আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাগৈতিহাসিক ম্যাতকার নামা১ : আমাদের জাতীয় সঙ্গীত ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর



মূল পোস্টটির লিংক গুগলে দিয়া ক্যাশেতে ক্লিকান আরো পড়ুন : রবি ঠাকুর হতেন ভারতীয় রাজাকারদের প্রধান... বেশ কিছুদিন আগে ব্লগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন সংক্রান্ত লেখা নিয়ে বেশ তোলপাড় হয়েছিল। অনেকের কথা শুনে মনে হয় জাতীয় সঙ্গীত আসমান হতে অবর্তীর্ন কোন বস্তু। এর কোনরকম পরিবর্তন পরিবর্ধন করা যাবে না। সত্যিই কি তাই? জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করা কি একেবারেই অসম্ভব? পৃথিবীর কোন দেশে কি জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করা হয়নি প্রয়োজনের খাতিরে? খুব বেশী দুরে তাকানোর প্রয়োজন নেই। কিছুদিন আগেই তো আফগানিস্থানের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করা হলো।

সেটা নিয়ে আবার বিতর্কও চলছে। জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন বা এটি নিয়ে বিতর্ক করা যাবে না, এরকম ধারনার বশবর্তী হয়ে বসে থাকার অবকাশ রয়েছে কি? এবার আসি আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের ব্যাপারে। প্রথমত রবি সাহেবের (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) দেশপ্রেম নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। হ্যা, বাংলা ভাষার প্রতি তার অবদানের কথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। একজন অসম্ভব প্রতিভাবান সাহিত্যিক হিসেবে তিনি আমার কাছে সবসময়ই শ্রদ্ধেয়।

কিন্তু দেশ প্রেমিক হিসেবে? একটুও নয়! তিনি যে ব্রিটিশদের একজন অনুগত ব্যাক্তি ছিলেন, তার অসংখ প্রমাণ রয়েছে। যখন নজরুল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তাঁর লেখনির দ্বারা স্বাধীনতাকামী জনগনকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন, তখন আপনাদের দেশপ্রেমিক(!) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কি করেছিলেন? তিনি তখন ইংরেজদের তোষামদ করে রচনা করেছেন "জনগণমন অধিনায়ক জয় হে ভাগ্য বিধাতা" গানটি। গানটা লেখা হয়েছিল ১৯১১ সালের ডিসেম্বরে ভারতে সম্রাট ৫ম জর্জের আগমন উপলক্ষে। সম্রাট আগমনের দ্বিতীয় দিনে আপনাদের দেশপ্রেমিক(!) রবিন্দ্রনাথ নিজে কনগ্রেসে গানটি গেয়ে শোনান। এরকম আরো অনকে রচনা পাবেন যা ইংরেজদের প্রতি তাঁর আনুগত্যই প্রমাণ করে।

রবীন্দ্রনাথের "আমার সোনার বাংলা" নিয়ে পশ্চিম বঙ্গের লোকজন কি ভাবছে দেখুন- " ১৯০৫ সাল। নানা কারণেই এই বছরটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। এই বছরটিতেই তত্কালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন নবচেতনায় জেগে ওঠা ভারতীয় জাতীয়তাবাদের শ্বাসরোধ করার লক্ষ্যে বঙ্গভঙ্গের ঘোষণা করেন। .. .. ১৯০৫ সালের ২০ জুলাই বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়। ঐ বছরেরই ১৬ অক্টোবর (বাংলা মতে ১৩১২ খ্রিস্টাব্দের ৩০ আশ্বিন) থেকে তা কার্যকর করার কথা বলা হয়।

শ্রেণি বর্ণ নির্বিশেষে বাংলার সকল মানুষই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হন। বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে সামিল হন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও। ... ... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করলেন তার সেই বিখ্যাত গান- আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস,আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি। । ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে, মরি হায়, হায় রে - ও মা, অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কি দেখেছি মধুর হাসি।

। কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ কী মায়া গো- কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে । মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মত,- মরি হায়, হায় রে - মা তোর বদনখানি মলিন হলে; ও মা আমি নয়ন জলে ভাসি। । " এসব ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলে কি প্রমাণীত হয়? প্রমাণীত হয় তার এই বাংলাদেশের অস্তিত্বের চরম বিরোধী ছিলেন তিনি।

সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানকে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মেনে নেয়া কতটুকু যুক্তিসঙ্গত? ----------- মন্তব্যের ঘর হতে একটি মন্তব্যকে মূল পোষ্টে যুক্ত করা হলো আমার কিছু বক্তব্য সহকারে.. -- রবীন্দ্রনাথের 'আমার সোনার বাংলা' গানটি রচনার প্রেক্ষাপট এবং উপলক্ষ নিয়ে যারা অবগত আছেন তারা জানেন যে, এই গানটি লেখা হয়েছিল, বাংলাদেশের স্বাধীন অস্তিত্বের বিরুদ্ধে। ১৯০৫ সালে লর্ড কার্জনের নেতৃত্বে বঙ্গভঙ্গ করা হলে বাংলার পিছিয়ে পড়া মানুষজন অগ্রসর হতে থাকে। কিন্তু হিন্দুরা তা মেনে নিতে পারে নি। ফলে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে তারা সন্ত্রাসী আন্দোলন শুরু করে। এ আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন অন্যতম।

তিনি এসময় অখন্ড ভারতের পক্ষে বেশ কিছু গান লিখেন। আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি' তেমনি একটি গান। ১৯০৭ সালের ৭ আগস্ট কলকাতার বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের এক সমাবেশে এই গান প্রথম গাওয়া হয়। (উইকিপিডিয়া) ১৯১২ সালের ২৮শে মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিবাদে বিশাল এক জনসভা আহবান করা হয় কলিকাতার গড়ের মাঠে । আর এই সভাতে সভাপতিত্ব করেন স্বয়ং কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, যে কবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে এত আন্দোলন করলেন আবার তাকেই ১৯২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ১৯২৬ সালে সাদরে আমন্ত্রণ করে আনা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং দেয়া হয় বিপুল সম্বর্ধনা । তারপরেও তো ১৯৩৬ সালে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যে সম্মানসূচক ডিগ্রীটা পান এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই । .. সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার পর একেকজন হয় রবীন্দ্রনাথের অন্ধ পুজারী। ইতিহাস বিস্মৃত দূর্ভাগা জাতি...!!! রিলেটেড কিছু লিংক: ۞ জাতীয় কবি ও বিশ্বকবি : একটি পর্যালোচনা ۞ জাতীয় সংগীত পরিবর্তন ۞ বেঠোফেন অর্কেস্ট্রার পরিবেশনায় আফগানিস্তানের নতুন জাতীয় সঙ্গীত ۞ জাতীয় সংঙ্গীত টু রেব(বানানটা আসছে না) সঙ্গীত ۞ জাতীয় সঙ্গীত ও আমাদের কিছু অদ্ভুত আচরন ۞ বিশ্বকবি ও বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন ۞ মি: ক্লাইভ কে দেয়া রবীন্দ্রনাথের ম্যাসেজ ۞ ইউকিপিডিয়াতে রবীন্দ্রনাথ মন্তব্যসমূহ : ১. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:১৬ comment by: মদন বলেছেন: এই সংগীতটাও তো সুন্দর, পাল্টানোর দরকার কি? যুদ্ধের সময়ের পতাকা আর বর্তমান পতাকা কি এক?? নাকি পরিবর্তন করা হয়েছে? ২. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:১৯ comment by: মদন বলেছেন: রাজাকার সংক্রান্ত একটি পোস্ট http://tinyurl.com/3yd35p মন্তব্য প্রয়োজন, তথ্য প্রয়োজন। ৩. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:১৯ comment by: অমিত বলেছেন: হায়রে , এত কিসু বইলা শেষ পর্যন্ত এই উদাহরণ ? তাইলে কই, আজ্ঞে না, গানটা ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম কোন জর্জ কে নিয়াই লিখা না।

নিচর লিংকে যায়া কষ্ট করে একটু পইড়া নিয়েন। Click This Link ৪. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:১৯ comment by: অমিত বলেছেন: জালালাবাদ হত্যাকান্ডের পরে নাইট উপাধি ত্যাগ করসিল কে? আর আংরেজি শিক্ষার চক্কর তেকে মুক্ত পাওয়ার জন্য শান্তিনিকেতণ খুলচিল কে? আরো হাজার হাজার উদহারন আছে, কংগ্রেসে সুভাষ বসুর পক্ষে কে কতা কইত। গান্ধী যকন জেলে তকন জনমত কে গড়ত? ৫. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:২১ comment by: ত্রিভুজ বলেছেন: মদন, জাতীয় সঙ্গীত সুন্দর কি অসুন্দর তা নিয়ে কথা হচ্ছে না। স্বাধীনতার সময়ে ভূমিকার জন্য কিছু লোকের দেশের প্রতি কন্ট্রিবিউশন অনেকেই মেনে নেন না। সেই তারাই কি করে রবীন্দ্রনাথের গানকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মেনে নেন? ব্যাপারটায় কেমন ভন্ডামীর গন্ধ রয়েছে না? ভাল একটি প্রশ্ন করেছেন।

যুদ্ধের সময়ের পতাকা (যেটা দেখে মানুষ একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্নে বিভোর হয়েছিলো)-টা বদল করে বর্তমান পতাকা করা হয়েছিলো কেন? আমার জানা নেই, যাদের জানা আছে জানাতে পারেন। ৬. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:২১ comment by: অমিত বলেছেন: "যখন নজরুল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তাঁর লেখনির দ্বারা স্বাধীনতাকামী জনগনকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিলে.."------ নজরুল যে বৃটিশদের একজন হয়ে ১ম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এটা জানেন তো ??? ৭. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:২৫ comment by: ত্রিভুজ বলেছেন: অমিত, এখানেই মজাটা। রবীন্দ্রনাথ ছিলো আপনার আমার থেকে অনেক বেশী বুদ্ধিমান। তিঁনি বুঝতেন কখন কি করলে তার নিজের জনপ্রিয়তার জন্য ভাল হবে। আপনি আমাকে এটা বুঝান যে, তিনি যদি ইংরেজদের ঘৃনাই করতেন, তাহলে কি করে ১৯১১ সালের ডিসেম্বরে ভারতে সম্রাট ৫ম জর্জের আগমন উপলক্ষে "জনগণমন অধিনায়ক জয় হে ভাগ্য বিধাতা" গানটি রচনা করে আবার নিজেই গেয়ে শুনান? হয়তো আমার চিন্তাভাবনাগুলো ঠিক নয়.. কিন্তু এই ঘটনারটার ব্যাপারে একটা সুন্দর ব্যাখ্যা দিতে পারবেন? তাহলে আমার মত আরো অনেকেরই বুঝতে সহজ হয়ে যেতো।

৮. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:২৭ comment by: অমিত বলেছেন: ত্রিভুজ, লিংক যে একটা দিলাম সেটা পড়সেন ? ৯. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:২৯ comment by: ত্রিভুজ বলেছেন: "নজরুল যে বৃটিশদের একজন হয়ে ১ম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এটা জানেন তো ???" ভাল কথা বলেছেন.... প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ফ্রন্টগুলো কি কি ছিলো? এই আমরাই কিন্তু একসময় ভারত পাকিস্থান বিভাগে সমর্থন দিয়েছি, তাই বলে 'পাকিস্থান' সৃষ্টির সমর্থক হিসেবে ১৯৭১ এর সাপেক্ষে সবাইকে আপনি রাজাকার বা পাকিস্থানের সমর্থক বলতে পারেন না। ১০. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:৩১ comment by: অরূপ বলেছেন: অসাধারন পোস্ট! ত্রিভুজ সামহয়ারের সেরা ব্লগার ছিল অফিসিয়ালী বেশ লম্বা সময়ের জন্য। তার সুচিন্তিত লেখার ভক্ত পাঠককুলের সংখ্যাও কম নয়। গুয়াতেমালায় রকেট মেরে কি দরকার? ত্রিভুজ মানেই একটি ঝলমলে বিনোদন। হাত খুলে লিখে যান ত্রিভুজ ভাই।

আপনার জন্য উত্তম জাঝা! ১১. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৩ comment by: ত্রিভুজ বলেছেন: লিংকটা পড়ছি... আমিও আপনাকে এরকম আরো লিংক দিতে পারি যেখানে রবীন্দ্রনাথকে ব্রিটিশ বিরোধী হিসেবে বেশ ভালই উৎরে দেয়া যায়। !@@!923062 !@@!923063 !@@!923064.... আপনার লিংকটি পড়ছি.. কিন্তু তার আগে আপনি আমাকে এটা বুঝিয়ে দিন যে, তিঁনি যদি সত্যিই ইংরেজদের ঘৃনা করতেন, তাহলে কি করে ১৯১১ সালের ডিসেম্বরে ভারতে সম্রাট ৫ম জর্জের আগমন উপলক্ষে "জনগণমন অধিনায়ক জয় হে ভাগ্য বিধাতা" গানটি রচনা করে আবার নিজেই গেয়ে শুনান? এটা পেলেই আমি আপাতত সন্তুষ্ট.... এড়িয়ে যাবেন না প্লিজ! ১২. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৫ comment by: আবু সালেহ বলেছেন: ত্রিভুজ পরিবর্তন করা যায়..... কিন্তু তার আগে এর চেয়েও ভালো কিছু একটা ছাড়তে হবে....তাই নয় কি?? ১৩. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৬ comment by: ত্রিভুজ বলেছেন: অরুপ মিয়া, ব্যান করলাম.. কেন জানেন? এই ব্যানের কাজটা আপনি অন্যদের সবসময়ই করেন.. তবুও ব্যান বিরোধী আন্দোলনে আপনাকে সবার আগে দেখা যায়.. ডাবল ষ্ট্যান্ডার্ড লোকজন দেখলে খুব বিরক্ত লাগে.. বিরক্তিকর লোকজনের প্রবেশাধিকার রহিত করা হলো... ১৪. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৭ comment by: অমিত বলেছেন: আপনারা একটা জিনিস খুব সহজেই গুলায় ফেলেন। পাকিস্তান সমর্থক আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা। (এই তর্কটা আমি এখন শুরু করব না, আগে রবি সাহেব এর ব্যাপারটা ক্লিয়ার হোক) নজরুল যতদূর জানি যুদ্ধে গেসিলেন বার্মা আর নর্থ আফ্রিকা ফ্রন্টে। আপনে আবার ভাইবেন না, আমি নজরুলরে বৃটিশদের দালাল কইতাসি।

লিংকটা পড়সেন ? ১৫. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৭ comment by: এক পশলা বৃষ্টি বলেছেন: শুনবেন আরও...? ১৯১২ সালের ২৮শে মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিবাদে বিশাল এক জনসভা আহবান করা হয় কলিকাতার গড়ের মাঠে । আর এই সভাতে সভাপতিত্ব করেন স্বয়ং কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । মজার ব্যাপার হচ্ছে, যে কবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে এত আন্দোলন করলেন আবার তাকেই ১৯২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ১৯২৬ সালে সাদরে আমন্ত্রণ করে আনা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং দেয়া হয় বিপুল সম্বর্ধনা । তারপরেও তো ১৯৩৬ সালে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যে সম্মানসূচক ডিগ্রীটা পান এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই । ১৬. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৪ comment by: ত্রিভুজ বলেছেন: সহমত 'আবু সালেহ'.. কিন্তু ভাল কিছু নেই কে বললো? তাছাড়া আমার মূল আরেকটা পয়েন্ট আছে এই পোষ্টে... সেটা আপাতত হিডেন থাকুক।

পরে বের করে আনবো। এরকম আরো অনেক ঘটনা আছে.... অনেক ধন্যবাদ তথ্যটি শেয়ার করার জন্য। @ এক পশলা বৃষ্টি অমিত, আপনি 'এক পশলা বৃষ্টি'-র মন্তব্যের জবাবে কি বলবেন? ১৭. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৬ comment by: অমিত বলেছেন: আরে গানটা পূজা পর্বের গান। এই গানটা চিরন্তন ভারত ভাগ্যবিধাতারে নিয়া লেখা, সেটা আপনে ভগবানই ধরেন আর ভারতের জনগণকেই ধরেন। কলকাতা কংগ্রেস এর কয়েকদিন ব্যাপী সভার একদিনে গানটা গাওয়া হয়।

ঐ দিন উপস্থিত ছিলেন জর্জ ৫ না ৬ কোন বাল। আপনারা বোঝেন না যে সবার প্রতিবাদ একরকম না। গান্ধি প্রতিবাদ করসিল কিসু না খায়া, ক্ষুদিরাম করসিল বন্দুক দিয়া গুলি কইরা। এখন আপনে সবার থেকে একই ব্যবহার আশা করলে কেমনে হবে ? ১৮. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৫:০৩ comment by: অমিত বলেছেন: টাকের ওষুধের বিজ্ঞাপণেও রবীন্দ্রনাথের রেফারেন্স দেওয়া হত। সুতরাং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়তো অনেক বর ব্যাপার, কেউ যদি বলে যে প্রোনাজি সভাতে গুরুদেব হিটলারের গোঁফের বেজায় প্রশংসা করেছিলেন, তাতেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।

সুতরাং এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল হয়, যদি সেই সভায় রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য কি ছিল, সেটা বলতে পারেন। @এক পশলা বৃষ্টি ১৯. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৫:০৪ comment by: অমিত বলেছেন: বর=বড় হবে। ২০. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৫:১১ comment by: এস্কিমো বলেছেন: এবার ধন্যবাদ রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের নামের বানান ঠিক মতো লেখার জন্য। আপনি এবারও পিছনে পড়লেন। এই বিষয়ে অনেক আগে ড. আফতাব আহম্মদ নামক একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক একটা দাবী উঠিয়েছিলেন।

যাই হোক, গতকাল এই বিষয়ে বলেছি। রবি ঠাকুর কাদের জন্যে এলার্জিক। আপনি অবশেষে আশরাফ রহমানকেই গুরু মানলেন - যিনি প্রমান করার চেষ্টা করেছেন রবি ঠাকুর হিন্দু ছিলেন। এতো সহজ মূল্যায়ন করে আমরা নিজেদের জ্ঞানের গভীরতাই প্রকাশ করি - এতে রবি ঠাকুরের কিছুই আসে যায় না। এখন বলুন - নতুন জাতীয় সংগীতটা কি হবে ?@ত্রিভুজ ২১. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৫:১৪ comment by: ত্রিভুজ বলেছেন: "আরে গানটা পূজা পর্বের গান।

এই গানটা চিরন্তন ভারত ভাগ্যবিধাতারে নিয়া লেখা, সেটা আপনে ভগবানই ধরেন আর ভারতের জনগণকেই ধরেন। " --- হাইকোর্ট দেখাইলেন @ অমিত? ২২. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৫:১৫ comment by: অমিত বলেছেন: "লায়লি তোমার এসেছে ফিরিয়া, মজনুগো আঁখি খোল..." ২৩. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৫:১৬ comment by: অমিত বলেছেন: না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ভবনের ক্লাস দেখাইসি.. ২৪. ০৯ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৫:২৬ comment by: অমিত বলেছেন: আইজকা যাইগা। অনেক ক্যারাব্যারা করসি। এসবের কোন অর্থ নাই জানি। এই যুগে আইসা কেউ যদি কয় যে রবীন্দ্রনাথের দেশপ্রেম নাই, তারে বুঝাইতে যায়া আমি যে বোকামীর পরিচয় দিসি, তাতে জনগণ আমারে এখন না কোপাইলেই হয়... ২৫. ০৯ ই জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০৪ comment by: আশরাফ রহমান বলেছেন: এস্কিমো- আমি আমার পোস্টের কোথাও বলি নাই যে রবীন্দ্রনাথ হিন্দু ছিলেন।

আমি প্রমাণ করে দেখিয়েছি যে, তিনি ব্রাম্ম সমাজের একজন হয়েও হিন্দু প্রেমী ছিলেন। আমার কথা যে সত্য তার প্রমাণ আপনিই দিয়েছেন। আগের এক পোস্টে বলেছেন যে, আশরাফ বলেছেন রবীন্দ্রনাথ হিন্দু ছিলেন। আর এখানে বললেন , *আপনি অবশেষে আশরাফ রহমানকেই গুরু মানলেন - যিনি প্রমান করার চেষ্টা করেছেন রবি ঠাকুর হিন্দু ছিলেন। * সুতরাং আমি যা বলিনি তা প্রমাণের জন্য আপনি যে অসত্যের আশ্রয় নিয়েছেন তা আপনার মন্তব্য থেকেই বুঝা যায়।

এবার পোস্টের ব্যাপারে বলি। রবীন্দ্রনাথের 'আমার সোনার বাংলা' গানটি রচনার প্রেক্ষাপট এবং উপলক্ষ নিয়ে যারা অবগত আছেন তারা জানেন যে, এই গানটি লেখা হয়েছিল, বাংলাদেশের স্বাধীন অস্তিত্বের বিরুদ্ধে। ১৯০৫ সালে লর্ড কার্জনের নেতৃত্বে বঙ্গভঙ্গ করা হলে বাংলার পিছিয়ে পড়া মানুষজন অগ্রসর হতে থাকে। কিন্তু হিন্দুরা তা মেনে নিতে পারে নি। ফলে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে তারা সন্ত্রাসী আন্দোলন শুরু করে।

এ আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন অন্যতম। তিনি এসময় অখন্ড ভারতের পক্ষে বেশ কিছু গান লিখেন। আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি' তেমনি একটি গান। ১৯০৭ সালের ৭ আগস্ট কলকাতার বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের এক সমাবেশে এই গান প্রথম গাওয়া হয়। (উইকিপিডিয়া) সুতরাং বাংলাদেশের উন্নতি ও অগ্রগতির বিরুদ্ধে যে গানটি রচিত হয়েছে তা কিভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হতে পারে তা আমার বুঝে আসে না।

যারা এখনো অখন্ড ভারতের স্বপ্ন দেখেন তাদের দৃষ্টিতে এটি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হওয়া যৌক্তিক হয়েছে। কিন্তু যারা গানটি রচনার প্রেক্ষাপট এবং উদ্দেশ্য জানেন তারা কোনক্রমেই একে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মেনে নিতে পারেন না। ২৬. ০৯ ই জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০৯ comment by: এস্কিমো বলেছেন: @আশরাফ রহমান - বুঝলাম। আপনার পছন্দ না গানটা। সমস্যা আপনি নিজের কথা বলছেন না।

বলছেন একটা গোষ্ঠীর কথা যারা শুরু থেকেই নানান বাহানায় এই গানটাকে জাতিয় সংগীত করার বিপক্ষে। এখন বলুন কোন গানটা জাতীয় সংগীত হিসাবে আপনার পছন্দ? @আশরফ ও ত্রিভূজ ২৭. ০৯ ই জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:২১ comment by: আশরাফ রহমান বলেছেন: এস্কিমো-গানটা আমার অপছন্দ না। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লেখা একটি গান বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হোক তা আমি চাইনা। কোন গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত করলে ভাল হয় সে সম্পর্কে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে কোন আহবান এলে আমি নিজেও মতামত দেবো। তবে গান নির্বাচনের ক্ষেত্রে গানের রচয়িতা বাংলাদেশ প্রেমীক কিনা তার দেখতে হবে।

গানটির কথায় দেশপ্রেমের চেতনা থাকতে হবে। যেকোন মুল্যে দেশকে রক্ষার জন্য ইস্পাত কঠিন ঐক্যের শপথ থাকতে হবে। এ ধরণের গান না পাওয়া গেলে একটি বোর্ড গঠন করে প্রয়োজনে নতুন গান লিখিয়ে নিতে হবে। ২৮. ০৯ ই জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯ comment by: এস্কিমো বলেছেন: বোর্ডে কে কে থাকবে, (আপনি আর ত্রিভুজ) গো. আ. নিজামী আর রেন্টু.. রাস্ট্রীয় পর্যায় কেন , এখানে বলতে লজ্জা কি? ২৯. ০৯ ই জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩ comment by: মদন বলেছেন: আমি বর্তমান জাতিয় সংগীত পরিবর্তনের পক্ষে না। এটাতে চলে যাচ্ছে।

সমস্যা তো হচ্ছে না। রবীন্দ্রনাথের "আমার সোনার বাংলা" গানটি বাংলাদেশকে ঘিরে নয়, তার গানটি লিখেছিলেন ততকালীন অবিভক্ত বাংলাকে নিয়ে। আর তিনি বাংলার বিভক্তিকরনও চান নাই। কাজেই তার গানটি মুলত আমাদের বাংলাদেশের জন্য নয়। এটা বাংলাদেশ-কলকাতা সহ ততকালীন বাংলা কে নিয়ে।

৩০. ০৯ ই জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:০০ comment by: হেজাব বলেছেন: @ত্রিভূজ, আপনের মেইন পয়েন্টটা কি? মানে আপনে কি চাচ্ছেন? (এইটা পোষ্টের প্রক্ষিতে করা) [স্বাধীনতার সময়ে ভূমিকার জন্য কিছু লোকের দেশের প্রতি কন্ট্রিবিউশন অনেকেই মেনে নেন না। ] সেই "কিছুলোকের দেশের প্রতি কন্ট্রিবিউশন" গুলা কি কি ছিল কান্ডইলি একটু বলেন। ধন্যবাদ ৩১. ০৯ ই জুন, ২০০৭ রাত ৮:২৩ comment by: রবিনহুড বলেছেন: একটু পরে আইস্যা উত্তর দিতেছি। হাতে টাইম নাই। ৩২. ০৯ ই জুন, ২০০৭ রাত ৮:৩০ comment by: জিললু বলেছেন: বঙ্গ ব্ঙ্গ রদে রবি বাবুর ভাল ভূমিকা ছিল ।

৩৩. ০৯ ই জুন, ২০০৭ রাত ৮:৫০ comment by: কেমিকেল আলী বলেছেন: যারা রবি ঠাকুরের গানকে আমাদের জাতিয় সংগীত বানালেন তারা কি ত্রিভুজ ও আশরাফ রহমানের পয়েন্টগুলো জানতেন না? আমার মনে হয় তারা তা ভালভাবেই জানতেন, এমনকি বেশিও জানতে পারেন। আর তারা জেনেই বা কেন এই কাজ করল? মরহুম ডঃ আফতাব আহমেদ একজন ইতর প্রকৃতির লোক ছিলেন। ৩য় শ্রেনী নিয়েও যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছিলেন। আর জাতিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি থাকাকালীন সময়ে জুই নামের মেয়ের কথা আমরা সবাই জানি। প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জীবনি লেখার নাম করে ১৫ লক্ষ টাকা আত্মসাতের ঘটনার নায়ক ও তিনি।

তিনি করলেন জাতিয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি। একটা গ্রহন যোগ্য দাবি তিনি বা অন্য কেউ করতেই পারে। কিন্তু আমরা যদি সেই ব্যাক্তির পিছনের ইতিহাস টানি সেইটা তার জন্য সুখকর হবে না। বিষয়টা একদমই রবিন্দ্রনাথের আর আমাদের জাতিয় সংগীতের মত। ৩৪. ০৯ ই জুন, ২০০৭ রাত ৯:১২ comment by: ত্রিভুজ বলেছেন: কেমিকেল আলী , আমার পোষ্টের বক্তব্যের সাথে আপনার মন্তব্যটা কি মানানসই? হেজাব, ওটা একটা উদাহরন ছিলো।

আপনি যদি বলেন যে কারো অতীত ভূমিকার জন্য বর্তমানে তার কোনকিছুই মেনে নেয়া হবে না, সেক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান কি করে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মেনে নেন? ডাবল ষ্টান্ডার্ড হয়ে গেল না? বাই দ্য ওয়ে, ভাববেন না যে সেই কিছু লোককে আমি সমর্থন করি... স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের ভূমিকার ব্যাপারে লোক মুখে শুনা অনেক কথারই বাস্তবতা খতিয়ে দেখার জন্য ষ্টাডি করছি... যথেষ্ট স্টাডি না করা পর্যন্ত তাদের সমর্থন বা অসমর্থন করাতে যাচ্ছি না.... আপাতত এই বিষয়ের সাপেক্ষে আমি নিরপেক্ষ... তাহলে জাতীয় সঙ্গীত শুনার সময় কি আমরা কলকাতানদেরও আমাদের অংশ বলে ভাববো? তাতে আমাদের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন থাকবে? @ মদন ' অনেক তথ্য ও যুক্তিমূলক কথা বলেছেন আশরাফ রহমান। সেখান থেকে কিছু কথা মূল পোষ্টে যুক্ত করতে যাচ্ছি.... ধন্যবাদ। ৩৫. ০৯ ই জুন, ২০০৭ রাত ৯:১৬ comment by: কেমিকেল আলী বলেছেন: ত্রিভুজ কেন নয় বলুন তো? ৩৬. ০৯ ই জুন, ২০০৭ রাত ৯:১৬ comment by: এস্কিমো বলেছেন: আমার প্রশ্নের জবাব? এখন বলুন কোন গানটা জাতীয় সংগীত হিসাবে আপনার পছন্দ? @আশরফ ও ত্রিভূজ ৩৭. ০৯ ই জুন, ২০০৭ রাত ৯:৪২ comment by: ত্রিভুজ বলেছেন: কেমিকেল আলী, আমি পোষ্টে আরো নতুন কিছু বিষয় যুক্ত করেছি। আগেরগুলোও আছে... আমি আবার প্রথম থেকে আপনার আমার লেখা, সবার মন্তব্য ও আপনার লেখাটা পড়ছি... তারপর বলবো...... (হয়তো আমি আপনার বক্তব্য বুঝতে পারিনি....) ৩৮. ০৯ ই জুন, ২০০৭ রাত ৯:৪৫ comment by: ত্রিভুজ বলেছেন: @ এস্কিমো কোনটা জাতীয় সঙ্গীত হওয়া উচিত, সেটা ঠিক করার জন্য লোকের অভাব নেই... আমার বক্তব্য ছিলো রবীন্দ্রনাথের গান (যেটা আসলে দুই বঙের জন্য লেখা হয়েছিলো)-টা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হবার যোগ্য কিনা যাচাই করা... এই টপিকের আলোচনার শেষে যদি দেখা যায় যে আমার যুক্তি ভুল ছিলো, তখন আমার অবস্থান পরিবর্তন করতে একটুও কষ্ট হবে না। আর যদি দেখা যায় যে আমার দাবী যৌক্তিক ছিলো, তখন আপনাদের উচিত তা মেনে নেয়া।

৩৯. ০৯ ই জুন, ২০০৭ রাত ৯:৫৮ comment by: ত্রিভুজ বলেছেন: কেমিকেল আলী, জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে রবীন্দ্রনাথের গান থাকবে কি থাকবে না, এই তর্কের সাথে "মরহুম ডঃ আফতাব আহমেদ" এর সম্পর্কটা কোথায়? আমি কি কোথাও 'মরহুম ডঃ আফতাব আহমেদ' এর উল্লেখ করে এই দাবী করেছি যে উনি বলেছেন তাই জাতীয় সঙ্গীত রচিয়তা হিসেবে রবীন্দ্রনাথ'কে মানি না! ...... চিন্তা করে দেখুন! এবার আসি আপনার অন্য পয়েন্টটির ব্যপারে- "যারা রবি ঠাকুরের গানকে আমাদের জাতিয় সংগীত বানালেন তারা কি ত্রিভুজ ও আশরাফ রহমানের পয়েন্টগুলো জানতেন না? আমার মনে হয় তারা তা ভালভাবেই জানতেন, এমনকি বেশিও জানতে পারেন। আর তারা জেনেই বা কেন এই কাজ করল?" ..... এই প্রশ্ন আমারো। সেজন্যই এই পোষ্ট.... সবার আলোচনা থেকে সঠিক বিষয়টি বের হয়ে আসবে হয়তো তাতে। আপনি আমার যুক্তি ও তথ্যগুলো ভ্যালিড না ইনভ্যালিড তা বিচার করুন। ধরে নিলাম "আমার সোনার বাংলা" গানটি জাতীয় সঙ্গীত করেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষ।

আমরা কেন তাঁর চোখ দিয়ে দেখবো? আমাদের নিজেদেরও চোখ ও বুদ্ধি বিবেক রয়েছে। সেটার ব্যাবহার কেন করবো না? ৪০. ০৯ ই জুন, ২০০৭ রাত ১০:০৪ comment by: এস্কিমো বলেছেন: আপনার দাবীটা কি? ১) রবীন্দ্রনাথ ইংরেজের তাবেদার ছিলেন। ( রবি সাহেব নামকরনের কারন) ২) রবীন্দ্র নাথ হিন্দু ছিলেন। ৩) গানটা বাংলাদেশের জন্যে লেখা হয়নি। দেখুন, বাংলাদেশের জন্যে রবি ঠাকুর এই গান লিখেননি বা উনি কাউকে অনুরোধও করেন নি এটাকে বাংলাদেশের জাতিয় সংগীত বানাতে।

আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের আগেই এটাকে আমরা জাতীয় সংগীত হিসাবে গ্রহন করি। এটা আমাদের ইতিহাসের অংশ। এটা অনেকের তখনও ভাল লাগেনি - আজও লাগছে না। যা বিস্তারিত আমার পোস্টে বলেছি। প্রশ্ন হলো আপনি কোন দলে? আমার রবি ঠাকুরের একটা চমতকার গানকে আমাদের জাতীয় সংগীত করে আমাদের মর্যাদাকেই বাড়িয়েছি।

এখন আপনার কাছে কোন সংগীত আছে কিনা যা আপনার দৃষ্টিতে এর চেয়ে উত্তম। বলুন। আমিও ভেবে দেখবো এবং মুক্তমনে সেটা বিবেচনা করবো। প্রয়োজনে আশরফ রহমানের পরামর্শ নিতে পারেন। ৪১. ০৯ ই জুন, ২০০৭ রাত ১০:০৪ comment by: কেমিকেল আলী বলেছেন: ত্রিভুজ, আপনি জানেন কি না জানি না কিন্তু আমি জানি না কিভাবে জাতিয় সংগীত লোকেরা নির্বাচন করে।

এর হয়ত কিছু বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার যা রবি ঠাকুরের গানে আছে/ছিল। সেই সময় হয়ত এর থেকে ভাল কোন গান পাওয়া যায়নি। আর এখন জাতিয় সংগীতের মত একটা স্পর্শকাতর বিষয় কেউই চাইবে না তা পরিবর্তন করে ঝামেলায় জড়াক, কারন খুবই স্বাভাবিক - তাদের ভোট। কিন্তু তার মানে এই নয় যে এইটা পরিবর্তন করা সম্ভব না। কিন্তু দেখতে হবে এর থেকে ভাল আর কি আছে? বা আছে কি না? বা পরিবর্তন করার যৌক্তিকতাই বা কতটুকু? আপনারা যে দুইটা পয়েন্ট বলেছেন তা ঠিক আছে।

কিন্তু এও ঠিক যে তার থেকে বড় কারনও আছে - রাখার পক্ষে। ৪২. ০৯ ই জুন, ২০০৭ রাত ১০:২৫ comment by: হেজাব বলেছেন: @ত্রিভূজ, ঠিকাছে আপনি স্টাডি করেন। সময় হলে স্টাডি করে কি পেলেন জানাবেন দ্য়া করে। এবার আসি আপনার পোষ্টে: [এবার আসি আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের ব্যাপারে। প্রথমত রবি সাহেবের (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) দেশপ্রেম নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।

]---আপনার সন্দেহ অমূলক। কারণ আমার জানা মতে উনি কখনও ভারতবর্ষ ইংরেজ শাষণ থেকে স্বাধীণ হোক তার বিরোধিতা করেন নাই। বরঞ্চ স্বাধীণতার পক্ষেই উনি সব সময় সোচ্চার ছিলেন। [তিনি যে ব্রিটিশদের একজন অনুগত ব্যাক্তি ছিলেন, তার অসংখ প্রমাণ রয়েছে। ]---হইতে পারেন আপনার ভাষ্য/চিন্তা মতে তবে তার এই কর্ম কখনই আনুগত্য প্রমাণ করে আর এও না যে উনি দেশ বিরোধী ছিলেন (উদাহরণ: উপাধি প্রত্যাহার) [যখন নজরুল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তাঁর লেখনির দ্বারা স্বাধীনতাকামী জনগনকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন]----কথা হচ্ছে রবি বাবুরে নিয়া মাঝখানে নজরুল ভাইরে অহেতুক প্রবেশ করাইছেন, দরকার ছিল না।

[তখন আপনাদের দেশপ্রেমিক(!) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কি করেছিলেন? তিনি তখন ইংরেজদের তোষামদ করে রচনা করেছেন "জনগণমন অধিনায়ক জয় হে ভাগ্য বিধাতা" গানটি। গানটা লেখা হয়েছিল ১৯১১ সালের ডিসেম্বরে ভারতে সম্রাট ৫ম জর্জের আগমন উপলক্ষে। সম্রাট আগমনের দ্বিতীয় দিনে আপনাদের দেশপ্রেমিক(!) রবিন্দ্রনাথ নিজে কনগ্রেসে গানটি গেয়ে শোনান। ]------হইতে পারে। কারণ উনি বিশিষ্ট মানুষ বিভিন্ন পালা পার্বনে বিশিষ্ট মানুষদের বিভিন্ন জায়গায় যাইতে হয়।

যেমন: এরশাদ সাহেব রুনা লায়লাদের গান পরিবেশনে জন্য ডাকতেন বিদেশী মেহমান আসলে। কিন্তু তাই বইল্লা রুনা লায়লা দেশদ্রোহী হইয়া যায় না। আপনেরে চিন্তা করতে হবে ঐ ঘটনা ১৯১১ সালের। মানে ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের (সেই ১৭৪৭ সাল থেকে) শুরুর কত পরের ঘটনা। তখনকার পরিস্থিতিও চিন্তা করতে হবে।

[এরকম আরো অনকে রচনা পাবেন যা ইংরেজদের প্রতি তাঁর আনুগত্যই প্রমাণ করে। ]----দুই একটা উদাহরণ দিলে বাধিত হইতাম (চলবে) ৪৩. ০৯ ই জুন, ২০০৭ রাত ১০:২৬ comment by: ত্রিভুজ বলেছেন: @ কেমিকেল আলী, হয়তো রাখার পক্ষে অনেক যুক্তি আছে। থাকতেই পারে। তবে কেউ যদি মনে করে "আমার সোনার বাংলা" গানটার চেয়ে যোগ্য গান আর নেই, সেটা আমি মানতে রাজী নই। পরিবর্তন করার যৌক্তিকতাও আসলে খুব বেশী নাই যদি আপনি কারো কাজের মূল্যায়ন করে থাকেন তার ইতিহাস মূল্যায়ন না করে।

কিন্তু যে আমরা অনেকের ইতিহাস মূল্যায়ন করে বর্তমানের কাজগুলো মানতে পারি না (সেটা ভাল কি খারাপ তা বিবেচনা না করে)... সেই আমরাই কি করে রবীন্দ্রনাথের অতীত জানার পরেও তাকে আমাদের জাতীয় কবির আসনে বসাই এবং তাঁর গানকে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত হিসানে নির্বাচন করি? ব্যাপারটা স্ববিরোধীতা হয়ে গেল না? নিজেকে ডাবল ষ্টান্ডার্ড ভন্ড ভাবতে কে চায় বলুন? ৪৪. ০৯ ই জুন, ২০০৭ রাত ১০:২৭ comment by: আশরাফ রহমান বলেছেন: *আমরা রবি ঠাকুরের একটা চমতকার গানকে আমাদের জাতীয় সংগীত করে আমাদের মর্যাদাকেই বাড়িয়েছি। * এস্কিমো- কথাটা ঠিক হলো না। এভাবে বলেন, রবীন্দ্রনাথের অখন্ড ভারতের স্বপ্নকে নিয়ে লেখা একটি গানকে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত করে আমরা ভারতের গোলাম হিসেবেই নিজেদের পরিচয় দিয়েছি। ৪৫. ০৯ ই জুন, ২০০৭ রাত ১০:৩০ comment by: ত্রিভুজ বলেছেন: @ হেজাব, আমি কথা বলেছি তথ্য ও যুক্তি দিয়ে। আপনি আমার যুক্তি ও তথ্যগুলোকে ভাঙার চেষ্টা করুন।

গায়ের জোরে ব্যালট বক্স ছিনতাই করে সংসদে যাওয়া যায়, তর্কে জেতা যায় না। আমি বেশ কয়েকটা দিয়েছি অলরেডী.. সেগুলোই আগে ভাঙ্গুন না.. তারপর না হয় নতুন ঘটনার কথা বলবো.... ..!@@!926673 !@@!926674 !@@!926675 !@@!926676 !@@!926677.. !@@!926678 !@@!926679 !@@!926680 !@@!926681 !@@!926682 !@@!926683 ৪৬. ০৯ ই জুন, ২০০৭ রাত ১০:৩০ comment by: হেজাব বলেছেন: দেশদ্রোহী = স্বৈরাচারী হবে ৪৭. ০৯ ই জুন, ২০০৭ রাত ১০:৪১ comment by: সুমি বলেছেন: কঠিন বিষয় -- আমি ভাল ভাবে না পড়ে বলতে পারছিনা। তবে আমি ছোট মুখে একটা কথা বলবো সেটা হল -- বিজয়ী আনন্দে আমরা আত্ম হারা-- আমরা ভুলে গেছি যে পরাজিত শক্তি কত ভংকর -- আজ না হউক শত বছর পরে হলে তারা আবার আঘাত হানবে শুধুই আমাদের জাতীয় সঙ্গীত নয়, আমাদের অস্তিত্তের উপর, আমাদের স্বাধীনতার উপর -- তার যাত্রা তারা শুরু করেদিয়েছে ৩৬ বছর আগ থেকেই-- তার নমুনা কিছুট্ আমার দেখেছি কদিন আগে-- জয় বাংলা-- ৪৮. ০৯ ই জুন, ২০০৭ রাত ১০:৪৮ comment by: হেজাব বলেছেন: [রবীন্দ্রনাথের "আমার সোনার বাংলা" নিয়ে পশ্চিম বঙ্গের লোকজন কি ভাবছে দেখুন- " ১৯০৫ সাল। নানা কারণেই এই বছরটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। এই বছরটিতেই তত্কালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন নবচেতনায় জেগে ওঠা ভারতীয় জাতীয়তাবাদের শ্বাসরোধ করার লক্ষ্যে বঙ্গভঙ্গের ঘোষণা করেন।

১৯০৫ সালের ২০ জুলাই বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়। ঐ বছরেরই ১৬ অক্টোবর (বাংলা মতে ১৩১২ খ্রিস্টাব্দের ৩০ আশ্বিন) থেকে তা কার্যকর করার কথা বলা হয়। শ্রেণি বর্ণ নির্বিশেষে বাংলার সকল মানুষই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হন। বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে সামিল হন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও। ]---------আপনি নিজেই লিখছেন "ভারতীয় জাতীয়তাবোধ" এবং বয়ান করতেছেন ১৯০৫ সালের ঘটনা যখন ভারতীয় বলতে এই উপমহাদেশকেই বুঝাইত আর ব্রিটিশ স্ট্রাটিজিই হচ্ছে "ডিভাইড এন্ড রুল" তাই সেই সময় যেকোন ধরনের ভাঙ্গাভাঙ্গীরই বিরুদ্ধে ছিলো ভারত বর্ষের লোকেরা ঠিক সেই রকমই রবি-সাহেবও ছিলেন [রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করলেন তার সেই বিখ্যাত গান- আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস,আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।

। ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে, মরি হায়, হায় রে - ও মা, অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কি দেখেছি মধুর হাসি। । কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ কী মায়া গো- কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে । মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মত,- মরি হায়, হায় রে - মা তোর বদনখানি মলিন হলে; ও মা আমি নয়ন জলে ভাসি।

। ] উনি "ডিভাইড এন্ড রুল" এর ফেরে যাতে পরতে না হয় হেই কারণেই "আমার সোনার বাংলা" রচনা করলেন কারণ উনি বাংলা প্রদেশের লোক বইল্লা। দিল্লীতে জন্মাইলে হ্য়ত লিখতেন "মেরা পেয়ারে দিল্লী"......... [এসব ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলে কি প্রমাণীত হয়? প্রমাণীত হয় তার এই বাংলাদেশের অস্তিত্বের চরম বিরোধী ছিলেন তিনি। ]-------এসব ঘটনা (আমার মন্তব্যসহ) পর্যালোচন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।