জিনগত কারণেই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে গড়ে ১৬ হাজার ফুট উপরে প্রায় বায়ুহীন আবহাওয়ায় তিব্বতিরা স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করতে পারেন। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা দুটি জিন আবিষ্কার করেছেন, যেগুলো অতিরিক্ত উচ্চতায় কম বায়ুর মধ্যে তিব্বতিদের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সাহায্য করে। ‘পৃথিবীর ছাদ’ খ্যাত তিব্বত বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু এলাকা। শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েকজন চীনা ও আমেরিকান বিশেষজ্ঞ পরস্পরের আত্মীয় নন এমন ৩১ জন তিব্বতির জিনের নমুনা সংগ্রহ করেন। এই নমুনা পরে সমতলে বসবাস করেন এমন ৯০ জন চীনা ও জাপানির জিনের নমুনার সঙ্গে তুলনা করা হয়।
ইউনিভার্সিটি অব ইউটাহ স্কুল অব মেডিসিনের একলিস ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান জেনেটিকসের গবেষক জিনচুয়ান জিং বলেন, তাদের ২২টি ক্রোমোজোমে ইজিএলএন১ এবং পিপিএআরএ নামে দুটি জিন পাওয়া গেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অতিরিক্ত উচ্চতায় শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার ক্ষেত্রে এই দুটি জিনের ভূমিকা পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। তবে সম্ভবত এদের কারণে রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘনত্ব কমে আসে।
তিব্বতিদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ লক্ষণীয় মাত্রায় কম। এর ফলে তারা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অত্যন্ত উঁচুতেও স্বাস্থ্যবান ও বলিষ্ঠ দেহের অধিকারী হয়ে থাকে।
তবে বিশেষজ্ঞরা জিনের মধ্যেই এর মূল কারণ খুঁজে পেয়েছেন।
নিচু অর্থাত্ সমতলে বাস করে এমন পর্যটকরা তিব্বতে বেড়াতে গেলে অক্সিজেনের অভাবে তাদের বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা দেখা দেয়, যা পরে হৃিপণ্ড ও মস্তিষ্কে মারাত্মক প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।
জিং বলেন, অনুমান করা যায় এ ধরনের নেতিবাচক উপসর্গগুলো প্রতিরোধ করার জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কৌশল তৈরি করে নিয়েছে তিব্বতিরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।