এ লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আমার যুদ্ধাপরাধ
আফিয়ার কোনো দোষ নাই। এটাই সম্ভবত নারীবাদী দৃষ্টিভিঙ্গ। সিডনিতে বসবাসকারী ৩৫ বছর বয়স্কা আফিয়া পারভীন (আসল নাম নয়) একটি পুত্র সন্তানের জননী। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করার আগেই বছর দশের আগে বৈবাহিক সূত্রে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দিয়েছে সে। বিদেশে আসার পরপরই সন্তানের জননী হয়েছেন তিনি।
স্বামী সংসার আছে। তারপরও মনে উকি দিয়েছে পরকীয়ার স্বাদ। নইলে রোকন সাকুরের কাছে সে যাবে কেন? প্রবাসে এক স্বামীতে তবে কি পোষাচ্ছিল না আফিয়ার! বহুগামিতার মনোস্তাত্বিক স্বাদ নিতেই ফেইসবুকে রোকনের সঙ্গ নেয় আফিয়া।
ফোন একতরফা আফিয়াই করে, কেননা সে জানে, অনর্গল সিগারোট-ফোঁকা রোকনের কোনো নির্দিষ্ট আয় নেই। কথাবার্তা চলতে থাকে এভাবে-
অস্থির হয়ে ওঠে আফিয়া, আহারে!
১।
তুমি কাউকে বাসায় আনিয়ে নাও। ঠিকমতো ওষুধ খাও।
২। আমি নড়তে পারছি না, ওষুধ কে কিনবে, কে খাওয়াবে। ঘরে টাকা-পয়সাও নেই।
৩। আমি তোমার টাকার ব্যবস্থা করছি। তুমি আমার কাজিন খালেদা’র কাছ থেকে দশ হাজার টাকা নিয়ে আসবে। খালেদার সঙ্গে আমি ফোনে কথা বলে রাখছি। কোনো অসুবিধা নেই।
আর আফিয়ার যেহেতু আয় নেই, সঙ্গতভাবেই আফিয়ার স্বামী একদিন প্রবলভাবে সংসারের খরচের ব্যাপারে আফিয়াকে প্রশ্ন করে। মানসিকভাবে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত আফিয়া এই পর্যায়ে ভারসাম্য হারাতে শুরু করে। আর অভিযুক্ত হয়ে পড়ে রোকন, চেলাচামুন্ডাসহ!
তথ্যসূত্র: নতুন দেশ
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।