আমি তোমাকেই বলে দেব, কি যে একা দীর্ঘ রাত আমি হেটে গেছি বিরান পথে! আমি তোমাকেই বলে দেব, সেই ভুলে ভরা গল্প; কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়!
মেস লাইফ আসলেই মজার। কতযে মজার ঘটনা ঘটে বলে শেষ করা যাবে না, তবু আমার ডাইরির পাতা থেকে কয়েকটি মজার ঘটনা উল্লেখ করছি। আমরা হেসেছিলাম, আপনারাও হাসবেন
১. (তারিখ ০১/০৪/২০১০)
রাজু ভাই এপ্লাইড কেমিস্ট্রিতে পড়েন। নতুন কম্পিউটার কিনেছেন; কম্পিউটারের কিছুই জানেন না। প্রায় এটা সেটা প্রব্লেম নিয়ে বলেন, সিজান এটা হচ্ছে না, সেটা হচ্ছে না।
(আমি নিজেও খুব বেশি কম্পিউটার জানি না, যা জানি তা প্রায় ৬ বছর কমিউটার ব্যাবহারের অভিজ্ঞতা) তো একদিন কমিউটার মিউট করে মহা চিন্তায় পড়ে গেছেন! কি হল কোন সাউন্ড আসছেনা কেন? যাই হোক, আজ কিছুক্ষন আগে তিনি মোবাইলে গান লোড করার জন্য আমার কাছ থেকে ডাটা কেবল নিয়ে গেলেন। তার কমিউটারে মোবাইল কানেক্ট করতেই এভাস্ট এ্যলার্ম দিল; কসন, ভাইরাস ইজ . .. ... অম্নি রাজু ভাই লাফ দিয়ে উঠলেন, “সিজান তোমার কেবলে ভাইরাস!”
তার মোবাইল থাকল পড়ে, আমার কেবলে ভাইরাস!!
২. (তারিখ ০২/০৪/২০১০)
রুশো ভাই (আমাদের কেলটু দা) আজ নতুন বাংলা লিঙ্ক কিনেছেন; তাই রথিন-দা কে বললেন, “এ রথিন তোর তো অনেক বান্ধবি, তো কারো বাংলা লিঙ্ক নাম্বার থাকলে দিস; প্রেম টেম করি। “ (রথিন-দা ৬ জনের সাথে মোবাইলে প্রেম করে) রথিন-দা বললেন, “তুই যে কেল্টু, তোর সাথে কে প্রেম করবে? তবু চাচ্ছিস যখন নে . .. ...” বলে একটা বাংলা লিঙ্ক নাম্বার দিলেন, সংগে আরো বললেন, “এই বান্ধবিটা দেখতে অনেক সুন্দরী, বাবার অনেক টাকা। মিস কল দিলে কল ব্যাক করে। ওর টাকা দিয়ে ওর সাথে প্রেম করবি।
“ “এখন মিস কল দিব?” “দে দে ঐ মেয়েকে দিয়েই কল শুরু কর। “ তো রুশো ভাই মিস কল দেবার সাথে সাথে কল ব্যাক এল, আর রুশো ভাই যার পর নাই খুশি হয়ে বললেন, “এ রথিন ব্যাক দিয়েছে রে, এখন কি হবে!?” রথিন-দা বললেন, “কি আর হবে, তোর নতুন সিমতো তাই সেভ করা নাই, সেভ করে ফেল ওটা আমার নাম্বার। “ রথিন-দা রুশো ভায়ের পাসে বসে থেকে কল ব্যাক দিলেন, অথচ রুশো ভাই সেটা বুঝতেই পারেন নি; মানে আবারো প্রমান হলো তিনি কেল্টু!
৩. (তারিখ ০৯/০৪/২০১০)
কাল দুপুর থেকে উবুন্টু সেটআপ দেবার চেস্টা করছি, হচ্ছে না। দুপুরে ৬০% কমপ্লিট হবার পর কারেন্ট চলে যায়। সন্ধ্যায় কারেন্ট আসলে আবার বসলাম, সেটআপ শুরু প্রথম থেকে! এবার ২০% হবার পর কারেন্ট চলে যায়।
তারপর টানা ১০ ঘন্টা পর রাত ৩.৩০ এ কারেন্ট এলে, ঘুম থেকে লাফায়া উঠে পি.সি অন করলাম, এবার ৫৮% হবার পর ৪টার দিকে কারেন্ট চলে যায়। তারপর কারেন্ট এল দুপুর ২ টার দিকে। আবার সেটআপ দেয়া শুরু করলাম (এতবার সেটআপ দেয়ার কারন, আমার পরীক্ষা চলছিল, আর সব নোট পি.সিতে আর এক্স-পি এমন ভাবে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে, কাজ করে না) এবার ৯০% কম্পিট হবার পরে কারেন্ট চলে গেল। আমি মন খারাপ করে কম্পিউটার টেবিলে বসে আছি, তা দেখে ভায়রা (ক্লাস মেট, আমরা দু জন দুজনাকে ভায়রা ডাকি। নাম মেহেদী) রিপনের জম্নদিনের থেকে যাওয়া একটা পিচ্ছি মোমবাতি জ্বালানোর চেস্টা করতে লাগল।
আমি অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম, “কিরে ওটা জ্বালিয়ে কি করবি?” ভায়রার উত্তর, “ভাবছিলাম মোমবাতি জ্বালায়া সেটআপ দিবি!”
৪. (তারিখ ১১/০৪/২০১০)
দুপুরে খেতে খেতে রাজু ভাইকে নিয়ে বেশ হাসা হাসি হল। তো এক পযার্য়ে রাজু ভায়ের ঐতিহাসিক ডায়লগটা সুজন ভাই রিপিট করলেন, “সিজান তোমার কেবলে ভাইরাস!” এমন সময় ভাইরা বাঁকা হাসি দিয়ে বলল, “ভাইরা তোর কেবল আছে?” আমি অবাক বললাম, “হ্যাঁ আছে, ক্যান তোর নেই?” ও বলল, “নাহ্” তারপর এমন একটা হাসি দিল, বুঝলাম ও অন্য মিন করেছে। আমিও কম যাব কেন, বললাম “তাহলেতো প্রব্লেম! মেয়েদের পোর্টে ডাটা ট্রান্সফার করবি কি ভাবে!?”
৫. (তারিখ ২২/০৪/২০১০)
মেসে কারেন্ট থাকেনা, তাই লেখাপড়াও হয় না। আবার পরীক্ষাও চলছে, তাই মেহেদী আর রিপন ( আমরা তিনজন সবসময় একসাথে থাকি তাই ডিপার্টমেন্টের বড় ভাই-রা আমাদের ত্রি-ইডিওট ডাকে) কিছুদিন আগে হলে উঠে গেল। হলে উঠার পর আজ সন্ধায় আবার মেসে এল।
আমি বললাম, “কি রে মেসে লেখাপড়া হয় না, তো হঠাৎ মেসে এলি যে?” (ওরা হলে উঠে যাোয়ায় আমার মন খারাপ হয়েছিল) ভায়রা কোন উত্তর না দিয়ে, আমার নোটগুলো ঘাটতে লাগল। বুঝলাম কোন উত্তর খুজেঁ পাচ্ছে না, তাই মেসে আসা। আমি কিছুটা রাগ নিয়ে রিপনকে বললাম, “তা তোর কোন নোট লাগবে?” রিপন ব্যাপারটা ধরতে পেরে বলল, “আরে আমিতো ছাগলের তিন নাম্বার ছা; দেখিন না দুইটা বাচ্চা দুধ খায়, আর একটা পাশে লাফালাফি করে। ঠিক তেমনি, মেহেদী হলে উঠল আমিও লাফাতে লাফাতে হলে উঠে গেলাম। আজ ও মেসে এল আমিও মেসে চলে এলাম।
আমার নোট লাগবে না।
চতুরে প্রকাশিত
মেস লাইফ নিয়ে আরো কিছু লেখা
১. দিপু নাম্বার ওয়ান; পচাঁনিমুলক পোস্ট
২. র্যাগ!!!
" style="border:0;" /> ভরশা শীত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।