আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাগৈতিহাসিক ম্যাতকারনামা৩ : চাঁদপুরের চাঁন মিয়া : স্বাধীনতার নতুন ঘোষক !



চাঁদপুরের চাঁন মিয়া : স্বাধীনতার নতুন ঘোষক ! একইছাগুর আরো ম্যাতকার : ভাষা আন্দোলন ও গোলাম আযম (মন্তব্য পইড়া মজা পাইবেন) বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা প্রসংগে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে এতোদিন দুধরনের দাবী করা হতো br /> ১. ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী বাঙালীদের ওপর হামলা চালালে শেখ মুজিবুর রহমান ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তা টেলিফোনের মাধ্যমে পিলখানাস্থ ই.পি.আর. সদর দফতরে পাঠান। পিলখানা থেকে ওয়্যারলেসে সেই বার্তা চট্টগ্রামে মরহুম জহুর আহমেদ চৌধুরীর নিকট পাঠানো হয়। অতঃপর চট্টগ্রাম থেকে তা সারা বিশ্বময় প্রচার করা হয়। ২. পরবর্তীতে অবশ্য তারা তাদের সেই বক্তব্য পরিবর্তন করে বলেন যে, চট্টগ্রামের মরহুম আব্দুল হান্নানের নিকট এই বার্তা প্রেরণ করা হয় এবং তিনি স্বাধীনতার ঘোষণাটি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচার করেন। শেখ মুজিবের স্বাধীনতা ঘোষণার এ দাবীকে অস্বীকার করে নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবী করেছেন চাঁদপুরের জনৈক চান মিয়া।

কেবল দাবী করেই তিনি ক্ষান্ত হন নি; রীতিমত হাইকোর্টে রীট আবেদন করেছেন!গতকাল মঙ্গলবার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট সেকশনে চান মিয়া এ রিট ফাইল করেন। আগামী রবিবার এ বিষয়ে আদালতে শুনানি হতে পারে। চাঁন মিয়ার পরিচিতি ও দাবী : চান মিয়া একজন ব্যবসায়ী। বাড়ি চাদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাও গ্রামে। তার বাবার নাম সিদ্দিকুর রহমান বেপারী।

আলোচিত এ আবেদনের বিষয়ে চান মিয়ার আইনজীবী আবু বকর সিদ্দিক জানান, ১৯৯৬ সালে মুদ্রিত স্কুলের সমাজবিজ্ঞান বইতে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতে শেখ মুজিব যে পত্রে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন সেটি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সকাল ৭টায় মগবাজার ওয়ারলেস স্টেশন থেকে চাদপুরের ষোলগড় বেতার স্টেশনে পৌছায়। সকাল ৮টায় এ মেসেজ চান মিয়ার হাতে যায়। তিনি তখন কলেজ ছাত্র। মেসেজ হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি এলাকার মানুষকে বক্তব্যের আকারে এটা জানান।

বিভিন্ন সভাও করেন তিনি। আবেদনে আরো বলা হয়, চান মিয়া নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে ২০০০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দফতরে ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। কিন্তু সরকার তার আবেদনে সাড়া দেয়নি। ২০০১ সালে তার স্বাধীনতা ঘোষণার এ বিষয়টি এলাকার ও জাতীয় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে আছে ঢাকা থেকে প্রকাশিত সোনালি বার্তা।

প্রতি বছর চাদঁপুরের মুক্তিযুদ্ধ মেলায় তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার স্বাধীনতা ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করে বক্তব্য দেন। (সুত্র : যাযাদি) খবরটি পড়ার পর যেকোন পাঠকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে, আসলে কোন দাবীটি সত্যি? শেখ মুজিব- ১. জহুর আহমেদ চৌধুরীর নিকট ইপিআর ম্যাসেজটি পাঠিয়েছিলেন? ২. আব্দুল হান্নানের ইপিআর ম্যাসেজটি পাঠিয়েছিলেন? ৩. চাঁদপুরের চাঁন মিয়া ইপিআর ম্যাসেজটি প্রচার করেছিলেন? ৪. শেখ মুজিব আদৌ কোন ম্যাসেস দেন নি? ( হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত বাঙলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ : দলিলপত্র গ্রন্থ থেকে অসঙ্গতির কারণে এই ঘোষণাটি বাদ দেয়া হয়েছে। )


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।