এভাবেই ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে যায়..
গাঢ় নীল ফ্রকের ভাঁজের আড়ালে সদ্য কৈশরে ওঠা মিতার মুখখানা সূর্যের আলোয় আরো উজ্জ্বল দেখায় । মধ্যাহ্নের তীব্র আলোকরশ্মি ওর গাল বেঁয়ে ছুঁয়ে যায় , মনে হয় আস্ত একটা তরতাজা আপেল । সেই লাল টুকটুকে মেয়েটি ঘাড়ে এক গাদা বইয়ের বোঝা নিয়ে বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে পৌঁছে যায় অংক শিক্ষকের দোর গোড়ায় ।
ঘরের দরজাখানা আধ খোলাই ছিল । ভেতরে উঁকি মারতেই চোখে পড়ে উঠতি কিশোরের উৎসুক চাহনী ।
যে বান্ধবী প্রতিদিনকার সফরসঙ্গী হয় সে আজ অনুপস্হিত । তার প্রতীক্ষায়ই এমন বেলা হয়ে গেল । অংকের শিক্ষক আলতো হাত রাখলেন মাথায় ,”কি হলো,বই খুলে অংক কর ”। বলতে বলতেই মিতাকে জায়গা করে দিলেন ঠিক তার বাঁ পাশে ।
একে একে বিদায় নিল বালককূ’ল ।
অংক শিক্ষক নিজ হাতেই দরজার মুখ বন্ধ করলেন । চোমকে উঠবার মতো বুদ্ধি মিতার তখনো হয়নি । আপন মনেই লিখে যায় (১০+৯/৩-৩এর ৫) অংক শিক্ষক আরো বেশী মনযোগে সরল রেখা টানেন মিতার কেশের গোড়ায় । হাতের আঙ্গুল দিয়ে জ্যামিতিক রেখা কাটেন পিঠের বক্ররেখায় । আস্তে আস্তে সে হাত ৬০ ডিগ্রী কোনে উঠে আসে ওর গ্রীবায় ,আবার নেমে আসে সদ্য প্রস্ফুটিত বক্ষ চূড়ায় , পুনরায় নামতে থাকে নীচের দিকে ।
মিতার সমস্ত শরীর ভয়ে কাঁপতে শুরু করেছে । কিন্তু চিৎকার করবার মতো এক ফোটা শক্তিও নেই ; কারন ওর মুখখানা শিক্ষকের অন্য হাতের তালুতে বাঁধা ।
এর ঠিক দুমাস পর মিতার সাথে আবার আমাদের দেখা হবে কোন এক আজ্ঞাত নার্সিং হোমের অপরিছন্ন বিছানায়।
(কবিতা থেকে সরে এসেছি অনেক আগেই । ছোট গল্প লেখার চেষ্টা করছি।
জানিনা কতদূর পারব । সবাইকে শুভেচ্ছা । )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।