বাংলায় কথা বলি,বাংলায় লিখন লিখি, বাংলায় চিন্তা করি, বাংলায় স্বপ্ন দেখি। আমার অস্তিত্ব জুড়ে বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ।
কলম্বোতে এসে প্রথমেই অবাক হয়েছিলাম। কোন অনুষ্ঠানে ডেজার্ট আইটেমে পেঁপে থাকবেই। পরে আসল ঘটনা বুঝলাম।
এই দেশে পেঁপে প্রচুর হয়। পাকা ফল হিসাবে পেঁপের কদরও অনেক এই দেশে। প্রচুর পুষ্টি সমৃদ্ধ এই ফলটি খেয়ে মানুষ তার শরীরের অনেক চাহিদা পূরণ করতে পারছে।
শ্রীলংকার এই সময়ে পেঁপের দাম এতো কম যে আমার কাছে তা রীতিমতো অবাক লাগছে। গত কাল একটি পেঁপে কিনলাম যার ওজন ২ কেজি।
কাটার পর দেখলাম, কি টকটকে লাল আর দারুণ মিষ্টি। এক দম ফ্রেস। অথচ দাম নিল মাত্র ৫০ সেন্ট! বাংলাদেশে এটা ভাবা যায়? ৫০ সেন্টে কত টাকা হয়? মাত্র ৩৫ টাকা (০.৫X৭০= ৩৫ টাকা)। বাংলাদেশে পেঁপে হয়তো পাওয়া যাবে। তা নানা কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো।
তাতে আসল পেঁপের কোন স্বাদ পাবেন না। আবার তা আপনার স্বাস্থ্যকে করবে নষ্ট।
শ্রীলংকায় সব জিনিসের দামই চড়া। এক মাত্র এই জিনিসটিই আমি পেয়েছি যা দামে অনেক অনেক কম তা হল পেঁপে।
ছোট বেলায় কৃষি বিজ্ঞান বইয়ে পড়েছিলাম পেঁপের চাষ পদ্ধতি।
সূচনাতেই একটি ইংরেজি প্রবাদ দিয়ে শুরু হয়েছিলঃ A papaya a day/Keep the doctor away.( রোজ রোজ পেঁপে খাও/বাড়ির বাহিরে ডাক্তার তাড়াও)।
পেঁপে হচ্ছে এমন একটা ফল যা মানুষের শরীরে অষুধ হিসাবে কাজ করে। অথচ আমাদের দেশের মানুষ তা খেতে পায় না। সামান্য যা কিছু পেঁপে উৎপাদিত হয় তার বেশীর ভাগই বাজারে কাচা তরকারি হিসাবে বিক্রি হয়ে যায়।
শ্রীলংকায় কাচা পেঁপে বিক্রি হয় না।
তরকারি হিসাবে নয় ফল হিসাবেই পেঁপের জনপ্রিয়তা এখানে ব্যাপক।
আমাদের দেশেও যদি ভেজাল বিহীন ফ্রেস ফলমূল পাওয়া যেত তাহলে কি যে ভাল হত!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।