রাজনৈতিক সংকট নিরসনে এবং আগামীতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া খুঁজে বের করতে দ্রুত সংলাপে বসার তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কয়েকটি দেশের কূটনীতিকেরা।
আজ রোববার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর কানাডার হাইকমিশনার হিদার ক্রডেন সাংবাদিকদের কাছে এই অভিমত ব্যক্ত করেন। বৈঠকে জার্মানির রাষ্ট্রদূত আলব্রেখট কনজে, জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরো সাদোশিমা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেলিগেট প্রধান উইলিয়াম হানা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বিএনপি সহসভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সংকট থেকে উত্তরণে কূটনীতিকরা সরকারের সঙ্গেও আলোচনা করবেন।
হিদার ক্রুডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে বলতে চাই- রাজনৈতিক সহিংসতা পরিহার করুন।
সরকার ও বিরোধীদলের মধ্যে অর্থবহ সংলাপ শুরু করাকে আমরা স্বাগত জানাব। বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক সংলাপই কেবল দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসমুক্ত পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। ’
কানাডার হাইকমিশনার বলেন, গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতা চলছে, তাতে তারা উদ্বিগ্ন। তারা শুনে দূঃখবোধ করেন যখন সহিংসতায় নিহত ও আহত হয়। এরকম অস্থিরতা বাংলাদেশের অর্থনীতি ও জনগণের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে সহিংসতা এর বিরুদ্ধে কোনো জবাব নয়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও তাদের বাড়ি-ঘর-উপাসনালয় ভাঙচুরের ঘটনায় চার রাষ্ট্রদূত গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁরা এ ধরনের পরিবেশ চান না বলে সাংবাদিকদের জানান।
বৈঠকে উপস্থিত শমসের মবিন চৌধুরী পরে সাংবাদিকদের বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সংলাপ ও আগামী নির্বাচন বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।
তারা আশা করেছেন, সংলাপের মাধ্যম একটি সমাধানের পথ বেরিয়ে আসতে পারে। তাদের বক্তব্যের সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা একমত পোষণ করেছেন। বৈঠকের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষী দেশ হিসেবে চার দেশের রাষ্ট্রদূতরা এই উদ্যোগ নিয়েছেন।
শমসের মবিন বলেন, সংলাপ শুরু হলে বিরাজমান অস্থিরতা কেটে যাবে। আগামী নির্বাচন বিষয়ে একটি সমঝোতা হলে আর কোনো সহিংসতা হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার সংলাপের উদ্যোগ নিলে বিএনপি এতে সাড়া দেবে। এটি রাষ্ট্রদূতদের জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন সরকারের কঠোর অবস্থান ও বিরোধী দলের সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা রাষ্ট্রদূতদের জানানো হয়েছে। সংকট উত্তরণে রাষ্ট্রদূতরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে বিরোধী দলীয় নেতাকে জানিয়েছেন।
বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।