আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দিনাজপুরে দুই দিন

গলাবাজ আর সত্যিকারের লেখক এই ব্লগে টিকে থাকে, আমি কোনটাই না

বেড়ানোর ইচ্ছা আর আলসেমি যখন একই সাথে বিদ্যমান থাকে, তখন অনেক জায়গাতেই আর যাওয়া হয়ে ওঠেনা। এর ভিতরে কোন কোন সময় অনুরোধে ঢেকি গিলে চমৎকার বেড়ানো হয়ে যায়। ঠিক সেরকমই হয়েছিলো এ বছর জানুয়ারীর শেষের দিকে। হঠাৎ করেই আমাদের ডিপার্টমেন্টের প্রথম ব্যাচের এক বড় ভাইয়ের বিয়েতে দিনাজপুর যাওয়ার সুযোগ হলো। তখনই ভেবেছিলাম ব্লগ লিখে ফেলবো, কিন্তু নানা ব্যস্ততায় আর হয়ে ওঠেনি।

তাই বাধ্য হয়ে লেখা সংক্ষেপ করে ছবি নির্ভর করে ফেলতে হচ্ছে। খুলনা থেকে ট্রেনে আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম। একদম শেষ বেলায় টিকিট কাটতে যাওয়ায় চেয়ার কোচ ও মিললো না। পিঠে চটা বাধার মতো সোজা হয়ে ১৩ ঘন্টার জার্নি করে পৌঁছালাম সৈয়দপুর স্টেশনে। যতটা ঠান্ডা আশা করেছিলাম তার চেয়েও যেনো বেশী কামড় দিতে লাগলো আমাদেরকে।

আর সেই সাথে ভয়ানক কুয়াশা। দিনাজপুর শহরে এসে জম্পেস একটা নাস্তা করে দিলাম লম্বা একটা ঘুম। এরপর রিক্সা নিয়ে রওনা দিলাম বড় মাঠের দিকে, ওখানেই কমিউনিটি সেন্টারে ছিলো প্রোগ্রাম। ঐদিন ওখানেই ব্যস্ত সময় কাটলো, রাতে ফিরে এসে ঘুমও হলো সেরকম। পরের দিন সারাদিন হাতে, কান্তনগর মন্দির দেখতে যাওয়ার প্ল্যান আমাদের।

দিনাজপুর শহরে চলার পথে... বড়মাঠের একাংশ মোটামুটি সকাল সকাল শহর থেকে বেরিয়ে পড়লাম আমরা। বাসে যেখানে নামলাম ওখান থেকে আরও ১ কিমি হেটে যেতে হবে মন্দিরে। মাঝে প্রায় শুকিয়ে আসা নদী। বাশ আর চাটাই দিয়ে অস্হায়ী সাঁকো। মটর সাইকেল নিয়েও লোকজন পার হয়ে যাচ্ছে।

মন্দিরে যাওয়ার পথে গ্রাম্য পথ দিয়ে হেটে হেটে পৌঁছে গেলাম বিখ্যাত কান্তনগর মন্দিরে। চমৎকার স্হাপত্য শৈলী আর কারুকাজ আসলেই এটাকে আলাদা রূপ দিয়েছে। চলতে থাকলো ছবি তোলা। চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য ও দারুণ মনোরম। বেশ খানিকটা সময় কাটিয়ে অন্য একটা গ্রাম্য পথ ধরে ফিরে আসলাম।

কান্তনগর মন্দির এর কিছু ছবি বিকালে সৈয়দপুরে আরেক বড় ভাইয়ের বাসায় দারুণ এক আড্ডা আর ডিনার সেরে উঠলাম খুলনা গামী ট্রেনে। আবারও সেই ভয়াবহ পিঠ সোজা অবস্হা। হিলি বন্দরের ওখানে গ্রাম বাসীর চোরাচালানী ও এবিষয়ক বিডিআর ভাইদের কর্মকান্ড দেখলাম। সকালে বাসায় ফিরে ব্যাপক এক ঘুম দিয়ে তবে কিছুটা ক্লান্তি দূর হলো।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.