সভ্যতার প্রান্তে দাঁড়িয়ে পিছু ফিরে চলেছি
২০০৫ কিংবা ওই সময়ে দৈনিক ইত্তেফাকে একটা সাড়া জাগানো সংবাদ আসতো 'আমরা কি খাচ্ছি?' শিরোনামে। এই শিরোনামের অন্দরে থাকত বিভিন্ন খাদ্যভান্ডারে রোকনদ্দৌলা সাহেবের সব দু:সাহসিক অভিযান এবং আমরা যা খাচ্ছি তার সচিত্র বর্ননা। আমরা এখন অনেক ভালো খাই তাই ঐ শিরোনামে এখন আর কোন নিউজ হয়না, রোকনদ্দৌলা সাহেব ও মনে হয় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
তার ওই অভিযানের সুফল জাতি পেতে শুরু করেছে বিলক্ষন। আমরা এখন অনেক ভালো খাই দাই।
মন মেজাজ ভালো থাকছে, হ্রদয় আদ্র থাকছে, ভালোবাসা চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে। রাস্তাঘাটে, জলে স্থলে, অন্তরীক্ষে আমরা ভালোবাসার বন্যায় সব অন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছি। ভালোবাসার এই বন্যায় আবার স্বাভাবিক বন্যার ন্যায় কিছু বানভাসী দেখা যাচ্ছে, কেউ কেউ পরপারেও পাড়ি জমাচ্ছে।
এই ভালোবাসার বন্যায় পানির বদলে আছে কথা। স্রোতের বদলে আছে মানসিক যন্ত্রনা।
আর আষাঢ় মাসের নবযৌবন পাওয়া গাঙ্গের বদলে আছে নবযৌবন প্রাপ্ত রোমিওরা [!!!]। প্রেমিককুলের কথার স্ত্রোতে সৃষ্ট এই তীব্র বন্যায় অনেকেই ইতিমধ্যো মৃত্যবরন করেছেন, অনেকে ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েও কুল দেখতে পারছেন না, আর কোন পুর্ভাভাস ছাড়াই আশঙ্কা করা হচ্ছে আগামিতে মৃত্যুর সংখ্যা বোধহয় আরো বাড়বে।
সদা সচেতন কর্তিপক্ষ আর চুপ নেই। তারাও তৈরি হচ্ছেন। যেহেতু আমারা গরীব দেশ তাই বন্যা তো রোধ করা যাবেনা, কিন্তু মানবিক বিপর্যয় যেন কম হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তারা কৌশল প্রস্তুত করছেন।
আর দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের সাফল্যর কথা তো কারো অজানা নেই। তার ই প্রথম পদক্ষেপ আজ মহাসমারোহে উদ্বোধন করা হল। বাচ্চা লোক তালিয়া বাজাও। ।
=======
কুবি ছাত্রী হলের পাখা অপসারণ
ছাত্রীরা আত্মহত্যা করতে পারে- এ আশঙ্কায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল থেকে সব পাখা খুলে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আগে না জানিয়ে সোমবার সকালে পাখা খুলে নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হলের ছাত্রীরা। তারা জানায়, প্রচণ্ড গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে হল প্রভোস্ট মাসুদা কামাল সাংবাদিকদের জানান, হলে সিলিং ফ্যান থাকলে ছাত্রীদের আত্মহত্যা করার আশঙ্কা থাকে। স�প্রতি এক ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। সাবধানতার জন্য পাখাগুলো খুলে ফেলা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, হলে সাধারণত পাখা দেওয়া হয় না। নির্মাণের সময় প্রকৌশলীরা ভুল করে ফ্যান দিয়েছে। ছাত্রীরা জানায়, সকালে একদল মিস্ত্রি পাখা খুলে নেওয়ার কাজ শুরু করে। বিষয়টি জানতে চাইলে তারা জানান প্রশাসনের নির্দেশে পাখা খুলে নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে ছাত্রীরা হল প্রভোস্টের কাছে গেলেও কোনো সুরাহা হয়নি।
কুমিল্লার কোর্টবাড়ি এলাকায় কুমিল্লায় বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালের মে মাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য দুটি ও ছাত্রীদের জন্য একটি হল রয়েছে।
=======
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্যার হাত থেকে বিপর্যয় ঠেকাতে যে কৌশল নিয়েছেন তা ইতিহাসে কোন কিছুর অক্ষরে নিশ্চয়ই লেখা থাকবে। আশা করছি এই পদ্ধতি শীঘ্রই দেশের সব ক্যাম্পাস, বাড়ি ঘরে ছড়িয়ে যাক। দেশের আঙ্গিনা থেকে বেড়িয়ে দেশের বাইরেও রপ্তানী হোক।
বিশ্ববাসী দেখুক, আমরাও পারি। ওরস্যালাইন আবিস্কারের পর এটাই মনে হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে আবিস্কার।
সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।