যখনই বলি, "নীলা এসো, ছায়া দাও;
গোলকধাঁধাঁর দেশে এতো বেশী দিশেহারা-
অবসন্নতায় কূঁকড়ে যেতে যেতে
ভ্রূনের মত আশ্রয়ের নিরাপত্তা খুঁজি
আদিম অন্ধকার আঁধারে |"
অসীমের প্রান্ত থেকে নীলা বলে,
"তোমার সত্তায়-ই আছি আমি
তোনার পাশাপাশই |"
অসীমে দিকে চেয়ে থাকি আমি
হাত বাড়িয়ে থাকি-অপেক্ষায় থাকি;
শ্রান্তির ভারে ভার হয় মাথা-নুয়ে আসে,
অস্থির পাখি ডানা ঝাপটায়
বুকের অপ্রসস্থ অন্ধকার খাঁচায় ।
উষ্ঞতার প্রসস্থতা খুঁজতে খুঁজতে
এখন আমি ক্রমশ আত্মকেন্দ্রিকতায় আবদ্ধ
ভাঙা রেকর্ডের গর্তে আটকে যাওয়া পিনের মত
আটকে আছি,বুদ হয়ে আছি
সুতীব্র ধোঁয়াময় ধূসরতায়,
কিংবা কাঁচ-বোতোলের সবুজতায়,
কিংবা যন্ত্রের চাকায় চাকায় ঘর্ষণের শব্দে;
কিংবা বিষণ্ণ কবিতার পাতায় পাতায় ।
বেটোফেন আর আহত করে না আমাকে;
নদীপাড়ের সেই বটতলা আর আকর্ষণ করে না ।
পশ্চাতের পৃথিবী আর আমি
এখন পরষ্পর-পারষ্পরিক অবহেলিত।
সন্মুখের হলুদ দেয়ালের দিকে চেয়ে
ভাঙনের শব্দ শুনি,
দিন গুনি, "শেষের সে ভয়ঙ্কর দিনের"।
চুপিচুপি নীলা আসে,
কাঁধে তার সোনালী হাত রাখে,
পাশে বসে,
তারপর কেঁদে যায়-একাকী ||
[আমি আসলে সামুতে হাত মখ্শ্ করছি আমার ছেলেবেলার খেরোখাতা থেকে টুকলিফাই করে ]
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।