অসুন্দর মানুষের ভাষা হতে পারে না..
{এশা (আয়েশা হুমায়রা) আমাকে বলে, ''ছেলেটা বাড়াবাড়ি করছে। বাবাকে বলে দেবে বলে আমাকে ব্লাকমেইল করছে। }
“মাগো ওরা বলে সবার কথা কেড়ে নেবে-তোমার কোলে শুয়ে গল্প শুনতে দেবে না-বলো মা তাই কি হয়- তাইতো আমার দেরি হচ্ছে-তোমার জন্য কথার ঝুড়ি নিয়ে তবেই না বাড়ি ফিরব- লী মা রাগ করো না - মাত্র তো আর ক’টা দিন। ”
----মাকে শত্রুমুক্ত করার জন্য এক খোকা তার দৃঢ় উচ্চারণে মাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সে প্রতিশ্রুতি সে রেখেছে রক্তের লাল গাঢ় ছোপ ছোপ চিহ্নে এ মাটি ভিজিয়ে।
একি করলে মাগো! নিজ হাতে প্রিয় সন্তানকে হত্যা করলে! এতোটা নির্দ্বিধায়! পারলে? জানো মা তোমার খোকা তোমাকে আর কোনদিন ডাকবে না, মা-মা বলে আর চিৎকার করবে না কোন দিন! তুমি আর ঘুম পাড়িয়ে দেবে না, গান শোনাবে না মা, তোমার হাতে মাখা ভাতের নলাটি তোমার খোকা না খেয়ে আর ঘুমিয়ে পড়বে না।
না হয় খোকা ভুল করে দেখেই ফেলেছিল তোমার নগ্ন বক্ষ ভিন্ন পুরুষের বাহুলগ্ন হতে, তোমার উষ্ণ অধরে অন্য পুরুষের অপবিত্র আলিঙ্গন, না হয় খোকা দেখেই ফেলেছিল তুমি যার বক্ষে নিশ্চিন্তে শুয়েছিলে তা ওর প্রিয়তম পিতা নয় - তোমার লাম্পট্য লোলুপ্য, কামুক তুষ্ণা নিবারণকারী তোমারই কোন এক প্রেমিক প্রবর! না হয় ভুল করে দেখেই ফেলেছিল।
তবু পারলে? পারলে বইকি। কারণ তুমি তো জানতে গানের সে বাণীটি - মায়ের একধার দুধের দাম, কাটিয়া গায়ের চাম, পাপস বানাইলে ঋণের শোধ হবে না . . .। পারলো কি মা, তোমার অই ছোট্ট শিশুটি তার মৃত্যু দিয়ে তোমার দুধের কিঞ্চিত শোধ দিতে?
জানো মা, বিদ্যালয়ে শিক মহাশয় ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’ - ব্লাকবোর্ডে চক ঘষে লিখে দিয়ে বলতো ভাবসম্প্রসারণ করতে।
আমি লিখতাম মা, মায়ের কোল আহা- কি শান্তি, কি নিশ্চয়তা, কি পরম তৃপ্তি।
শ্রদ্ধেয় শিকক্ষ মহাশয়, আপনি কি জানেন, আপনার আধো আধো হাতে ব্লাকবোর্ডে লেখা বাণীটি মিথ্যে, হ্যাঁ, সামিউল তার মৃত্যু দিয়ে প্রমাণ করে গেছে আপনি মিথ্যে লিখেছেন, আপনি মিথ্যেবাদী!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।