যে কোন লড়াই শেষ পর্যন্ত লড়তে পছন্দ করি।
আমার ফুফু মাত্র একজন। তো দাদার মৃত্যুর পর ফুফু এক এক দিন তার বাবার (আমার দাদার) স্মৃতি বিজড়িত এক একটি জিনিষ বের করতেন। তার পর কোন দিন সে গুলো জড়িয়ে ধরে খুব কান্নাকাটি করতেন। আবার কোন দিন হাসি ভরা মুখ নিয়ে চোখে আনন্দের দ্যুত নিয়ে কোন একটা জিনিষ আমাদের দেখিয়ে গর্ব করে বাবার গল্প শোনাতেন।
ফেস বুকে প্রতিদিন সকালে এক এক জন এক একটা জিনিষ বা বিষয় নিয়ে হাজির হন । আমার সত্যিই বুঝতে কষ্ট হয় কোনটা হাসির আর কোনটা কান্নার। বিশেষ করে যখন কারো ছবি ছেপে দিয়ে তাকে মহাপুরুষ ঘোষণা করা হয়।
প্রতিনিয়ত দেখি, যে লোক দেশ, দেশের স্বার্থ বিক্রি করে দিয়েছে, সে কারো মহাপুরুষ রূপে আবির্ভূত। আবার অনেকে প্রকৃত মহাপুরুষ আছেন পুরো বিস্মৃত।
যাকে পছন্দ হয় বা যে উপকার করে দেয় তাকেই লোকে পুরষ্কৃত করে। এটাই নিয়ম। অধিক মাত্রায় খাজনা তুলতে সাহায্য সহায়তা করে বৃটিশ সরকারের বড় উপকার যারা করতো, তাদেরকে "খান বাহাদুর" বা "রায় বাহাদুর" উপাধি প্রদান করা হতো। যেমন ধনীর বাড়ীর চাকর-খানসামাদের পরিধেয় পোষাকের বুকে বড় গোল একটা তকমা লাগানো থাকে। (খান/রায় বাহাদুর বংশের লোকেরা আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন)।
ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়নি, ভূমি পুনরুদ্ধার হয়নি, স্বাধীনতা তারা আজও পায় নি। তাদের নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদি ব্লক করে রাখা হয়েছে। তার পরও মধ্যপ্রচ্যে "শন্তি প্রতিষ্ঠার" জন্য "নোবেল" পুরস্কার পেয়েছেনে ইসরায়েলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ। পশ্চিমা আর ইহুদীরা জানে কেন তাকে তারা সেটা দিয়েছে। এই রকম উপকারের প্রতিদান আরও অনেকেই পায়।
তারাই সব মহাপুরুষ হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।