হবে। যাতে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মোটাতাজা অবস্থায় কৃতপাপের কথা স্মরণ করে উঠতে বসতে। মৃত্যুদণ্ডে সব শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু বিকলাঙ্গ করে দিলে তারা আমৃত্যু অনুশোচনার যন্ত্রণায় দগ্ধ হবে। আশারাখছি, র‌্যাব কিংবা সেনাবাহিনি যদি এইকাজগুলি ঠিকমতো করতে পারে তবে তাদের অনেক পাপস্খলন হবে। জামাতশিবিরের দাদাদের প্রতি: দাদারা, একবার ভেবে দেখুন আপনাদের প্রত্যেকের মাকে যদি এইসব জানোয়ার ধর্ষন করে পাকিজানোয়ারদের হাতে তুলে দিতো আপনাদের মানসিক অবস্থা কেমন হতো।

আপনাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলার রুচি আমার ছিলো না। যদি আমাকে নিষ্ঠুর, বিকৃত এবং ডাকিনী আখ্যা দেন তাই সামান্য আত্মপক্ষ সমর্থন করলাম। কেননা, আমি জানি একাত্তরে যারা ধর্ষিতা হয়েছে সেইসব বীরাঙ্গনারা আপনাদের কেউ নন। কিন্তু তারা প্রত্যেকেই আমার মা, আমার জন্মদাত্রী। আমাকে নয়মাস নির্যাতনের ভিতর পেটে লালন করেছে।

শেষকথা: এইভাবে জানোয়ারগুলিকে মুক্তি দিলে জামাতশিবিরের দাদারা আর কিছু করবে বলে আমার মনে হয় না। কারণ তারা চায় নেতাদের মুক্তি। এরপর তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে ধর্মীয় কাজ করতে পারবে। একবার ফাঁসি দেয়ার চেয়ে বিকলাঙ্গ করে ছেড়ে দেয়া অনেক মহৎ কাজ হবে বলে আমি মনে করি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।