আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চ্যাম্পিয়নস লীগ কোয়ার্টার ফাইনাল সেকেন্ড লেগ-একখান রিভিউ

পানি ও বিদ্যুতের অপচয় রোধে এগিয়ে আসুন!

ম্যান ইউ সমর্থক হিসাবে হতাশ এই লন আমার ম্যাচ রিভিউ। বার্সা বনাম আর্সা: (ফলাফল: ৪-১) এই খেলাটারে বলা যায়, বার্সা আর মেসির "তেলেসমাতি" কারবার। বার্সার পাসিং মুভমেন্টের উপযুক্ত জবাব বিশ্ব ফুটবলে এখনো পাওয়া যাইতেছেনা, আর্সেনালও পায় নাই। আর্সেনাল অনেক বেশী ফিজিক্যাল খেলার মন্ত্র নিয়া নামছিল, যেটা কিনা ইংলিশ স্টাইল বলা যায়। কিছুটা কাজেও দিছে এই ট্যাকটিক, কিন্তু মোটের উপর ফেইল।

তাদের পাসিং গেইমের গতি আর আর ফাস্ট পাসিংএর সফলতার হার, এই ২ টাই বার্সা থেকে বেশ অ-নে-ক খানি কম। ফ্যাব্রি আর আরশাভিন থাকলে পরিস্থিতি আরেকটু ভাল হইত, কিন্তু তারপরও বার্সা অনেক আগায়ে। মেসির ড্রিবলিং, বল দখল আর ইঞ্চ-পার্ফেক্ট শুটিং কিংবদন্তির লেভেলে চলে যাইতেছে। যেখানেই পা দেয়, সেখানেই সোনা ফলে। এই স্ট্রাইকার আবার মধ্যমাঠে গিয়া ট্যাকল-ম্যাকল কইরা বল ছিনায়াও আনে প্রায়ই! (এই কাজটা খুব বেশী স্ট্রাইকার করেনা, ওয়েইন রুনি বাদে ) সব মিলায়া, একটা খাঁটি হিরার টুকরা।

জাভি প্রমুখের কথা বাদ দিলে অন্যায় হবে। জাভি জীবনেও একটা ভুল পাস দিছে কিনা এইটা নিয়া অনেক ইতিহাসবিদ ভাবিত। এই প্রসঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটার লালা অমরনাথরে নিয়া একটা রিয়েল লাইফ জোকস মনে পড়ল: ১৯৪৭ সালে ইন্ডিয়া গেছে অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে। ম্যাচ চলতেছে, লালা অমরনাথ যথারীতি মারাত্মক ভাল লাইন লেংথে বোলিং করতেছে। তারে খেলতে গিয়া বিরক্ত এক অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটম্যান বইলাই ফালাইল "ঐ ব্যাটা, জীবনেও কি একটা ফুলটস বল দেস নাই??" লালা মিয়ার ত্বরিৎ জবাব: "দিছি তো! ইন দি ইয়ার অফ ১৯৩৯, আমি এক পাকিস্তানী ব্যাটসম্যানরে ভুলে ফুলটস দিয়া ফেলছিলাম!" তো জাভির হইছে ঐ দশা।

ম্যান ইউ বনাম বায়ার্ন মিউনিখ: ফলাফল: ৩-২ (বায়ার্ন এওয়ে গোল রুলে বিজয়ী) ফুটবল যে শুধু সৌন্দর্যের খেলা নয়, ডিটেইলস এর ও খেলা, এই ম্যাচ সেইটাই দেখায়া দিল। সেই সাথে দেখায়া দিল, ওস্তাদ প্লেয়ার দলে রাখার গুরুত্ব। ম্যান ইউ এর শুরুটা হইছে মারাত্মক--তাদের বডি ল্যাংগুয়েজেই বুঝা যাইতেছিল তাদের "আর্জেন্সি"। প্রথম আধা ঘন্টা বায়ার্ন বলই পায় নাই বলা যায়। ২ উইংগার ন্যানি ভ্যালেন্সিয়া চমৎকার খেলছেন, আর রাফায়েল তো রিবেরিরে মাশাল্লা পকেটে ভইরা রাখছিল ফার্স্ট হাফে।

খেলার মোড় ঘুইরা যায় যখন বায়ার্নের গোলে ৩-০ থেকে ৩-১ হইল, আর যখন রাফায়েল রেড কার্ড পাইল। বায়ার্ন তখনি রক্তের গন্ধ পাইয়া গেছে। একের পর এক ঝটিকা আক্রমণ, আর অবশেষে রোবেনের ওয়ান্ডার স্ট্রাইকের গোল। ডিফেন্স সাজাইতে ম্যান ইউ হালকা ভুল করছিল ঐ কর্ণারে, তাতেই এই দশা। ডিটেইলস ইজ এভরিথিং তবে এলেক্স ফার্গুসন যে মনস্তাত্বিক খেলাটা খেলল ২ দিন ধইরা, সেইটার তারিফ করতেই হয়।

ঐ বুড়া শিয়াল খেলার আগের দিন ঘোষণা দিছে "রুনিরে খেলানোর প্রশ্নই আসেনা, সে ইনজুরড"। আর খেলার ঘন্টাখানেক আগে টিমশীটে রুনীর নাম সবার আগে!! বায়ার্ন যে রুনিরে দেইখা ধাক্কা খাইছে, সেইটা তাদের প্রথমার্ধের খেলায় পরিষ্কার শেষ কথা: বার্সা ইন্টারের লড়াইটা ভাইবা জিভে জল আসতেছে। What happens when an irresistible force meets an immovable object?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।