আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছেন, এখন দেশে আর কোনো ক্রসফায়ার নেই। এটি বন্ধ হয়ে গেছে। লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের ১৫তম বার্ষিক জেলা কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী একথা বলেন। আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে এই কনভেনশনের আয়োজন করা হয়। ক্রসফায়ার নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পর আইনমন্ত্রী এই মন্তব্য করলেন।
অ্যামনেস্টির ওই প্রতিবেদনে ক্রসফায়ার নিয়ে সরকারের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ক্রসফায়ার বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
কিন্তু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে এখনো ক্রসফায়ার অব্যাহত রয়েছে। কেবল আইনমন্ত্রী নয়, সরকারের আরো কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি ক্রসফায়ারের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুন এবং প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু ক্রসফায়ারের পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন।
তবে আইনমন্ত্রী ক্রসফায়ার বন্ধের কথা বললেও প্রায়শই ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটছে দেশে। গত সোমবারেও চরমপন্থি অধ্যুষিত কুষ্টিয়ায় একজন এবং চট্টগ্রামে গোলাগুলিতে আরেকজন সন্ত্রাসী নিহত হয়। আইন-শৃংখলা বাহিনীর বরাত দিয়ে বন্দুকযুদ্ধের ওই খবর প্রকাশিতও হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়েও কথা বলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেবল মানবতাবিরোধী নয়, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও করা হবে।
বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশের নাগরিক এতে জড়িত থাকলে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা হবে।
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে অনেকেই আইওয়াশ বলে প্রচার করছে। কিন্তু তা সত্য নয়। বাজেটে এ জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আগামী বাজেটেও এ ক্ষেত্রে ওই পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে।
এতে প্রমাণিত হয়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।