নিপুণ লেখনীর শানিত গর্জন / লিখব আজ নিপুণ কথন
সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে ঘুরতে বের হওয়া আমার অভ্যাসে দাড়িয়ে গেছে । সেদিন টিএসসিতে গিয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতে পেয়ে বন্ধু অনিন্দ্যকে নিয়ে মিলনায়তনে ঢুকলাম । দেখি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল প্রাপ্তির শতবর্ষ উদযাপন এবং ১৫২ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হচ্ছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে । রবি ঠাকুরের অন্ধ ভক্ত আমি একবার বসে অনুষ্ঠান শেষ না করে আর উঠতে পারলাম না । একসময় মঞ্চ আলোকিত করে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এলেন ।
কোকিল কণ্ঠে মধুর দুটি রবীন্দ্রসঙ্গীত বর্ষিত হল । এতটাই আবেগ এনে দিল সে গান যে চোখে পানি এনে দিল । এরপর মঞ্চস্থ হল নৃত্যনাট্য "শ্যামা" ; মুগ্ধ হয়ে একদৃষ্টে পুরোটা উপভোগ করলাম ।
টিএসসির লাইটিং এবং সাউন্ড সিস্টেমের অনেক উন্নতি হয়েছে । এইতো ২০০৯ এ ঐ মঞ্চে ডিপার্টমেন্টের নবীনবরণের অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি ও নাতকে অভিনয় করেছিলাম ।
তখন অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝে আয়োজন করতে হয়েছিল ।
অনুষ্ঠান শেষে টিএসসির গেম রুমে রবি ঠাকুরের নিজের হাতে আঁকা শিল্পকর্ম দেখলাম । একজন মানুষের এত গুণ কিভাবে থাকে? প্রণাম লও গুরু! জয়তু রবীন্দ্রনাথ! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।