গনজাগরনের মাধ্যেমে পরিবর্তন সম্ভব....মানুষের চিন্তার পরিবর্তন করাটা জরুরি ....বুদ্ধিবৃত্তিক পুনরজাগরনে বিশ্বাসী আল- কায়েদার সাথে সম্পর্কের বানয়াট অভিযোগে কারনে ২০০৩ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত গুম করে রাখা হয় তারপর ২০০৮ সালে নাটক সাজিয়ে একজন মার্কিন সেনার হত্যার চেষ্টার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মিডিয়া প্রচার করে আমেরিকার আদালত তাকে ৮৬ বছরের সাজা দিয়েছে । সেই ২০০৩ থেকে আজ পর্যন্ত তা র উপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয় ... কারাগারে তাকে কয়জন মিলে ধর্ষন করা হত , তারপর তার কাপড় ফিরে পাওয়ার জন্য কুরানের উপর দিয়ে কাপড় নেয়ার জন্য বাধ্য করা হত ... সে এখন ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং মৃত্যূর প্রহর গুনছেন ... তিনি আদালতে বলেছিলেন আমার এই রায়ের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই আমি সব অভিযোগ করব আল্লাহর কাছে(কাফিরদের বিরুদ্ধে) ... অথচ তার খবর গুলো মিডিয়াতে তেমনভাবে আসেনি , কোন তোলপাড় হয়নি ...মুসলিমরা সেইভাবে এগিয়েও আসেনি...এইজন্যে তিনি তার চিঠিতে আমাদেরকে ঘুমন্ত এবং মৃত জাতি বলে আখ্যায়িত করেছিলেন (সত্যিই তাই) ... আর আজ একজন সেক্যুলার ,লিবেরেল আমেরিকার পক্ষের একজন ছোট্ট মেয়ে যে লেখাপড়া জানে না অথচ বিশাল বুদ্ধিজীবী লেখক (!) কে নিয়ে মিডিয়ার তোলপাড়, মুসলিমদেরই রিএকশন দেখে অবাক, ক্ষুব্ধ , দুঃখিত হই ... মালালাকে ব্যবহার করা হচ্ছে নাকি সে আসলেই লেখালেখি করে কিনা বলতে পারব না তবে ড.আফিয়া সিদ্দিকি যে সুমাইয়া(রা) এরই যোগ্য অনুসারী তাতে কোন সন্দেহ নেই ... আল্লাহ্ তোমার এই মজলুম বান্দাকে ক্ষমা কর তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান কর ... আমিন " " " ১৪ বছরের মালালাকে আহত যেই করুক না কেন ইসলাম তা সমর্থন করেনা , আমরা এইধরনের কর্মের জোর নিন্দা জানায় কিন্তু কেউ কি বলতে পারবেন যেইখানে আমেরিকা-ইসরাইল-ব্রিটেন-কথিত ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র মিলে আফগানিস্তান , ফিলিস্তিন , ইরাকে হাজার হাজার ১৪ বছরের কম বয়স্ক শিশুকে বিমান থেকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করে , মুসলিমদের ভুমিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে নৃশংসভাবে হত্যা-ধর্ষণের মাধ্যমে মুসলিমদের সম্পদ লুট করে নিয়ে যায় সেইখানে কেন তারা মালালাকে দ্রুত নিয়ে গেল ?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।