সবাই মনোযোগ দিয়ে সবটুকু পড়বেনঃ
আমরা মুসলিম হয়ে একজন মুসলিমের ঘরে জন্ম নিলেও কুরআন, হাদীস দ্বীন সম্পর্কে খুব একটা স্পস্ট সঠিক ধারনা আমাদের ছিল না, ডঃজাকির আব্দুল করিম নায়েক যখন সেগুলো আমাদের চোখে ফুটিয়ে তুলতে শুরু করেছেন এবং অন্যান্ন সব ধর্মের ভুল গুলো ধরে কুরআনের সত্যকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন তখন একদল অমুসলিম বিভিন্ন ব্লগে,ফেইসবুকে ডঃজাকির নায়েকের বিরুদ্ধে কটুক্তি ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
এটাই স্বাভাবিক যদি আমি আমার ধর্ম সম্পর্কে একেবারে খুব কমও জানি তারপরেও কেউ যদি আমার ধর্ম সম্পর্কে ভুল কিছু প্রমান করে ধরিয়ে দয়, তখন আমিও তার বিরুদ্ধে কটূক্তি রচনা করার চেষ্টা করতাম, কেননা আমার মাথায় তখন চিন্তা আসত যে আমার বাপ-দাদারা করে গেছে এমন কেউ তখন বলে নি এটা ভুল, আর এখন এরা বলছে ভুল, এটা অসম্ভব এটা আমি মানি না। কিন্তু যদি আমার ধর্ম সম্পর্কে আমার ভাল জ্ঞান থাকত, তবে বুঝতে পারতাম যে আসলেই আমার ধর্মে ভুল আছে, যেটা স্পষ্ট আমার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিত যে এটা কোন মানুষের রচনা। তখন আমি আমার নিজেকে সংশোধন করে নিতাম।
কারন সত্য বিশ্বাস করে অনেক কঠিন।
আর বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের কিছু বোকা বিদআতি মুসলিমও সেই সব অমুসলিমদের সাথে যোগ দিয়েছে। আর তারা যে যুক্তিটা দেখাচ্ছে সেটা হল যে, তিনি একটা অমুসলিম দেশে বাস করে অতচ তিনি তাদের ধর্ম গ্রন্থের ভুল ধরে কিভাবে সেখানে টিকে আছেন এবং তারা আরো বলে যে, তিনি হচ্ছেন ভারত আমেরিকা তথা অমুসলিমদের ব্যবহৃত অস্ত্র তথা তাদের সহায়ক।
আর যারা এমন বলে তাদেরকে আমি একটা প্রশ্ন করছি যে, তিনি কি অমুসলিমদের মুসলিম করতেছেন নাকি ভারত,আমেরিকার মুসলিমদের অমুসলিম করতেছেন ?????????????????
----নিশ্চয়ই, তিনি অমুসলিমদের মুসলিম করতেছেন এবং শান্তির ধর্ম হিসিবে ইসলামের বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। যেখানে পুরো পৃথিবীতে দাড়ি-টুপি মানেই হয়ে গিয়েছিল সন্ত্রাসের প্রতীক, উইরোপ আমেরিকায় দাড়ি-টুপি ধারী কোন লোক গেলেই তাকে আলাদা ভাবে তল্লাশিসহ আরো বিশেষ নজর রাখা হতো তাদের উপর, ডঃ জাকির নায়েক তাদের সেই ভুল গুলো ভেঙ্গে দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন।
তাই সবাইকে বলছি, ব্লগে,ফেইসবুকে তার বিরুদ্ধে অজ্ঞ লেখকধারী শয়তানদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।
কেননা কুরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, “ হে ঈমানদারগণ তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তভুক্ত হয়ে যাও, শয়তানকে অনুসরণ করো না, কেননা সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু ”----সূরা বাকারা(২০৮)
যদি আপনাদের কাছে ডঃজাকির নায়েকের নিয়মনীতি ভাল না লাগে তাহলে সে গুলো এড়িয়ে যান, যে গুলো ভাল লাগে সে গুলো গ্রহণ করুন। এই নিয়ে নবীজির একটা হাদিস পড়ুন,
”আমর(রাঃ) থেকে বর্ণিত, যে একবার নবী(সাঃ) আবুদল্লাহ ইবনে আমর(রাঃ) কে বললেন, হে আবুদল্লাহ ! যখন তুমি নিকৃষ্ট লোকদের সাথে অবস্থান করবে, তখন তোমার অবস্থা কি হবে ?
তাদের অঙ্গীকার পূরণ করা হবে না, আমানতের খিয়ানত করা হবে, তাদের মধ্যে মতৈক্য দেখা দিবে। তখন আবদুল্লাহ(রাঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ, তখন আমি কি করব ? তখন নবী(সাঃ) বললেন, যা তুমি শরীয়ত সম্মত বলে জানো তা গ্রহণ করো আর যা শরীয়ত বিরোধী বলে মনে করবে তা বর্জন করবে। আর তুমি নিজকে নিজে বাঁচাবে, আর সাধারণ লোককে তাদের অবস্থার উপর ছেড়ে দিবে। ” ---- বুখারী শরীফ-১ম খণ্ড(৪৬৪)
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইসলামের সঠিক জ্ঞান অর্জন করার ও তা মেনে চলার তফিক দান করুন।
(আমীন)
পড়ুন কুরআন ও হাদীসের বানী
সবাই ভাল থাকুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।