গতকাল ইংল্যান্ডকে গোলের বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছে জার্মানী। প্রথম ম্যাচের পর মনে হয়েছিল জার্মানী এবার অনেক দুর যাবে। কিন্তু সার্বিয়ার সাথে হার ও ঘানার সাথে কস্টার্জিত জয় দেখে অনেকেই ভেবেছিল যে জার্মানী বিশ্বকাপ মিশন শেষ হবার পথে। কাল তারা অসাধারন খেলে দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা কাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার। ইংল্যান্ডকে হারানোর পর কোরার্টারে জার্মানীর প্রতিপক্ষ অন্যতম ফেবারিট আর্জেন্টিনা।
এবার এই দুটো দলই সবচেয়ে ভালো খেলেছে।
১ম রাউন্ডের একটি করে খেলা শেষ হবার পর ভালো করে ফিকচার দেখে বুঝলাম যে ২টি দলই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে আর্জেন্টিনা-জার্মানী কোয়ার্টারে মুখোমুখী হয়ে যাবে। সার্বিয়ার সাথে হার ও ঘানার সাথে কস্টার্জিত জয় দেখে অনেকেই কস্ট পেয়েছিলেন অনেকে আবার ভেবেছিলেন যে জার্মান দলের খেলার ধার কমে গেছে কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছিল তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন না হয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হবার চেস্টা করছে। কারন সেই গ্রুপের রানার্সআপ দলটির জন্য সেমির পথ আসলেই সহজ। যাই হোক অবশেষে তারা এক ম্যাচ হেরেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২য় রাউন্ডে উঠেছে।
এবং প্রবল আক্রমনাত্মক খেলে ইংল্যান্ডের বিদায় নিশ্চত করেছে। একন সামনে আর্জেন্টিনা।
এবার আসি আর্জেন্টিনার কথায়। ২য় রাউন্ডে তারা ম্যাক্সিকোকে হারিয়েছে। তবে ২য়অর্ধে আর্জেন্টিনার খেলা আমার কাছে নেগেটিভ মনে হয়েছে।
কারন ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর আর্জেন্টিনা রক্ষনাত্মক খেলা খেলেছে। আসলে আর্জেন্টিনা দলটির এমন অবস্থা যে বল নিজেদের পায়ে না থাকলে তাদের খেলা আউলা-ঝাউলা হয়ে যায়। ফলে রক্ষনাত্মক খেলার চেস্টা করেও তারা ১টি গোল খেয়েছে। আরো গোল খেতে পারতো, তাদের ভাগ্যভালো যে খায়নি।
জার্মানীর সাথে জিততে হলে তাদেরকে আক্রমনাত্মক খেলা খেলতে হবে।
২০০৬তেও জার্মানীর কাছে হেরে আর্জেন্টিনার কাপের মিশন শেষ হয়েছিল। সেবারও আর্জেন্টিনা আগেই ১টি গোল দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল। ২য় অর্ধে তারা রক্ষনাত্মক খেলেছিল। সেটি এতই রক্ষনাত্মক খেলা ছিল যে কোচ স্ট্রইকারদের চেন্জ করে ডিফেন্ডারদেরকে মাঠে ঠেলে দিয়েছিল। সেও ম্যচে কোচ ক্রেসপো ও রিকুইলমেকে পরিবর্তন করেছিল।
ফলে ৮০ মিনিটে যখন জার্মানী একটি গোল দিয়ে ম্যাচে সমতা আনে তখন আর্জেন্টিনা আক্রমনে গেলেও ভালো স্ট্রাইকারের অভাবে গোল করতে পারছিল না। এমনকি ট্রাইব্রকেরে গোল করার মতো ভালো স্ট্রাইকার তখন মাঠে ছিল না। ফলে ক্রেসপো, রিকুইলমেকে, স্যাভিওলাম, ম্যাসিরা সাইড বেন্চে বসে দলের বিদায়ের সাক্ষি হয়েছিল। কোচ ম্যারাডোনাকে মাথার রাখতে হবে যে তার দলটি রক্ষনাত্মক খেলায় পারদর্শী নয়। আর যেই দলে বিশ্বের সেরা ৩-৪ জন স্ট্রাইকার খেলে সেই দলকে রক্ষনাত্মক খেলেতে হবে কেন? আমিতো মনে করি ম্যাক্সিকোর সাথে তাদের ৫টি গোল দয়ে উচিৎ ছিল।
তবে যাই হোক আর্জেন্টনা-জার্মানী ম্যাচে ফাইনালের আগেই ফাইনালে আমেজ থাকবে বলে মনে করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।