আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফটোলগ : ইতিহাসে চতুর্থবারের মতো উদগীরন করছে ইভাজায়েকুল আগ্নেয়গিরি। য়ুরোপের বন্ধ বিমানচলাচল

বাঙ্গালাহ বঙ্গ বাঙলা বাংলাদেশ । এ দেশের সুজনে আজ সুযশ গায়

আইসল্যান্ড-এর দক্ষিন উপকূলের পশ্চিমাংশে অবস্থিত একটি গ্লেসিয়ার বা হিমবাহ হচ্ছে ইভাজায়েকুল। দ্বীপ দেশটির অনকে ছোট ছোট হিমবাহের একটি এটি। ১০০ বর্গ কিলো এলাকা জুড়ে অবস্থিত। আর এই হিমবাহের নীচেই লুকিয়ে থাকে প্রায় সাড়ে চার হাজার ফিট উচু এক আগ্নেয়গিরি।

বরফ যুগ থেকে আজ পর্যন্ত জীবন্ত এই আগ্নেয়গিরি অনেকবার উদগীর ঘটিয়েছে। সবর্শেষ উদগীরন দুটি ছিলো যথাক্রমে গত মার্চের ২০ তারিখ ও এই এপ্রিলের ১৪ তারিখ। ১৪ তারিখ শুরু হয়ে উদগীরন এখনো চলছে। উগগীরন এলাকার পাশে প্রায় ৮০০ লোকের স্থায়ি নিবাস তাদেরকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। জরুরি অবস্থা মোকবেলয়া যারা ওখানে ছিলেন সরকারি কর্মী হিসাবেও তারাও ঝুকি নিয়ে কাজ করছেন।

আশেপাশের দেড়শোবর্গকিলোমিটার এলাকার প্রতিবেশ ধোয়া-ছাই ও পাথরের গুড়োয় ঢেকে আছে চারদিন ধরে । পর্যবেক্ষন ও গবেষনার প্রয়োজনে যান চলাচলও দুস্কর হয়ে পড়েছে বিজ্ঞানিরা গবেষনার প্রয়োজনে ছাইয়ের নমুনা সংগ্রহ করছেন অনেক ঝুকি নিয়ে আইসল্যান্ডের নৌ উপকূল রক্ষা বাহীনি বিশেষ বিমানে করে পর্যবেক্ষন চালাচ্ছে ওদিকে অগ্ন্যুত্পাত এর ফলে হিমবাহ গলে নেমেছে বন্যার ঢল। আশপাশের বসতি উধাও। দেশটির প্রধান সড়ক এর বিশাল অংশ ভেসে গেছে। ব্রিজ ইত্যাদি ভেসে গেছে সড়কটির নাম 'হাইওয়ে ১'।

দ্বীপদেশটিকে জড়িয়ে থাকা প্রধান সার্কুলার হাইওয়ে ছাই আর বন্যায় আইস্যল্যান্ড ক্ষতিগ্রস্থ হলে সবচেয়ে বড়ো বিপদে পড়েছে ইওরোপ ও বাদবাকী দুনিয়ার বিমানযাত্রী লোকজন। ইওয়রোপের প্রায় সব এয়ারপোর্ট বন্ধ চারদিন ধরে যাত্রীরা আটকা পড়ে আছেন টার্মিনালে । দুর্ভোগের শেষ নেই তাদেরে। অধিকাংশ যাত্রীকেই টার্মিনালের মেঝেতে অবস্থান করতে হচ্ছে। কিংবা চেয়ারে।

কোনো কোনো বন্দর ঢালাও বিছানার ব্যবস্থা করতে পেরেছে অবশ্য বিমান চলাচল বন্ধ থাকার কারন হলো আগ্নেয়গিরি থেকে উর্ধাকাশে উঠতে থাকা ছাইয়ের মেঘ। এই মানচিত্রে আকাশে আজকের ছাইমেঘের অবস্থান দেখা যাচ্ছে বন্ধ থাকা একটি এয়ারপোর্টের পেছনে সূর্যাস্তের দৃশ্য। ছাইমেঘ ভর্তি আকাশের নানা রঙের মধ্যে মনোরম সূর্যাস্ত। লন্ডনের গ্যাটউইক এয়ারপোর্টের দৃশ্য এটি। ২০০১ এ আমেরিকার টুইন টাওয়ার হামলা পরবর্তী সময়ের চেয়েও বেশি বিঘ্নিত হচ্ছে বিমান যোগাযোগ।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ কোম্পানিটি হচ্ছে- জার্মানির রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থা- লুফথানসা। গতকাল সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের কোনো বিমানই এখন আকাশে নেই। য়ুরোপ-আমেরিকা, য়ুরোপের আভ্যন্তরিন, কিংবা ইওয়রোপ-এশিয়া-আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া সব রুটই বন্ধ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।