মানুষ মানুষের জন্যে
১) মহাদুর্ঘটনা।
২) কী সেই মহাদুর্ঘটনা ?
৩) তুমি কী জানো সেই মহাদুর্ঘটনাটি কি ?
৪) সেদিন যখন লোকেরা ছড়িয়ে থাকা পতংগের মতো ।
৫) এবং পাহাড়গুলো রং বেরঙের ধূনা পশমের মতো হবে৷
৬) তারপর যার পাল্লা ভারী হবে।
৭) সে মনের মতো সুখী জীবন লাভ করবে।
৮) আর যার পাল্লা হালকা হবে
৯) তার আবাস হবে গভীর খাদ৷
১০) আর তুমি কী জানো সেটি কি ?
১১) ( সেটি )জ্বলন্ত আগুন৷
নামকরণ :
প্রথম শব্দ ( আরবী -----------------) কে এর নাম গণ্য করা হয়েছে।
এটা কেবল নামই নয় বরং এর বক্তব্য বিষয়ের শিরোনামও । কারণ এর মধ্যে শুধু কিয়ামতের কথাই বলা হয়েছে।
নাযিলের সময় - কাল
এর মক্কী হবার ব্যাপারে সবাই একমত। বরং এর বক্তব্য বিষয় থেকে প্রকাশ হয় , এটিও মক্কা মু’ আযযমার প্রথম যুগে নাযিল হয়।
বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্য
এর বিষয়বস্তু হচ্ছে কিয়ামত ও আখেরাত ।
সর্বপ্রথম লোকদেরকে একটি মহাদুর্ঘটনা ! বলে আতংকিত করে দেয়া হেয়েছে , কি সেই মহাদুর্ঘটনা ? তুমি কী জানো সেই মহা দুর্ঘটনাটি কী ? এভাবে শ্রোতাদেরকে একটি ভয়াবহ ঘটনা অনুষ্ঠিত হবার খবর শোনার জন্য প্রস্তুত করার পর দু’টি বাক্যে তাদের সামনে কিয়ামতের নকশা এঁকে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে , সেদিন লোকেরা আতংকগ্রস্ত হয়ে এমনভাবে চারদিকে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকবে যেমন প্রদীপের আলোর চারদিকে পতংগরা নির্লিপ্তভাবে ছুটাছুটি করতে থাকে। পাহাড়গুলো সমূলে উৎপাটিত হয়ে স্থানচ্যূত হবে । তাদের বাঁধন থাকবে না। তারা তখন হয়ে যাবে ধূনা পশমের মতো।
তারপর বলা হয়েছে , আখেরাতে লোকদের কাজের হিসেব নিকেশ করার জন্য যখন আল্লাহর আদালত কায়েম হবে তখন কার সৎ কাজ তার অসৎকাজের চাইতে ওজনে ভারী এবং কার সৎকাজ তার অসৎকাজের চাইতে ওজনে হালকা , এরি , ভিত্তিতে সেখানে ফায়সালা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধরনের লোকেরা আরামের ও সুখের জীবন লাভ করে আনন্দিত হবে। আর দ্বিতীয় ধরনের লোকদেরকে এমন গভীর গর্তের মধ্যে ফেলে দেয়া হবে যেগুলো থাকবে শুধু আগুনে ভরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।