হাম্বালীগ হৈলে অফ যা। রাজাকার হৈলে গদাম।
প্রথমেই বলে নেই.. আমি কোন দলবাজিতে নাই। তবে আপাতত চরম এন্টি আওয়ামী লীগ। দেশে মাদক দ্রব্যের বিস্তারে আমরা যদি ভারতকে দায়ী করি ( কারণ দেশের একদিকে বঙ্গোপসাগর ছাড়া বাকি সব দিকেই ভারত।
মাদক নিশ্চই ভারত ছাড়া বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ে ভেসে আসবে না, তাই না?) তাহলে প্রশ্ন উঠে আমরা ফাকিস্তানের চর... প্রত্যেক মাসে সীমান্তে বিডিআর সহ বেসামরিক লোক ( হিন্দু ও মুসলমান দুই ধর্মেরই) হত্যার কোন ব্যাখ্যা নেই। ভারতকে ট্রানজিট দেয়া হচ্ছে শুনে আসছি অনেকদিন ধরে। তেল-গ্যাস রক্ষা নীতির জন্য আনু স্যারও রক্ষা পাননি। বিএনপি সরকার তো বিদ্যুতের খাম্বা লাগাইসে। এরা মনে হয় আর কয়েকদিন পর ঐ খাম্বাগুলান চুরি করবো... কওন যায় না।
পানির সংকটে চিন্তায় মাঝে মাঝে পাবলিকের হাগাও বন্ধ হৈয়া যায়। নিজের দলে রাজাকার রাইখা যুদ্ধাপরাধীদের সুষ্ঠু বিচারকল্পে অগ্রিম ফাঁসির দড়ি কিনে এনে নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়। তখনই খারাপ লাগে যখন তাগো বিরুদ্ধে কোন কথা কইতে গেলে হয় ডাইরেক্ট রাজাকার উপাধি পাওন লাগে। ব্লগে তো অনেক সুড়সুড়িওয়ালা তো কাউরে না জাইনাই দাদাগো নামে ছাগু জবাই দেয়া শুরু করেন। আবার পেমেন্টও হয় না-কি.. ইত্যাদি ইত্যাদি..
যাউকগা।
কথা অইলো, আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিয়ে যারা অন্ধভাবে চোখ দিয়ে দেখে ও কান দিয়ে সবকিছু শুনেও আওয়ামী বন্দনায় সদা ব্যস্ত। এদের একাডেমিক প্রোফাইল দেখলে আপনি নিজেও শিউরে উঠবেন। হিরোইনচি থেকে শুরু করে সব কিছিমের পাঁচমিশালি পাইবেন। টেন্ডারবাজি ছাড়াও সম্প্রতি তারা নতুন এক খেলায় রত। খেলাটির নাম নারী খেলা।
ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে কনসার্টে এ সোনার ছেলেরা মেয়েদের শ্লীলতাহানি প্রায় করেই ফেলেছিল.. পহেলা বৈশাখে টিএসসিতে সন্ধ্যার পর যারা ছিলেন, তারা দেখেছেন কিভাবে বিশেক মেয়ের উপর তারা হামলে পড়েছিল.. শিল্পী মাকসুদকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারির নামে গজল না গাওয়াতে পেরে প্রহার....চবিতে এক গ্রামবাসীর স্ত্রীকে উত্যাক্ত করা নিয়ে তাদের অস্ত্র প্রদর্শণী ও অবশেষে গণপিটুনী...একটা নতুন ডিজিটাল যুগকে নিয়ে আসছে দেশে। ইডেনে কেলেঙ্কারির কথা আর রাবিতে উত্যাক্ত করা ঐ আবাল নেতার থানা থেকে হোন্ডায় চড়ে হাসি হাসি মুখের কথা আর নাই বা বললাম। আজ এক ব্লগার তথ্য দিলেন, টঙ্গী সরকারী কলেজের ছাত্রলীগের মহিলা নেত্রীদের অনৈতিক কাজ নিয়ে...
ভাই.. কি কওনের বাকি আছে আর কন তো? অহন তো মনো অইতাসে সত্যি সত্যিই ছাত্রলীগ তাদের সংবিধানে "শিবলিঙ্গ লীগ অধ্যাদেশ" সংযোজন করসে। চলেন আমরা সাধারণ পাবলিকরাও অ্যাকশনে নামি। শিবিররাও রগ কাটার জন্য প্রস্তুত হন।
লিঙ্গ কেটে দিলে আরও ভাল। সেক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতাও হবে আপনাদের। আমরা আর পারছি না। আইন নিজেদের হাতে তুলে নেয়া ছাড়া কোন গতি নেই। এ গুটি কয়েক ছাত্রনেতার কাছে সমাজের বৃহৎ অংশ জিম্মি হয়ে থাকতে পারে না।
সংঘবদ্ধ হয়ে অলিতে গলিতে এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নেন। যেখানেই এরকম আকাম দেখবেন, সেখানেই জনতার ব্যানারে গণপিটুনী দিয়ে সাইজ করে দিবেন। সবার কাছেই এখন ছাত্রলীগের এ হর্সপাওয়ার ঘৃণীত হয়ে উঠেছে। সুতরাং এখনই সময় কিছু করার। ...
প্লাস-মাইনাস কোনটাই ভয় পাই না।
দিতেও পারেন.. আবার নাও দিতে পারেন। ছাত্রলীগ ও আওয়ামী ভাইয়েরা তাগো আপন বোন ও মাননীয় নেত্রীর কন্যা পুতুলের কথা জিকির করতে করতে কমেন্ট দিয়েন... তাতে কিছুটা ভদ্র গালি প্রসব করতে পারবেন।
ডিনারটা সেরে আসি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।