পুলিশের নির্যাতনের কারণে বুধবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শামীম রেজার (৩০) মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের।
শামীমের মৃত্যুর ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আশরাফুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
কমিটির অপর দুইজন হলেন- সহকারী পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) উত্তম প্রসাদ ও কোর্ট ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান।
তদন্ত কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান এসপি।
নিহত শামীম উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
তিনি সরকারি তোলারাম কলেজ থেকে এ বছর ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স করেছেন। পাশাপাশি ড্রেজার ও পাথরের ব্যবসাও করতেন। গত ১৪ মে শামীমকে আটক করে পুলিশ।
নিহতের বাবা আলাউদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, আটকের পর শামীমকে পুলিশ থানার ছাদে নিয়ে নির্যাতন করে এবং টাকা চায়।
কিছু টাকা দেয়াও হয়।
দাবিমতো টাকা না দেয়ায় ছেলেকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন আলাউদ্দিন।
নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সোনারগাঁও থানার ওসি আতিকুর রহমান।
তিনি বলেন, শামীমকে প্রায়াত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের প্রথম স্ত্রীর ছেলে শাহাদাতের বন্ধু। তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন।
গত ২০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউছড়া গ্রামের ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শামীমা ও তার শ্যালক এবং দুই গৃহকর্মীর জবাই করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় নিহত চেয়ারম্যানের স্ত্রী শামীমার ভাই মামুন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।