জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই
আমার তালতো ভাই কোন দিন উত্তর বঙ্গে যান নি। কোন দিন আমের বাগান দেখেন নি। কোন দিন ধারণা করেন নি, একই সাথে কত আম উৎপাদন হয় একটা বাগানে।
আমি তখন খুব ছোট। হাইস্কুলের দোরগোড়ায় মাত্র।
সেই সময়ের ঘটনা। আমরা গ্রীষ্মের ছুটিতে দিনাজপুরে নানার বাড়ি বেড়াতে গেলাম। সঙ্গে আমার তালতো ভাই। তিনি তখন সদ্য কলেজে পা রাখা টগবগে তরুণ।
তিনি নানা মজা করতে করতে সারা রাস্তা গেলেন।
তারপর দু'দিনের ভ্রমণ শেষে আমরা গিয়ে নামলাম নানা বাড়িতে।
আমার নানা বাড়িতে অনেকগুলি ঘর। আমার তালতো ভাইকে থাকার জন্য বৈঠকখানায় ব্যবস্থা করা হল। সেই ঘরের পাশেই আম রাখার ঘর। ঘর ভর্তি আম।
কয়েক শত মণ আম হবে সেখানে। আমরা ছোট বেলা থেকেই এই ঘরভর্তি আম দেখে অভ্যস্ত । কিন্তু আমার তালতো ভাই ওই ঘরে ঢুকে বোকা হয়ে গেলেন। এত্ত আম !! !
পরের দিন সকাল বেলা থেকে আমাদের তালতো ভাই নিখোঁজ। আমরা মনে করলাম, সম্ভবত বাজারের দিকে গেছে।
কয়েক ঘণ্টা পর নানার চিৎকারে আমরা দৌড়ে গেলাম। গিয়ে দেখি, আমের ঘরের পেছনে আমের খোসার বিশাল স্তুপ। নানা চিৎকার করে জানতে চাইছেন এই খোসার স্তুপ এল কোত্থেকে ?
আমরা কেউ জবাব দিতে পারলাম না। কিন্তু নানা বুঝে ফেললেন। তিনি আমের ঘরের তালা খুলে ঢুকলেন।
ঘরের মধ্যে প্রচুর আম। তিনি ঘরের ভেতর দাঁড়িয়ে হাক দিলেন, কে রে ঘরে ?
কোন সাড়া পাওয়া গেল না। কিন্তু নানা ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। তিনি খুঁজতে শুরু করলেন। অবশেষে আমের স্তপের ভেতরে লুকিয়ে থাকা তালতো ভাইকে কান ধরে বের করে আনলেন ।
সকাল থেকে তালতো ভাই আমের ঘরে লুকিয়ে থেকে আম সাবাড় করে যাচ্ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।