দুই বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিলো আজ, উন্নত এবং উন্নয়নশীলদেশের "ক্ষমতাশীন ভিআইপি"-দের কর্মস্থলে যাতায়াতের ধরনের পার্থক্য এবং দেশের উন্নয়ণে এর প্রভাবের পার্থক্যের কথা। নীচের ছবিতে দেখা যাচ্ছে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ভ্রমন করছেন সাধারন নাগরিকের মতো, আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চলেছেন গজেন্দ্রগমনে লাট-বহর প্রটোকল পারিষদবেষ্টিত হয়ে। ওদিকে প্রত্যহ বাংলাদেশের রাজপথে শীতে সিঁটিয়ে -গ্রীষ্মের গরমে সেদ্ধ হয়ে ট্র্যাফিক জ্যামে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা । কি ভয়াবহ অবস্থা: ক্ষমতাসীন ভিআইপিদের লাট-বহর না পেরোলে করদাতা জনগণ যেতে পারবেন না নিজ নিজ গন্তব্যে! কয়েকজনের নিরাপত্তা রক্ষার অজুহাতে দেশের করদাতা নাগরিকদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে অচল ক'রে রাখা হচ্ছে, যদিও এই সব নিরাপত্তা ব্যবস্থার লাট-বহর জনগণের পয়সা দিয়েই চলে। এক বন্ধু বললো: কয়েকজন ভিআইপির সড়কপথে চলাচলের নিরাপত্তা প্রটোকল রক্ষা করতে গিয়ে দেশের (বিশেষত রাজধানীতে বসবাসরত নাগরিকদের) যে পরিমান শ্রমঘন্টা প্রতিদিন ট্র্যাফিক জ্যামে পড়ে নষ্ট হয়, এবং সেই অপচয়ের কারণে দেশের যে পরিমান অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় তার চে'য়ে অনেক কম খরচে ভিআইপিরা commuter helicopter -এ চড়ে বাসা-অফিস যাতায়াত করতে পারবেন। এর ফলে শুধু যে পয়সাই সাশ্রয় হবে না নয়, ট্র্যাফিক জ্যাম কমার কারণে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নও তরান্বিত হবে। আরেক বন্ধু বললো: দেশের ক্ষমতাসীন ভিআইপির মুলত: দুই জায়গায় প্রতিদিন বেশী যাতায়াত করেন: প্রধানমন্ত্রীর অফিস এবং সচিবালয়। এই দুই যা্যগায় পাতালরেলের স্টেশন নির্মান করলে লাভ হবে এই যে, ভিআইপিদের অফিসে যাতায়াতের পাতাল রেলে যতোই প্রটোকল এবং নিরাপত্তার ঘেরাটোপ থাকুক না কেন, সড়কপথের যানজটের উপরে তার নেতিবাচক প্রভাব কম হবে। ভাবনাগুলো নতুন, জনকল্যানমুখী। কিন্তু প্রশ্ন হলো: বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? তারচে বড় প্রশ্ন হলো: এর পরে যিনি লন্কায় যাবেন তিনি যে আরও ব্যাপক রাবণ হইবেন না, সে দায়িত্ব কে লইবে?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।