আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোজাগর [দ্বিতীয় পর্ব]



নেটের ভেতর দিয়ে সে আবারো বাইরে তাকাল। চান্দ্র-লাভায় ভেসে যাচ্ছে পৃথিবী। নিস্তব্ধতার ভেতর একঘেয়ে ছুটে চলেছে ট্রেন। মাঝে মাঝে দ্রুতবেগে আছড়ে পড়ছে ঘাসফড়িং কিংবা কোনো বড়সড় পোকা জানালায়, চকিতে হারিয়েও যাচ্ছে। হঠাৎ মনে হয় যদি মেয়েটি একা হতো, সাথে বাবা কিংবা সাথী কেউ না থাকতো, তাহলে? তাহলে কী হতো সে তা নিশ্চিত করে ভাবতে পারল না।

সে আবারো তাকাল মেয়েটির দিকে। তেমনিই আছে। নাগাড়ে ঘুমিয়ে চলেছে। ঈষৎ ভেজা হাওয়া, হয়তো বাইরে মৃদু ওস ঝরছে। তরঙ্গের মতো ভেসে যাচ্ছে জোৎস্না।

তখনই লক্ষ্য করল অয়ন মেয়েটির চমৎকার পা, আঙ্গুল আর মসৃণ খানিকটা রক্তাভ গোড়ালি। চকিতে উঁকি দিয়ে গেল নীলার আঁকিবুকির মতো ফাটা গোড়ালি, অমসৃণ পায়ের পাতা। সে মেয়েটিকে কল্পনায় কাছে টানলো। তার পারফিউমের গন্ধ পাচ্ছে। মেয়েটিও আশ্লেষে তাকে জড়িয়ে ধরলো।

তার ঈষৎ গোলাপী স্ফুরিত ঠোঁট। আতীব্র কামনায় তার জ্বলন্ত ঠোঁট দুটি নামিয়ে আনলো মেয়েটির ঠোঁটে। 'কলা, সা-গ-র ক-লা। ' বাইরে থেকে হকারের চিৎকার আছড়ে পড়লো। মিনারেল ওয়াটারের বোতল খুলে ঢক ঢক করে পানি খেল সে।

শাদা জুলফির দিকে বিরক্তির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষণ। কিন্তু লোকটি মলাটের ভেতর কি পেয়েছে কে জানে একবার চোখ তুলেও তাকালনা। ওস জড়ানো পূর্ণিমা রাত্রিকে বিঁধতে বিঁধতে ছুটে চলেছে ট্রেন। অয়ন ভদ্রলোককে বললো,`ঘুমাবেন না?' [চলবে]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।