আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিসিসির সব মার্কেট এখন আ’লীগের নিয়ন্ত্রণে : বানানো হয়েছে দলীয় কার্যালয়



আইন এবং ডিসিসির কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই নিউ মার্কেটের ছাদে দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়াও সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন মার্কেটগুলো দখল করে বানানো হচ্ছে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়। এর মাধ্যমে মার্কেটগুলোতে চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগও পাওয়া গেছে। এক কোটি টাকারও বেশি উেকাচ নিয়ে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণের পেছনে সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা মোঃ মশিয়ার রহমানের খুঁটির জোর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলে জানিয়েছেন একাধিক সূত্র। সম্পূর্ণ প্ল্যানবহির্ভূত ওই মার্কেট নির্মাণ হলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।

এ ব্যাপারে কথা বলতে চাননি সম্পত্তি বিভাগ ও বাজার সার্কেলের কোনো কর্মকর্তা। কিন্তু অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ ও আওয়ামী লীগের দখল করা দোকানগুলো উদ্ধার করা হবে কিনা জানতে চাইলে ডিসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান রাজনৈতিক মন্তব্য ছুড়ে দিয়ে বলেন, সো হোয়াট, আপনারা আওয়ামী লীগের পেছনে লাগছেন কেন? ডিসিসির একাধিক সূত্রে এবং সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে একাধিক অবৈধ মার্কেট নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছেন। অন্যদিকে ডিসিসির মার্কেটগুলোতে দোকান দখল করে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় বানানো হচ্ছে। ডিসিসির একটি সূত্র জানায়, সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন ঢাকা নিউ মার্কেটের অভ্যন্তরে একতলার ওপর ছাদে দোকান নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা। এস্টেট/২৬৩(১) ২০০৯-২০১০ নম্বর স্মারকে ছাদের ওপর ৩ হাজার ১৭০ ফুট জায়গায় দোকান নির্মাণের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে।

কিন্তু একাধিক বিশেষজ্ঞ জানান, প্ল্যান ও নকশাবহির্ভূতভাবে একতলা ফাউন্ডেশনের ছাদে আরও একটি ফ্লোর নির্মাণ করা হলে যে কোনো সময় মার্কেট ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে ডিসিসির মালিকানাধীন রমনা শপিং কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় যুবলীগ কর্মীরা। মার্কেটের জায়গা দখল করে স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের অফিস কার্যালয় বানানো হয়েছে। এছাড়াও কাপ্তান বাজারের ১ ও ২ নম্বর ভবনের একাধিক দোকান দখল করে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় বানানো হয়েছে সুত্র: আমার দেশ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.