মঙ্গলবার ১৪ দলের এক সমাবেশে তিনি বলেছেন, “মানুষের কাছে আপনি ধরা পড়ে গেছেন। নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করবেন না, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করবেন না। তাহলে আপনাকেও যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। ”
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দল এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ ১২টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
গণতন্ত্রে যে কেউ নির্বাচনে আসতে পারে, আবার বর্জন করতে পারে। কিন্তু নির্বাচন বাধা দিতে পারে না। ”
ফাইল ছবি আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, “যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির পাকিস্তান পার্লামেন্টে নিন্দা প্রস্তাবে প্রমাণ হয় জামায়াত পাকিস্তানের দালাল-সৈনিক। ”
ফাইল ছবি
তিনি বলেন, “পাকিস্তানের ব্যাপারে বিএনপি নিশ্চুপ। এতে প্রমাণ হয় তারা পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করছে।
তাদের প্রতি ধিক্কার। ”
হানিফ বলেন, “খালেদা জিয়া অবরোধ ডেকে নিজেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। সন্ত্রাস করে নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না, যুদ্ধাপরাদের বিচার বন্ধ করা যাবে না। ”
১০ম সংসদ নির্বাচনে পুনঃনির্বাচিত হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকরের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
১৪ দলের সমন্বয়ক সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদো চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাথারণ সম্পাদক মোফজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ন্যাপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন।
পাকিস্তানের নিন্দা প্রস্তাবে কোন প্রতিক্রিয়া না দেয়ায় খালেদা জিয়ার সমালোচনা করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
“আপনি কেন স্পষ্ট কথা বলেন না। যখন জানজুয়া মারা যান তখন আপনি শোক জানিয়েছিলেন। এখন আপনি একটি কথাও বললেন না। ”
১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “এতকিছুর পরেও বিরোধী দলীয় নেত্রী পাকিস্তানের প্রেমে মশগুল।
আসলেই সব ভোলা যায়, কিন্তু প্রথম প্রেম ভোলা যায় না। খালেদা জিয়া সেটাই প্রমাণ করেছেন। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।