বুখারি মুস্লিম নাকি হাদিস বানাইছেন, আর সেই হাদিসে নামাজ রোজার আহকাম নাকি পার্সিয়ান্দের কথামতো বানানি হইসে। ইঙ্গিতটা হইলো এখন আম্রা যেই নামাজ কালাম রোজা হজ্ব জাকাত করি, সেইটা আসলে পার্সিযান্দের ফলোয়িং কর্তেছি আম্রা। তো, ঠিকাছে,
আসেন আগে তখন্কার কয়েকজন ইস্লামিক স্কলারদের জন্ম-মৃত্যুর হিসাবটা নেই:
১. ইমাম মালিক: জন্ম: ৯৩ হি., মৃত্যু: ১৭৯ হি.
২. ইমাম আবু হানিফা:জন্ম: ৮০ হি., মৃত্যু: ১৪৮ হি.
৩. ইমাম হাম্বল: জন্ম: ১৬৪ হি., মৃত্যু: ২৪১ হি.
৪. ইমাম বুখারি: জন্ম: ১৯৪ হি., মৃত্যু: ২৫৬ হি.
৫. ইমাম মুসলিম: জন্ম: ২০২ হি., মৃত্যু: ২৬১ হি.
দেখা যাইতেছে, হানাফী মাজহাব এবং মালিকী মাজহাবের মূল ব্যক্তি যথাক্রমে ইমাম আবু হানিফা এবং ইমাম মালিক তাদের লাইফটাইমে বুখারি সাহেব কিংবা মুসলিম সাহেবের দেখাই পান্নাই পৃথিবীতে। সেই বুখারি সাহেব/মুসলিম সাহেবের হাদিস অনুসারে মাজহাব বানানি তো বহুত দূরের কথা।
এখন, হানাফী/মালিকী মাজহাবের অনুসারী মুসলমানরা যে নামাজ রোজা হজ্ব জাকাত পালন করে, তার আহকাম তারা (অধিকাংশ মুসলমান) সরাসরি গ্রহণ করে হানাফী/মালিকী মাজহাব থেকে।
সুতরাং, এইখানে বুখারী/মুসলিম সাহেবের হাদিস গ্রন্থের (অখবা সিহা সিত্তার বাকী গ্রন্থগুলির) ভূমিকা কী???তাদের-কে নির্বিচার গালি দেবার আসল কারণ টাই বা কী???
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।