আগামীর স্বপ্নে বিভোর...
সবাই বলেন মানুষকে কাঁদানো সহজ কিন্তু হাসানো কঠিন। আর কঠিন কাজ গুলো আমাকে দিয়ে কখনোই হয়নি আর হবে বলেও মনে হয়না। তারপরও একটা সুযোগ নিলাম দেখি হাসাতে পারি কিনা। জোকসগুলো পড়ে আমি এখনো খুব হাসি।
১.
এক দম্পতি এসেছে ডাক্তারের কাছে।
স্বামীটা বেশ বয়স্ক কিন্তু স্ত্রী তরুনী। তাদের সমস্যা হলো বাচ্চা হচ্ছে না। ডাক্তার স্ত্রীর কিছু পরীক্ষা করলেন। স্বামীটিকে বললেন আপনার স্পার্ম টেস্ট করতে হবে। তাকে একটা specimen cup দেয়া হলো।
বলা হলো কাপটাতে স্পার্ম(বীর্য) নিয়ে আসবেন।
পরদিন লোকটা খালি কাপ নিয়ে এসেছে।
ডাক্তার বলল, কাপ খালি কেনো ?
-বাসায় গিয়ে বাম হাতে অনেক চেষ্টা করলাম। পারলাম না। পরে মনে হলো ডান হাতে চেষ্টা করি।
সেই হাতেও হলো না।
-এটা হতে পারে...আপনার বয়স ত আর কম হয় নাই। তা সাহায্য করার জন্য বউকে ডাকতে পারতেন।
-বউকে ডাকছি ত। সে হাত দিয়ে চেষ্টা করল ...হলো না...মুখ দিয়ে চেষ্টা করল ...হলো না...
- হয়।
মাঝে মাঝে এমন হয়। তা অন্য কাউকে ডাকতে পারতেন।
-ডাকছি ত। বউয়ের বান্ধবীকে ডাকছি।
-বউয়ের বান্ধবী ???
-সেও চেষ্টা করে পারল না।
-পারল না ?? ডাক্তারের ভ্রু কুচকে গেছে।
-এরপর বউয়ের বন্ধু এলো। সেও চেষ্টা করল... পারল না।
ডাক্তার অবাক- বলেন কি ? আপনার বউয়ের দোস্ত ??একটা ছেলে ??
-তবে আর বলছি কি ? যাক, সারা রাতে পারলাম না। সকালে হাসপাতালে এলাম।
হাসপাতালে এসে নার্সকে বললাম সাহায্য করতে।
- আমার নার্সকে ?
-হ্যা। সেও চেষ্টা করল। পারে নাই।
-আপনি ত দেখি সবাইকে দিয়ে চেষ্টা করছেন।
-তা করছি। তবে আপনি বাকি আছেন।
-আআআআমি ??? ডাক্তার তোতলাচ্ছে...
-হ্যা। দেখেন ত চেষ্টা করে কাপটার ঢাকনাটা খুলতে পারেন কিনা ?
২.
স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্ত্রী তার পুরানো প্রেমিকের সাথে বসে গল্প করছিল। এমন সময় হঠাৎ স্বামী এসে পড়লে প্রেমিক আলমারির পিছনে লুকিয়ে গেল।
ঘরের মেঝেতে চুরুট পড়ে থাকতে দেখে স্বামী রেগে গেল |বলে উঠল,এই চুরুট কোথা থেকে এসেছে ? স্ত্রী কিছু বলতে পারল না দেখে স্বামী আরো রেগে গেল। স্বামী বলল তোমাকে বলতেই হবে এই চুরুট কোথাকার ? প্রেমিক বন্ধুটি সহ্য করতে না পেরে আলমারির পিছন থেকে বের হয়ে বলল,ও তো মেয়ে মানুষ ,ও কি করে জানবে এই চুরুট কোথাকার ? আপনি পুরুষ মানুষ হয়ে ও চিনতে পারছেন না যে এই চুরুট আমেরিকার ?
৩.
প্রেমিকাঃ তুমি কি আমায় ভালোবাস ?
প্রেমিকঃ বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা করো ?
প্রেমিকাঃ ধরো তোমার সার্টের পকেটে মাত্র বিশ টাকা আছে, তা থেকে আমি পনের টাকা চাইলাম, তুমি দিতে পারবে ?
জরুরি টাকাটায় প্রেমিকা চোখ পরেছে দেখে, বিব্রত প্রেমিক নিজেকে সামলে নিয়ে বললো, কেনো পারবো না, একশবার পারবো। তবে পরীক্ষা তারিখটা একটু পিছানো যায় না।
৪.
ক্রেতা : এগুলো কার ডিম ?
বিক্রেতা : আমার ডিম।
ক্রেতা : আমি মনে করেছিলাম মুরগির ডিম।
৫.
গৃহকর্তাঃ হায়,হায়, পাঁচশো বছরের পুরোন ফুলদানিটা ভেঙে ফেললেন ?
অতিথিঃ যাক বাবা বাঁচা গেল, আমি ভেবেছিলাম জিনিষটা নতুন বুঝি।
আরো জোকস পড়তে আমার আগের পোষ্টগুলো দেখুন অথবা
এই খানে ক্লিক করুন
ফেসবুক থেকে জোকস পড়ুন
এইখানে ক্লিক করে...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।