http://www.amarbornomala.com
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটিসহ এর আশেপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় গত মঙ্গলবার রাতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৪৪ সেকেণ্ড স্থায়ী এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। ঢাকা শহর থেকে এক হাজার ১৭২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের আন্দামান সাগরে এর উৎপত্তিস্থল বলে জানিয়েছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। চট্টগ্রাম প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প প্রকৌশল ও গবেষণা কেন্দ্রের সমন্বয়ক প্রফেসর ড.জাহাঙ্গীর আলম রেডিও তেহরানকে বলেছেন, কক্সবাজারের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আট দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্পের সম্ভাবনা আছে, আর এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম মারাত্মক ভূমিকম্প ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তিনি বলেন, আট দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প হলেই চট্টগ্রাম,কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটন স্পটগুলো তলিয়ে যাবে।
ধ্বংসস্তুপে পরিণত হবে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা এক লক্ষ ৪২ হাজার ভবন। তাই চট্টগ্রাম বন্দর, বিমানবন্দর সহ গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর স্থাপনাগুলো ভূমিকম্পের ঝুঁকি থেকে রক্ষার জন্য এখনই সরকারের পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন,এখন আমাদের করণীয় হলো, অতীতে যে সকল বিল্ডিং ভূমিকম্প প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়া তৈরী করা হয়েছে সেগুলোতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরী করা এবং ভবিষ্যতে যে সকল বিল্ডিং তৈরী করা হবে সেগুলোতে যেন অবশ্যই ভূমিকম্প প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ডা জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন,চট্টগ্রাম এলাকার বন্দর,বিমান বন্দর, ইপিজেট, ক্যান্টনমেন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো রয়েছে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে । তাই এখনিই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকম্প নিয়ে কাজ করা এ গবেষক মনে করেন চট্টগ্রামের মহ ঢাকা শহরও প্রায় একই রকম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বিষয়ে সবাইকে মনোযোগ দেয়া দরকার। বিশেষ করে হাউজিং কোম্পানীগুলো আদৌ ভূমিকম্প প্রতিরোধের কোন ব্যবস্থা নিয়ে বিল্ডিং তৈরী করছে কিনা সরকারকে সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।