আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিরাপদে থাকুক সব অন্তসত্ত্বা মায়েরা


একজন স্ত্রী-র গর্ভধারন করা থেকে শুরু হয় তার নতুন জীবন, নতুন উপলব্ধি। তার দেহে-মনে আসে পরিবর্তন। অনুভূতিতে ভিন্নতা। সবাই তার সম্পর্কে, জানে, খোঁজ নেয়। খবর রাখে।

সবচেয়ে কাছের মানুষ তার স্বামী। দুজনার কল্পনা ডালপালা ছড়ায়, পল্লবিত হয়। কতকিছু মনে আসে, ঠাঁই নেয় আলোচনায়। দিনে দিনে, সপ্তাহে, মাসে সময় গড়িয়ে যায়। ফাঁকে ফাঁকে ডাক্তারের কাছে, স্বাস্হ্যকেন্দ্রে, ক্লিনিকে বা হাসপাতালে যাওয়া।

নিয়মমতো টিকা নেয়া। পথ্য খাওয়া। যদি লাগে পরীক্ষা করা। তারপরও দুরু দুরু বুক, অজানা আশঙ্কা! কি জানি কি হয়! সব ভালো তার শেষ ভালো যার। সন্তানের জন্মের মাধ্যমে এই উৎকন্ঠার পরিসমাপ্তি ঘটে।

জন্ম হয় এক মা ও এক বাবার। মা যেমন গর্ভধারিনী তাই মায়ের জন্য চিন্তা থাকে। তার স্বাস্হ্যও থাকে হুমকির মুখে। শিক্ষিত মা কিছু পড়ে, বুঝে, শুনে কিছু সারতে পারেন, যত্নও নিতে পারেন। তার পরিবার পরিজনও তাকে সাহায্য করতে পারে।

কিন্তু কম শিক্ষিত বা অশিক্ষিত পরিবারের মা কি করতে পারে! আছে পারিবারিক নিয়ম কানুন, সুযোগ-সুবিধার ব্যাপার। লজ্জা-সঙ্কোচ, ভুলে যাওয়া, অমনোযোগ, কুসংস্কার ডাক্তার না পাওয়া, পর্দা, যাতায়াতের অসুবিধা আরো কত কিছু! অকালে হারিয়ে যায় কত মা, ঝরে পরে হাজারো শিশু! আজ বিশ্বে নারী স্বাস্হ্য দিবস পালিত হলেও বাংলাদেশে এটি নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। ১৯৮৭ সাল থেকে পালিত। প্রতি বছর ১২ থেকে ১৫ হাজার প্র্সূতি মারা যায়। মাত্র ১৩ শতাংশ নারী প্রসবকালে দক্ষ ধাত্রীসেবা পায়।

১৪% নারী গর্ভাবস্হায় নিজ বাড়ীতে নানাভাবে হয় নির্যাতনের শিকার। এর মাঝেই পরিবার ও জাতিকে অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্মদের উপহার দিয়ে যাচ্ছেন মায়েরা। সব মা্য়েদের জন্য শুভকামনা! ভাল থাক, বেঁচে থাক মা ও কোল জুড়ে শিশু। সমস্ত বাবারা তাদের সুস্হ, হাসিমাখা মুখ দেখে সুখী হোক।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.