আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সার্জারির জনক আল জাহ্রাভি

যদি আমি ঝঁরে যাই একদিন কার্তকের নীল কুয়াশায়

মধ্যযুগে স্পেনকে ঘিরে যে মুসলিম সভ্যতা গড়ে উঠেছিল, তার কেন্দ্রবিন্দু ছিল কর্ডোভা শহর। নবম শতাব্দীতে বিখ্যাত সন্ন্যাসী সেন্ট গলের আশ্রমের লাইব্রেরিটি ছিল ইউরোপের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরি। এমনকি দশম শতাব্দীতেও ব্যক্তিগত পর্যায়ে গড়ে ওঠা লাইব্রেরিগুলোতে খ্যাতিমান মুসলিম পণ্ডিত, মনীষী ও বিজ্ঞানীদের কৃতিত্ব সংবলিত পাঁচ লাখের মতো মূল্যবান গ্রন্থ ছিল। ওই সময়ই অর্থাৎ ৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কর্ডোভার নিকটবর্তী জাহ্রা অঞ্চলে বিজ্ঞানী আল জাহ্রাভির জন্ম। পুরো নাম আবুল কাসিম খালফ ইবনে আল আব্বাস আল জাহ্রাভি।

তিনি আবুল কাশেম নামেও পরিচিত ছিলেন। নিজেকে একজন নামকরা সার্জন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পর স্পেনের রাজা আল হাকাম দ্বিতীয়-এর চিকিৎসক নিযুক্ত হন। চিকিৎসক হিসেবে দীর্ঘ কর্মজীবনে তার অবদান অনেক। সার্জারিতে সর্বপ্রথম বিশেষ অবদান রাখার জন্য আল জাহ্রাভি সার্জারি বা শল্যচিকিৎসার জনক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর এ অবদানের কথা ৩০ খণ্ডে লেখা চিকিৎসাবিজ্ঞান-সংক্রান্ত জ্ঞানকোষ আল তাসরিফে উল্লেখ রয়েছে।

এর মধ্যে তিনটি বইয়ে শুধু সার্জারি নিয়েই বিশদ বর্ণনা আছে। আল তাসরিফে ফলিত বিজ্ঞানের নানা বিষয় ব্যাখ্যা করেছেন জাহ্রাভি। বিজ্ঞানী জাহ্রাভি শল্যচিকিৎসার অনেক যন্ত্রপাতিও আবিষ্কার করেন। এগুলোর মধ্যে কান, মূত্রনালি ও গলা পরীক্ষার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র উল্লেখযোগ্য। তিনি অস্ত্রপচারের ৫০টিরও বেশি পদ্ধতি উদ্ভাবন ও এগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে গেছেন।

এ ছাড়া তিনি নাক, কান ও গলাসংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ এবং চোখের রোগ নিরাময়ের বিভিন্ন ওষুধ ও এসব ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সার্জারির বর্ণনা দিয়েছেন। খ্যাতিমান এ বিজ্ঞানী দাঁতের চিকিৎসায়ও বিশেষ অবদান রেখেছিলেন। দাঁতের চিকিৎসা, কৃত্রিম দাঁত স্থাপন ও দাঁতের অপারেশন-সংক্রান্ত বর্ণনাও তাঁর বইয়ে রয়েছে। জাহ্রাভি চিকিৎসাবিজ্ঞানে যে ভিত্তি রচনা করেছিলেন, তা পরবর্তী ৫০০ বছর চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। জাহ্রাভির নীতি অনুসরণ করেই ইউরোপের চিকিৎসাবিজ্ঞানের কারিকুলাম লেখা হয়েছিল।

মধ্যযুগে স্পেনকে ঘিরে যে মুসলিম সভ্যতা গড়ে উঠেছিল, তার কেন্দ্রবিন্দু ছিল কর্ডোভা শহর। নবম শতাব্দীতে বিখ্যাত সন্ন্যাসী সেন্ট গলের আশ্রমের লাইব্রেরিটি ছিল ইউরোপের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরি। এমনকি দশম শতাব্দীতেও ব্যক্তিগত পর্যায়ে গড়ে ওঠা লাইব্রেরিগুলোতে খ্যাতিমান মুসলিম পণ্ডিত, মনীষী ও বিজ্ঞানীদের কৃতিত্ব সংবলিত পাঁচ লাখের মতো মূল্যবান গ্রন্থ ছিল। ওই সময়ই অর্থাৎ ৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কর্ডোভার নিকটবর্তী জাহ্রা অঞ্চলে বিজ্ঞানী আল জাহ্রাভির জন্ম। পুরো নাম আবুল কাসিম খালফ ইবনে আল আব্বাস আল জাহ্রাভি।

তিনি আবুল কাশেম নামেও পরিচিত ছিলেন। নিজেকে একজন নামকরা সার্জন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পর স্পেনের রাজা আল হাকাম দ্বিতীয়-এর চিকিৎসক নিযুক্ত হন। চিকিৎসক হিসেবে দীর্ঘ কর্মজীবনে তার অবদান অনেক। সার্জারিতে সর্বপ্রথম বিশেষ অবদান রাখার জন্য আল জাহ্রাভি সার্জারি বা শল্যচিকিৎসার জনক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর এ অবদানের কথা ৩০ খণ্ডে লেখা চিকিৎসাবিজ্ঞান-সংক্রান্ত জ্ঞানকোষ আল তাসরিফে উল্লেখ রয়েছে।

এর মধ্যে তিনটি বইয়ে শুধু সার্জারি নিয়েই বিশদ বর্ণনা আছে। আল তাসরিফে ফলিত বিজ্ঞানের নানা বিষয় ব্যাখ্যা করেছেন জাহ্রাভি। বিজ্ঞানী জাহ্রাভি শল্যচিকিৎসার অনেক যন্ত্রপাতিও আবিষ্কার করেন। এগুলোর মধ্যে কান, মূত্রনালি ও গলা পরীক্ষার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র উল্লেখযোগ্য। তিনি অস্ত্রপচারের ৫০টিরও বেশি পদ্ধতি উদ্ভাবন ও এগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে গেছেন।

এ ছাড়া তিনি নাক, কান ও গলাসংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ এবং চোখের রোগ নিরাময়ের বিভিন্ন ওষুধ ও এসব ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সার্জারির বর্ণনা দিয়েছেন। খ্যাতিমান এ বিজ্ঞানী দাঁতের চিকিৎসায়ও বিশেষ অবদান রেখেছিলেন। দাঁতের চিকিৎসা, কৃত্রিম দাঁত স্থাপন ও দাঁতের অপারেশন-সংক্রান্ত বর্ণনাও তাঁর বইয়ে রয়েছে। জাহ্রাভি চিকিৎসাবিজ্ঞানে যে ভিত্তি রচনা করেছিলেন, তা পরবর্তী ৫০০ বছর চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। জাহ্রাভির নীতি অনুসরণ করেই ইউরোপের চিকিৎসাবিজ্ঞানের কারিকুলাম লেখা হয়েছিল।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।