বাঙ্গালাহ বঙ্গ বাঙলা বাংলাদেশ । এ দেশের সুজনে আজ সুযশ গায়
> যদিও দেশের প্রতি তিনজনের মধ্যে দুইজনের দৈনিক আয় বাংলাদেশি টাকায় মাত্র ৬০ টাকার কাছাকাছি, অথচ এই দেশের চলচ্চিত্র শিল্প এখন দুনিয়ায় ২য় বৃহত্তম !
>নাইজেরিয়া তো বটেই, সারা আফ্রিকা এবং আফ্রিকার বাইরে পূর্ব ইওরোপ-মধ্যপ্রাচ্য-লাতিন আমেরিকায় এবং আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে প্রধানত দেশটির চলচ্চিত্র শিল্প- নলিউডের রমরমা বাজার।
। নলিউডের সবচেয়ে বড়ো চলচ্চিত্র বিপনন কেন্দ্র। লাগোসের আলাবা বাজার।
কর্দমাক্ত রাস্তা ঘাটের ওপরে টং মার্কা দোকানে চলছে দেদার বিকিকিন- পাইকারি খুচরা। ওপরে ক্রমশ ক্ষয়ে যেতে থাকা দরদালানে ঝুলে আছে ভালাবাসা আর অ্যাকশনের ছবির পোস্টারেরা।
। নলিউডের এক একটা চলচ্চিত্র বানাতে নির্মাতারা গড়ে খরচ করেন বাংলাদেশি টাকায় ১৩ লাখ টাকার মতো । অনেক কম ! দেশটিতে সরকার কোনো ভর্তুকি কিম্বা অনুদান দেয়না বললেই চলে।
। নাইজেরিয়া এ বছরেই তৈরি হবে ৯০০ এর বেশি চলচ্চিত্র। হলিউডেরও দ্বিগুন প্রায়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি প্রযোজক প্রতিষ্ঠানের ডিভিডি-ভিসিডি'র শোরুম।
।
'বেহেশতী পরশ' (ডিভাইন টাচ) প্রডাকশন হাউসের ছবির শুটিং চলছে। ছবির নাম- 'কাপড় খুলিয়েরা' (স্ট্রাইপারস) । গত সপ্তাহে তোলা ছবিতে দেথা যাচ্ছে শুটিংয়ের বিরতিতে নায়কি টন্টো দিকেহ ফ্রেশ হচ্ছেন স্নান করে।
। শুটিং চলছে প্রতি ছবির শুটিং-এ গড়ে দুই সপ্তাহ সময় নেন নির্মাতারা ।
। নির্মাতারা সবসময় দেশিয় ও আফ্রিকান বাস্তব প্রেক্ষাপট-কাহীনি-চরিত্রের ওপর জোর দেন। একটি পারিবারিক কাহীনির চলচ্চিত্র শুটিং-এর দৃশ্য এটি। নাইজেরিয়ায় পারিবারিক কাহীনি মানেই একটি লিভিং রুম। নাইজেরিয়ান তো বটেই, সব নিম্নবিত্ত আফ্রিকানই যখন জীবনে সমৃদ্ধির কথা ভাবে, তখন সে ভাবে মূলত কাচের টেবিল আর কাপড়ে মোড়া কাঠের সোফা সহ একটি সুন্দর লিভিং রুমের কথা।
। আফ্রিকান মুভি অ্যাওয়ার্ডে সামনের সারিতে বসা এক জনপ্রিয় জুটি নায়ক নায়িকা। এই অ্যাওয়ার্ডকে বলা হয় আফ্রিকার অস্কার। ১৯৯২ সালে শুরু হয়ে মাত্রা ৭ বছরের মাথায় এই অবস্থায় পৌছেছে নলিউড। সিনেমা হলের পরিবর্তে নলিউড গুরুত্ব দিয়েছে হোম ভিডিও সিস্টেমের ওপর।
এখন প্রতিটি পরিবার চাইলেই বাসায় চলচ্চিত্র-সন্ধা উপভোগ করতে পারে সহজে। ক্ষমতার লড়াই, দারিদ্র, সমৃদ্ধির স্বপ্ন আর প্রচেষ্টা ইত্যাদি মিলে আফ্রিকার কন্ঠস্বর হয়ে উঠেছে নলিউড
। নবাগতা নায়িকা ভিক্টোরিয়া, ক্যারিয়ারে উন্নতির পথ খুজছেন নলিউডে। উল্লেখ্য, তেল খনি ও তেল উৎপাদন খাতের পর নাইজেরিয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম কর্মসংস্থানের যোগান দেয় চলচ্চিত্র শিল্প।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।