আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জলবায়ুর পরিবর্তনের আমাদের ভূমিকা



জলবায়ুর পরিবর্তনের আমাদের ভূমিকা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতা সত্ত্বেও প্রকৃতিকে বশে আনা সম্ভব হয়নি। উপরন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রকৃতিকে বৈরী করে তুলছে। পৃথিবীতে আজ একটি সমস্যা নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা, লেখালেখি, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, প্রতিবাদ, র‌্যালী, মানববন্ধন ইত্যাদি সংঘটিত হচ্ছে। আর তা হলো জলবায়ু পরিবর্তন। মানুষ তার অগ্রযাত্রায় পরিবেশ থেকে নানা উপকরণ গ্রহণ করছে প্রতিনিয়ত।

পরিবেশের অনেক উপাদানই আছে যার পরিমাণ সীমিত। মানুষের অনবরত ব্যবহারের ফলে প্রকৃতির অনেক উপাদানই আজ প্রায় নিঃশেষ হওয়ার পথে যার প্রভাব পড়েছে পরিবেশের উপর। ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে বিশ্বব্যাপী। আর এতে করে পরিবেশ হয়ে উঠছে মানুষের জন্য বসবাসের অনুপযোগী। পরিবেশের নানা উপাদানকে মানুষ তার প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে যথেচ্ছ ব্যবহার করার ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী সার্বিক পরিবেশের বিপর্যয়কেই অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্ব পরিবেশ যে সকল হুমকির সম্মুখিন তা হলঃ  গ্রীন হাউস ইফেক্ট  ওজোনসত্মর ড়্গয়  মরম্নকরণ  প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি  জৈব বৈচিত্র ধ্বংস  নদ-নদীর প্রবাহ  পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা বৃদ্ধি ইত্যাদি উলেস্নখযোগ্য। বিশ্ব পরিবেশ বিপর্যয় দুই বা একদিন বা দুই এক বছরে সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ বছরের পর বছর মানুষ পরিবেশকে তার প্রয়োজনে ব্যবহার করতে গিয়েই পরিবেশকে বিপর্যয়ের সম্মুখীন করেছে। যার বেশির ভাগ প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের মত পৃথিবীর উন্নয়নশীল দরিদ্র রাষ্ট্রগুলোর উপর। পৃথিবীব্যাপী পরিবেশ বিপর্যয়ের এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে আগামী শতাব্দীতে পৃথিবী মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠবে।

আমাদের ভূমিকা..... কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় হলো An educational institution for higher learning. আর ছাত্র বলতে বুঝায়, The person who is studying.” কাজেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলেন সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে অধ্যয়নরত ব্যক্তি। কাজেই নিঃসন্দেহে তাদের মর্যাদা অত্যধিক। আর মর্যাদা বেশি হলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তাদের দায়িত্বটাও বেশি হওয়াই বাঞ্ছনীয়। তাই সুস্থ পরিবেশ রক্ষায় জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলায় আলাদাভাবে প্রত্যেকটি ব্যক্তির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধায় তা নিম্নে আলোকপাত করা হলো- (ক) পরিবেশবিজ্ঞানের জ্ঞান রাখা বাংলাদেশে মাত্র ১০-২০% জনগণ পরিবেশগত সমস্যা সম্পর্কে সচেতন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদেরও উল্লেখযোগ্য অংশের পরিবেশবিজ্ঞান সম্পর্কে ¯^”Q ধারণা নেই।

কাজেই পরিবেশ সুরক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উচিত সর্বাগ্রে Enviromental Science, Pollutants ইত্যাদি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ও ¯^”Q ধারণা রাখা। (খ) বায়ু দূষণ রোধ বায়ু দূষণ রোধে আমাদের করণীয়- 1. বায়ু দূষণের জন্য দায়ী NH4, CO, CO2, Pb, Dust, Agricultural Chemicals, C6H6, As প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞানার্জন ও পরিবেশকে এগুলোর ক্ষতি থেকে বাঁচানোর উপায় বলে দেওয়া 2. ধুমপানের ধোঁয়া, যান-বাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করার পক্ষে জনমত সৃষ্টি 3. পৃথিবীকে বেষ্টনকারী Green House Gas এর ভূমিকা পালনকারী CO2 সম্পর্কে জানতে হবে। তাছাড়া সূর্যের Infra-red রশ্মির দ্বারা উত্তপ্ত ভূপৃষ্ঠ থেকে নির্গত ও বন্দী হয়ে যাওয়া তাপের কারণে সৃষ্ট Global Warming রোধে যত্নবান থাকা প্রয়োজন। 4. ওজোন স্তরে গর্ত সৃষ্টিকারী Green House Gas যেমনঃ CO2(49-55%), CFC(14-25%), CH4 (12-18%) ও N2O (13-19%) এবং Ultra Violet Ray, Acid rain ইত্যাদির ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তোলা উচিত। 5. বন ও জলাশয় সংরক্ষণ ও ব্যাপক বৃক্ষরোপনে সহায়তা করা 6. পুরানো ও Two Stroke Engine চালিত বাহন পরিহার করা৯ এবং প্রাকৃতিক গ্যাস (CNG) চালিত বাহন ব্যবহার করা 7. ¯^v¯’¨Ki প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন উচ্ছিষ্ট জমা ও অপসারণ, ধরন অনুযায়ী আবর্জনাকে পৃথক করে সমবায় ভিত্তিতে ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা 8. হাঁচি ও কাশি দেওয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখা, মৃত জীবজন্তু বা শরীরের দূষিত কোন অংশ মাটিতে পুঁতে ফেলা 9. অতিরিক্ত অ্যারোসল ও অন্যান্য সেপ্র ব্যবহার না করা ইত্যাদি।

(গ) পানি দূষণের প্রতিরোধ- পানিকে দূষণমুক্ত রাখতে আমাদের যা যা করা উচিত তা নিম্নরূপ ঃ 1. পানিতে আবর্জনা/কীটনাশক/সার/ডিডিটি/বিষাক্ত দ্রব্য ইত্যাদি না ফেলা 2. Water treatment plant স্থাপনে উদ্বুদ্ধকরণ 3. উপযুক্ত পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা 4. ভূগর্ভস্থ পানির পরিমিত ব্যবহার 5. জমিতে প্রয়োগকৃত সার জলাশয়ে পতিত হওয়ার কারণে সৃষ্ট Eutrophication থেকে জলাশয়গুলোকে রক্ষা করার গুরুত্ব জনগণকে বুঝানো 6. হাজারীবাগ ট্যানারী কর্তৃক বুড়িগঙ্গার পানি দূষণের মতো কোন কলকারখানার বর্জ্যই যেন কোন জলাশয়ে পতিত হতে না পারে সে ব্যাপারে জনমত সৃষ্টি করা 7. কোন কোন এলাকার ভূগর্ভস্থ পানিতে সহনীয় মাত্রার (০.০৫ পিপিএম) অতিরিক্ত আর্সেনিক আছে তা জানা, As এর বিষক্রিয়া সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা এবং প্রয়োজনে দূষণ অঞ্চলের মানচিত্র প্রস্তুত করা 8. পানি দূষণ রোধে †¯^”Qv‡mex উদ্যোগ গ্রহণ করা বা করানো (যেমনঃ বদ্ধ জলাশয়কে কচুরিপানামুক্তকরণ) (ঘ) মাটিকে দূষণমুক্ত রাখা আমাদেরকে মাটিদূষণ রোধেও যত্নবান থাকতে হবে। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত কাজগুলো সম্পাদন করা যায়- 1. প্লাস্টিক ব্যাগ/পলিথিন পরিহার 2. বৃক্ষরোপন, পাহাড় ও উচ্চভূমি রক্ষা ইত্যাদির দ্বারা ভূমিক্ষয় রোধে উদ্বুদ্ধকরণ 3. ভূমিতে অপরিকল্পিত শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের কুফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা 4. রাসায়নিক সার ও বালাইনাশক৫ ব্যবহারে নিরুৎসাহিতকরণ 5. কৃষকদেরকে Rotation of Crops নীতির অনুসরণের গুরুত্ব বুঝানো 6. কৃষকদের জৈব সার ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ 7. গোবর, বিষ্ঠা, উচ্ছিষ্ট ও আবর্জনাকে জৈব সার ও বায়োগ্যাস তৈরিতে কাজে লাগাতে উৎসাহিতকরণ (ঙ) শব্দ দূষণ না করা- শব্দ দূষণ বলতে বুঝায়, পরিমিত শব্দের চেয়ে অতিরিক্ত যে শব্দ আমাদের বিরক্তি উৎপাদন করে এবং যা ¯^v‡¯’¨i পক্ষে ক্ষতিকর। ইংরেজিতে একে বলে “Sound pollution”| ২৫-৪৫ ডেসিবেল মাত্রার শব্দ মানুষের জন্য অধিক উপযোগী। পক্ষান্তরে ৮০-১২০ ডেসিবেল মাত্রার শব্দ পর্যায়ক্রমে একজন মানুষের শ্রবণশক্তি নষ্ট করে দিতে পারে। ৪ শব্দ দূষণ রোধে আমাদের করণীয় কিছু কাজ নিম্নরূপ ঃ 1. অতিরিক্ত শব্দে কথা না বলা, চীৎকার না করা, অট্টহাসি না হাসা ও D”P¯^‡i হাঁচি-কাশি না দেওয়া 2. জোরে রেডিও/ভিডিও/টিভি/গান না বাজানো৫ (প্রয়োজনে, নিজের কানে Ear Phone লাগিয়ে ক্যাসেটের আলোচনা/গান ইত্যাদি শোনা যেন অন্যের অসুবিধা না হয়) 3. হাইড্রোলিক হর্ণের ব্যবহার, যেখানে সেখানে জনসমাবেশ বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অনিয়ন্ত্রিত ও অযাচিতভাবে মাইকের ব্যবহার, নির্মাণ কাজ ও কারখানার উচ্চ শব্দ, ক্যাম্পাসে গোলাগুলি/বোমাবাজী, করিডোরে বিকট আওয়াজে শ্লোগান ইত্যাদির বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করা 4. Personal protection/Engineering Control এর ব্যবস্থা করা (শব্দ শোষক যন্ত্রের ব্যবহার, বায়ু পরিবাহিত শব্দ পথের ওপর প্রতিবন্ধক স্থাপন, মহাসড়ক থেকে কিছুটা দূরে বসবাস ইত্যাদি) (চ) পরিবেশ রক্ষা সংক্রান্ত আইন মেনে চলা- পরিবেশ রক্ষায় সংক্রান্ত সকল আইন ছাত্রছাত্রীদের আক্ষরিকভাবে মেনে চলা উচিত।

রাষ্ট্রীয় আইনের পাশাপাশি নৈতিক বিধানও মেনে চলা প্রয়োজন। আমাদের উচিত- 1. বৃক্ষ কর্তন না করা 2. ধুমপান না করা 3. পলিথিন ব্যবহার না করা 4. ট্রাফিক আইন মেনে চলা 5. বদ্ধ জলাশয়ে বা যত্র-তত্র প্রস্রাব-পায়খানা না করা এবং পরিবেশ নোংরা ও দূষিত না করা (হাদিসে এদুটিকে ‘কবীরা গুনাহ’ বলা হয়েছে। ) 6. পথ থেকে কষ্ট প্রদানকারী/নোংরা বস্তু অপসারণ করে উপযুক্ত স্থানে ফেলা ইত্যাদি। (ছ) পরিবেশগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা- পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। তাই, ছাত্রছাত্রীদের সর্বোচ্চ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পরিচয় দেওয়া উচিত।

এ লক্ষ্যে তাদের কিছু কিছু করণীয় নিম্নরূপ- 1. হলে/মেসে ঃ (ক) বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য ফেলার জন্য বিভিন্ন রঙের লেবেল করা বাক্স রাখা (খ) সবাই যেন বর্জ্যের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট বাক্সে তা ফেলে সে ব্যবস্থা করা (গ) হলের বাগান নষ্ট না করা (ঘ) শব্দ দূষণ না করা 2. বাথরুম ও টয়লেটে- (ক) নিজের কাজ শেষে বাথরুম বা টয়লেটকে অপরের ব্যবহারের উপযোগী করে রাখা (খ) প্রস্রাব-পায়খানার পর বেশি করে পানি ব্যবহার করা 3. কেন্টিন ও ডাইনিং এ- (ক) খাওয়ার টেবিল নোংরা না করা (খ) পানাহারের বস্তুতে দম নেওয়া বা ফু দেওয়া, 4. ক্লাস, ল্যাব ও ফ্যাকাল্টিতে- (ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনকে সহায়তা করা (খ) পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ সকল সম্পদের অপচয় রোধ করা 5. রাস্তাঘাটে- (ক) যেখানে সেখানে নাক পরিষ্কার না করা ও থুথু না ফেলা (খ) হাঁচি দেবার সময় রুমাল ব্যবহার করা (গ) সুগন্ধী ব্যবহার করা (জ) ¯^v¯’¨wewa মেনে চলা- রোগ তথা ¯^v¯’¨nxbZvI বহুলাংশে অসুস্থ পরিবেশের জন্য দায়ী। তাই আমাদের সবাইকে ¯^v¯’¨wewai যথার্থ অনুসরণ করতে হবে। সে লক্ষ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো- 1. খাদ্যাভ্যাসে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আণয়ন ও পরিমিত পরিমাণে সুষম খাদ্য খাওয়া 2. বিশুদ্ধ পানি পান করা 3. নিয়মিত পেট পরিষ্কার রাখা 4. শরীরে ও মুখে দুর্গন্ধ না থাকার ব্যবস্থা করা 5. সংক্রামক ও ছোঁয়াচে রোগ যেন ছড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা করা 6. প্রাথমিক ¯^v¯’¨ পরিচর্যার (First aid) জিনিসপত্র সাথে রাখা ইত্যাদি। (ঝ) সুস্থ রাজনীতি চর্চা অসুস্থ রাজনীতি সুস্থ পরিবেশ গড়ার পথে বড় বাধা। কাজেই সুস্থ রাজনৈতিক ধারা সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অবদান রাখা প্রয়োজন।

যেমনঃ 1. সুস্থ পরিবেশ রক্ষাকে সার্বজনীন রূপ দান করতে হবে। এটির রাজনৈতিক রূপ দান করা উচিত নয়। 2. হরতাল বা বিক্ষোভের সময় টায়ার জ্বালানো কিংবা গাড়ি ভাংচুরসহ এ জাতীয় কাজ পরিহার করতে হবে। 3. সন্ত্রাস, বোমা হামলা, যেখানে সেখানে পোস্টারিং ও ওয়ালরাইটিং ইত্যাদি পরিহার করতে হবে। (ঞ) সামাজিক দায়িত্ব পালন সুস্থ পরিবেশ রক্ষায় সামাজিক দায়িত্ব পালনের গুরুত্বও কোন অংশে কম নয়।

এ বিষয়ে আমাদের নিম্নোক্ত ভূমিকা রাখা উচিত- 1. মানুষকে পরিবেশ দূষণের কুফল ও এর প্রতিকার সম্পর্কে ধারণা প্রদান 2. অপরাধবিরোধী মানসিকতা গঠন 3. Pollution Control Board ও পরিবেশ আদালত গঠনের প্রচেষ্টা জোরদার করা 4. দুর্যোগকালীন সময়ে †¯^”Qv‡me‡Ki ভূমিকা পালন 5. †¯^”Qv‡meK সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা ঃ K. সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, পরিবেশ সংক্রান্ত পোষ্টার/নির্দেশনা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা L. বৃক্ষরোপন আন্দোলন পরিচালনা M. মানুষকে নির্দিষ্ট স্থানে (ডাস্টবিনে) আবর্জনা ফেলতে উদ্বুদ্ধ করা N. পরিবেশ দূষণকারীকে সতর্ক ও লজ্জিত করা O. অবসর সময়কে সমাজসেবামূলক/গঠনমূলক কাজে ব্যয় করা P. পরিবেশ রক্ষা সংক্রান্ত জ্ঞান বিস্তারে সহায়তা করা Q. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা, ¯^v¯’¨m¤§Z পায়খানার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। (ট) অন্যান্য দায়িত্বসমূহ 1. জীব-বৈচিত্র্য (Biodiversity) সংরক্ষণের প্রচেষ্টা 2. প্রাকৃতিক শক্তি (যেমনঃ প্রবাহবান বায়ু ও পানির শক্তি এবং সৌর শক্তি)-এর ব্যবহার বৃদ্ধি 3. রেডিয়েশনজনিত দূষণ রোধ 4. পরিবেশ রক্ষায় সচেষ্ট বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমনঃ Kyoto protocol এবং Convention on Biological Diversity (CBD) ইত্যাদির গঠনমূলক তৎপরতার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করা। 5. গুলশান, ধানমন্ডি ও আশুলিয়ার লেক ভরাটের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন (BAPA) এর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যেভাবে এগিয়ে এসেছিল সেভাবে যে কোন পরিবেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এগিয়ে Avmv| 6. প্লাস্টিক, কাঁচ, কম্পিউটার ও তৎসংশ্লিষ্ট সামগ্রী, সিডি ইত্যাদিকে ফেলে না দিয়ে Recycle এর জন্য সংরক্ষণ করা ইত্যাদি। শেষকথা পরিবেশকে নিয়ে আমাদের অবহেলা ও অবিবেচকের ন্যায় আচরণের ফলে ইতোমধ্যে অনেক অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। কাজেই আর যেন ক্ষতি না হতে পারে সেদিকে আমাদের প্রত্যেকের যত্নবান থাকা উচিত।

সুস্থ পরিবেশের উপকারিতা বিশেষ কোন গোষ্ঠীর জন্য সীমাবদ্ধ নয়। তাই পরিবেশকে সুস্থ রাখার ¯^v‡_© আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে থাকতে হবে পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের প্রথম সারিতে। তাই আসুন আগামী শতাব্দীর পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্য করে তোলার জন্য পৃথিবীর সকল মানুষ ধনী-দরিদ্র, উত্তর-দড়্গিণ ভেদাভেদ ভুলে জননীতুল্য পৃথিবীর অসিত্মত্ব রড়্গায় এগিয়ে আসি। সেই সাথে রিওডি জেনেরিওর ধরিত্রী সম্মেলন’১৯৯২, কিয়োটা প্রটোকল’১৯৯৭, বিশ্ব টেকসই সম্মেলন’২০০২ সহ বিশ্বব্যাপী সকল পরিবেশ সম্মেলনে গৃহীত প্রসত্মাবনা বাসত্মবায়নে সবাই জাতিসংঘের পতাকাতলে সমবেত হই।

জলবায়ুর পরিবর্তনের আমাদের ভূমিকা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতা সত্ত্বেও প্রকৃতিকে বশে আনা সম্ভব হয়নি। উপরন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রকৃতিকে বৈরী করে তুলছে। পৃথিবীতে আজ একটি সমস্যা নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা, লেখালেখি, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, প্রতিবাদ, র‌্যালী, মানববন্ধন ইত্যাদি সংঘটিত হচ্ছে। আর তা হলো জলবায়ু পরিবর্তন। মানুষ তার অগ্রযাত্রায় পরিবেশ থেকে নানা উপকরণ গ্রহণ করছে প্রতিনিয়ত।

পরিবেশের অনেক উপাদানই আছে যার পরিমাণ সীমিত। মানুষের অনবরত ব্যবহারের ফলে প্রকৃতির অনেক উপাদানই আজ প্রায় নিঃশেষ হওয়ার পথে যার প্রভাব পড়েছে পরিবেশের উপর। ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে বিশ্বব্যাপী। আর এতে করে পরিবেশ হয়ে উঠছে মানুষের জন্য বসবাসের অনুপযোগী। পরিবেশের নানা উপাদানকে মানুষ তার প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে যথেচ্ছ ব্যবহার করার ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী সার্বিক পরিবেশের বিপর্যয়কেই অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্ব পরিবেশ যে সকল হুমকির সম্মুখিন তা হলঃ  গ্রীন হাউস ইফেক্ট  ওজোনসত্মর ড়্গয়  মরম্নকরণ  প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি  জৈব বৈচিত্র ধ্বংস  নদ-নদীর প্রবাহ  পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা বৃদ্ধি ইত্যাদি উলেস্নখযোগ্য। বিশ্ব পরিবেশ বিপর্যয় দুই বা একদিন বা দুই এক বছরে সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ বছরের পর বছর মানুষ পরিবেশকে তার প্রয়োজনে ব্যবহার করতে গিয়েই পরিবেশকে বিপর্যয়ের সম্মুখীন করেছে। যার বেশির ভাগ প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের মত পৃথিবীর উন্নয়নশীল দরিদ্র রাষ্ট্রগুলোর উপর। পৃথিবীব্যাপী পরিবেশ বিপর্যয়ের এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে আগামী শতাব্দীতে পৃথিবী মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠবে।

আমাদের ভূমিকা..... কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় হলো An educational institution for higher learning. আর ছাত্র বলতে বুঝায়, The person who is studying.” কাজেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলেন সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে অধ্যয়নরত ব্যক্তি। কাজেই নিঃসন্দেহে তাদের মর্যাদা অত্যধিক। আর মর্যাদা বেশি হলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তাদের দায়িত্বটাও বেশি হওয়াই বাঞ্ছনীয়। তাই সুস্থ পরিবেশ রক্ষায় জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলায় আলাদাভাবে প্রত্যেকটি ব্যক্তির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধায় তা নিম্নে আলোকপাত করা হলো- (ক) পরিবেশবিজ্ঞানের জ্ঞান রাখা বাংলাদেশে মাত্র ১০-২০% জনগণ পরিবেশগত সমস্যা সম্পর্কে সচেতন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদেরও উল্লেখযোগ্য অংশের পরিবেশবিজ্ঞান সম্পর্কে ¯^”Q ধারণা নেই।

কাজেই পরিবেশ সুরক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উচিত সর্বাগ্রে Enviromental Science, Pollutants ইত্যাদি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ও ¯^”Q ধারণা রাখা। (খ) বায়ু দূষণ রোধ বায়ু দূষণ রোধে আমাদের করণীয়- 1. বায়ু দূষণের জন্য দায়ী NH4, CO, CO2, Pb, Dust, Agricultural Chemicals, C6H6, As প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞানার্জন ও পরিবেশকে এগুলোর ক্ষতি থেকে বাঁচানোর উপায় বলে দেওয়া 2. ধুমপানের ধোঁয়া, যান-বাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করার পক্ষে জনমত সৃষ্টি 3. পৃথিবীকে বেষ্টনকারী Green House Gas এর ভূমিকা পালনকারী CO2 সম্পর্কে জানতে হবে। তাছাড়া সূর্যের Infra-red রশ্মির দ্বারা উত্তপ্ত ভূপৃষ্ঠ থেকে নির্গত ও বন্দী হয়ে যাওয়া তাপের কারণে সৃষ্ট Global Warming রোধে যত্নবান থাকা প্রয়োজন। 4. ওজোন স্তরে গর্ত সৃষ্টিকারী Green House Gas যেমনঃ CO2(49-55%), CFC(14-25%), CH4 (12-18%) ও N2O (13-19%) এবং Ultra Violet Ray, Acid rain ইত্যাদির ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তোলা উচিত। 5. বন ও জলাশয় সংরক্ষণ ও ব্যাপক বৃক্ষরোপনে সহায়তা করা 6. পুরানো ও Two Stroke Engine চালিত বাহন পরিহার করা৯ এবং প্রাকৃতিক গ্যাস (CNG) চালিত বাহন ব্যবহার করা 7. ¯^v¯’¨Ki প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন উচ্ছিষ্ট জমা ও অপসারণ, ধরন অনুযায়ী আবর্জনাকে পৃথক করে সমবায় ভিত্তিতে ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা 8. হাঁচি ও কাশি দেওয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখা, মৃত জীবজন্তু বা শরীরের দূষিত কোন অংশ মাটিতে পুঁতে ফেলা 9. অতিরিক্ত অ্যারোসল ও অন্যান্য সেপ্র ব্যবহার না করা ইত্যাদি।

(গ) পানি দূষণের প্রতিরোধ- পানিকে দূষণমুক্ত রাখতে আমাদের যা যা করা উচিত তা নিম্নরূপ ঃ 1. পানিতে আবর্জনা/কীটনাশক/সার/ডিডিটি/বিষাক্ত দ্রব্য ইত্যাদি না ফেলা 2. Water treatment plant স্থাপনে উদ্বুদ্ধকরণ 3. উপযুক্ত পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা 4. ভূগর্ভস্থ পানির পরিমিত ব্যবহার 5. জমিতে প্রয়োগকৃত সার জলাশয়ে পতিত হওয়ার কারণে সৃষ্ট Eutrophication থেকে জলাশয়গুলোকে রক্ষা করার গুরুত্ব জনগণকে বুঝানো 6. হাজারীবাগ ট্যানারী কর্তৃক বুড়িগঙ্গার পানি দূষণের মতো কোন কলকারখানার বর্জ্যই যেন কোন জলাশয়ে পতিত হতে না পারে সে ব্যাপারে জনমত সৃষ্টি করা 7. কোন কোন এলাকার ভূগর্ভস্থ পানিতে সহনীয় মাত্রার (০.০৫ পিপিএম) অতিরিক্ত আর্সেনিক আছে তা জানা, As এর বিষক্রিয়া সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা এবং প্রয়োজনে দূষণ অঞ্চলের মানচিত্র প্রস্তুত করা 8. পানি দূষণ রোধে †¯^”Qv‡mex উদ্যোগ গ্রহণ করা বা করানো (যেমনঃ বদ্ধ জলাশয়কে কচুরিপানামুক্তকরণ) (ঘ) মাটিকে দূষণমুক্ত রাখা আমাদেরকে মাটিদূষণ রোধেও যত্নবান থাকতে হবে। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত কাজগুলো সম্পাদন করা যায়- 1. প্লাস্টিক ব্যাগ/পলিথিন পরিহার 2. বৃক্ষরোপন, পাহাড় ও উচ্চভূমি রক্ষা ইত্যাদির দ্বারা ভূমিক্ষয় রোধে উদ্বুদ্ধকরণ 3. ভূমিতে অপরিকল্পিত শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের কুফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা 4. রাসায়নিক সার ও বালাইনাশক৫ ব্যবহারে নিরুৎসাহিতকরণ 5. কৃষকদেরকে Rotation of Crops নীতির অনুসরণের গুরুত্ব বুঝানো 6. কৃষকদের জৈব সার ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ 7. গোবর, বিষ্ঠা, উচ্ছিষ্ট ও আবর্জনাকে জৈব সার ও বায়োগ্যাস তৈরিতে কাজে লাগাতে উৎসাহিতকরণ (ঙ) শব্দ দূষণ না করা- শব্দ দূষণ বলতে বুঝায়, পরিমিত শব্দের চেয়ে অতিরিক্ত যে শব্দ আমাদের বিরক্তি উৎপাদন করে এবং যা ¯^v‡¯’¨i পক্ষে ক্ষতিকর। ইংরেজিতে একে বলে “Sound pollution”| ২৫-৪৫ ডেসিবেল মাত্রার শব্দ মানুষের জন্য অধিক উপযোগী। পক্ষান্তরে ৮০-১২০ ডেসিবেল মাত্রার শব্দ পর্যায়ক্রমে একজন মানুষের শ্রবণশক্তি নষ্ট করে দিতে পারে। ৪ শব্দ দূষণ রোধে আমাদের করণীয় কিছু কাজ নিম্নরূপ ঃ 1. অতিরিক্ত শব্দে কথা না বলা, চীৎকার না করা, অট্টহাসি না হাসা ও D”P¯^‡i হাঁচি-কাশি না দেওয়া 2. জোরে রেডিও/ভিডিও/টিভি/গান না বাজানো৫ (প্রয়োজনে, নিজের কানে Ear Phone লাগিয়ে ক্যাসেটের আলোচনা/গান ইত্যাদি শোনা যেন অন্যের অসুবিধা না হয়) 3. হাইড্রোলিক হর্ণের ব্যবহার, যেখানে সেখানে জনসমাবেশ বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অনিয়ন্ত্রিত ও অযাচিতভাবে মাইকের ব্যবহার, নির্মাণ কাজ ও কারখানার উচ্চ শব্দ, ক্যাম্পাসে গোলাগুলি/বোমাবাজী, করিডোরে বিকট আওয়াজে শ্লোগান ইত্যাদির বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করা 4. Personal protection/Engineering Control এর ব্যবস্থা করা (শব্দ শোষক যন্ত্রের ব্যবহার, বায়ু পরিবাহিত শব্দ পথের ওপর প্রতিবন্ধক স্থাপন, মহাসড়ক থেকে কিছুটা দূরে বসবাস ইত্যাদি) (চ) পরিবেশ রক্ষা সংক্রান্ত আইন মেনে চলা- পরিবেশ রক্ষায় সংক্রান্ত সকল আইন ছাত্রছাত্রীদের আক্ষরিকভাবে মেনে চলা উচিত।

রাষ্ট্রীয় আইনের পাশাপাশি নৈতিক বিধানও মেনে চলা প্রয়োজন। আমাদের উচিত- 1. বৃক্ষ কর্তন না করা 2. ধুমপান না করা 3. পলিথিন ব্যবহার না করা 4. ট্রাফিক আইন মেনে চলা 5. বদ্ধ জলাশয়ে বা যত্র-তত্র প্রস্রাব-পায়খানা না করা এবং পরিবেশ নোংরা ও দূষিত না করা (হাদিসে এদুটিকে ‘কবীরা গুনাহ’ বলা হয়েছে। ) 6. পথ থেকে কষ্ট প্রদানকারী/নোংরা বস্তু অপসারণ করে উপযুক্ত স্থানে ফেলা ইত্যাদি। (ছ) পরিবেশগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা- পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। তাই, ছাত্রছাত্রীদের সর্বোচ্চ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পরিচয় দেওয়া উচিত।

এ লক্ষ্যে তাদের কিছু কিছু করণীয় নিম্নরূপ- 1. হলে/মেসে ঃ (ক) বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য ফেলার জন্য বিভিন্ন রঙের লেবেল করা বাক্স রাখা (খ) সবাই যেন বর্জ্যের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট বাক্সে তা ফেলে সে ব্যবস্থা করা (গ) হলের বাগান নষ্ট না করা (ঘ) শব্দ দূষণ না করা 2. বাথরুম ও টয়লেটে- (ক) নিজের কাজ শেষে বাথরুম বা টয়লেটকে অপরের ব্যবহারের উপযোগী করে রাখা (খ) প্রস্রাব-পায়খানার পর বেশি করে পানি ব্যবহার করা 3. কেন্টিন ও ডাইনিং এ- (ক) খাওয়ার টেবিল নোংরা না করা (খ) পানাহারের বস্তুতে দম নেওয়া বা ফু দেওয়া, 4. ক্লাস, ল্যাব ও ফ্যাকাল্টিতে- (ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনকে সহায়তা করা (খ) পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ সকল সম্পদের অপচয় রোধ করা 5. রাস্তাঘাটে- (ক) যেখানে সেখানে নাক পরিষ্কার না করা ও থুথু না ফেলা (খ) হাঁচি দেবার সময় রুমাল ব্যবহার করা (গ) সুগন্ধী ব্যবহার করা (জ) ¯^v¯’¨wewa মেনে চলা- রোগ তথা ¯^v¯’¨nxbZvI বহুলাংশে অসুস্থ পরিবেশের জন্য দায়ী। তাই আমাদের সবাইকে ¯^v¯’¨wewai যথার্থ অনুসরণ করতে হবে। সে লক্ষ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো- 1. খাদ্যাভ্যাসে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আণয়ন ও পরিমিত পরিমাণে সুষম খাদ্য খাওয়া 2. বিশুদ্ধ পানি পান করা 3. নিয়মিত পেট পরিষ্কার রাখা 4. শরীরে ও মুখে দুর্গন্ধ না থাকার ব্যবস্থা করা 5. সংক্রামক ও ছোঁয়াচে রোগ যেন ছড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা করা 6. প্রাথমিক ¯^v¯’¨ পরিচর্যার (First aid) জিনিসপত্র সাথে রাখা ইত্যাদি। (ঝ) সুস্থ রাজনীতি চর্চা অসুস্থ রাজনীতি সুস্থ পরিবেশ গড়ার পথে বড় বাধা। কাজেই সুস্থ রাজনৈতিক ধারা সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অবদান রাখা প্রয়োজন।

যেমনঃ 1. সুস্থ পরিবেশ রক্ষাকে সার্বজনীন রূপ দান করতে হবে। এটির রাজনৈতিক রূপ দান করা উচিত নয়। 2. হরতাল বা বিক্ষোভের সময় টায়ার জ্বালানো কিংবা গাড়ি ভাংচুরসহ এ জাতীয় কাজ পরিহার করতে হবে। 3. সন্ত্রাস, বোমা হামলা, যেখানে সেখানে পোস্টারিং ও ওয়ালরাইটিং ইত্যাদি পরিহার করতে হবে। (ঞ) সামাজিক দায়িত্ব পালন সুস্থ পরিবেশ রক্ষায় সামাজিক দায়িত্ব পালনের গুরুত্বও কোন অংশে কম নয়।

এ বিষয়ে আমাদের নিম্নোক্ত ভূমিকা রাখা উচিত- ১. মানুষকে পরিবেশ দূষণের কুফল ও এর প্রতিকার সম্পর্কে ধারণা প্রদান ২. অপরাধবিরোধী মানসিকতা গঠন ৩. Pollution Control Board ও পরিবেশ আদালত গঠনের প্রচেষ্টা জোরদার করা ৪. দুর্যোগকালীন সময়ে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালন ৫. স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা ঃ • সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, পরিবেশ সংক্রান্ত পোষ্টার/নির্দেশনা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা • বৃক্ষরোপন আন্দোলন পরিচালনা • মানুষকে নির্দিষ্ট স্থানে (ডাস্টবিনে) আবর্জনা ফেলতে উদ্বুদ্ধ করা • পরিবেশ দূষণকারীকে সতর্ক ও লজ্জিত করা • অবসর সময়কে সমাজসেবামূলক/গঠনমূলক কাজে ব্যয় করা • পরিবেশ রক্ষা সংক্রান্ত জ্ঞান বিস্তারে সহায়তা করা • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। (ট) অন্যান্য দায়িত্বসমূহ 1. জীব-বৈচিত্র্য (Biodiversity) সংরক্ষণের প্রচেষ্টা 2. প্রাকৃতিক শক্তি (যেমনঃ প্রবাহবান বায়ু ও পানির শক্তি এবং সৌর শক্তি)-এর ব্যবহার বৃদ্ধি 3. রেডিয়েশনজনিত দূষণ রোধ 4. পরিবেশ রক্ষায় সচেষ্ট বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমনঃ Kyoto protocol এবং Convention on Biological Diversity (CBD) ইত্যাদির গঠনমূলক তৎপরতার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করা। 5. গুলশান, ধানমন্ডি ও আশুলিয়ার লেক ভরাটের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন (BAPA) এর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যেভাবে এগিয়ে এসেছিল সেভাবে যে কোন পরিবেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এগিয়ে Avmv| 6. প্লাস্টিক, কাঁচ, কম্পিউটার ও তৎসংশ্লিষ্ট সামগ্রী, সিডি ইত্যাদিকে ফেলে না দিয়ে Recycle এর জন্য সংরক্ষণ করা ইত্যাদি। শেষকথা পরিবেশকে নিয়ে আমাদের অবহেলা ও অবিবেচকের ন্যায় আচরণের ফলে ইতোমধ্যে অনেক অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। কাজেই আর যেন ক্ষতি না হতে পারে সেদিকে আমাদের প্রত্যেকের যত্নবান থাকা উচিত।

সুস্থ পরিবেশের উপকারিতা বিশেষ কোন গোষ্ঠীর জন্য সীমাবদ্ধ নয়। তাই পরিবেশকে সুস্থ রাখার ¯^v‡_© আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে থাকতে হবে পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের প্রথম সারিতে। তাই আসুন আগামী শতাব্দীর পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্য করে তোলার জন্য পৃথিবীর সকল মানুষ ধনী-দরিদ্র, উত্তর-দড়্গিণ ভেদাভেদ ভুলে জননীতুল্য পৃথিবীর অসিত্মত্ব রড়্গায় এগিয়ে আসি। সেই সাথে রিওডি জেনেরিওর ধরিত্রী সম্মেলন’১৯৯২, কিয়োটা প্রটোকল’১৯৯৭, বিশ্ব টেকসই সম্মেলন’২০০২ সহ বিশ্বব্যাপী সকল পরিবেশ সম্মেলনে গৃহীত প্রসত্মাবনা বাসত্মবায়নে সবাই জাতিসংঘের পতাকাতলে সমবেত হই।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।