আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গাছের নাম শাহ আরেফিন ্ও মা কালি

দাগ খতিয়ান নাইতো আমার/ঘুরি আতাইর পাতাইর...

সমবয়সী দুটি গাছের দূরত্ব প্রায় ১৫০ মিটার। অনেকের মতে, বয়সও প্রায় ১৫০ বছর। একটির নাম 'শাহ আরেফিন শাহ' অন্যটির নাম 'মা কালী'। একটির নিচে স্থানীয় হিন্দুরা নিয়মিত মা কালীর বেদিতে পূজা দেয়, অন্যদিকে মুসলমান দরবেশ, ফকির-সাধকরাও বিভিন্ন উৎসবে ওরস করেন শাহ আরেফিন গাছের নিচে। এসবের পাশাপাশি গাছ দুটির ছায়ায় বাজারের ফুটপাতে বসে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন কিছু ব্যবসায়ী।

দুই ধর্মের লোকজন নিয়মিত মনোবাসনা পূরণের জন্য গাছের তলায় বিভিন্ন জিনিস 'মাইনসা' দেন। স্থানীয় অধিবাসী অতুল সেনাপতি জানান, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার প্রাচীন হাট ও এক সময়ের নৌবন্দর সাচনাবাজারের মূল গলির মাঝামাঝি গাছ দুটির অবস্থান। প্রায় ১৫০ বছর আগে বাজার প্রতিষ্ঠার সময় চারটি বটগাছ লাগানো হয়। এর কয়েক বছর পরই দুটি গাছকে কেন্দ্র করে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভিন্ন কিংবদন্তি ছড়িয়ে পড়ে। অন্য দুটি গাছও বহাল তবিয়তে রয়েছে।

সাচনাবাজারের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন বলেন, 'লেংটাকাল থেকেই গাছ দুটি দেখে আসছি। ' তিনি জানান, কথিত আছে মুসলিম সম্প্রদায়ের ফকির-দরবেশরা প্রচার করেন, মুসলমানদের কাছে জিন্দাপীরখ্যাত শাহ আরেফিন তাহিরপুরের গুমাঘাটে যাওয়ার সময় এই গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নেন। এই জনশ্রুতির ওপর ভিত্তি করেই মুসলমান সম্প্রদায়ের পীর-ফকির ও সাধকরা এই গাছকে কেন্দ্র করে ওরস করা শুরু করেন। বিশেষ করে প্রতিবছর শাহ আরেফিনের ওরসের সময় এই গাছকে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এই বটগাছের নাম এখন 'শাহ আরেফিন'।

সাচনাবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পঙ্কজপাল চৌধুরী বলেন, 'হিন্দু ধর্মের লোকজন যুগ যুগ ধরে নিয়মিত মা কালীর পূজা দিচ্ছে। আমরাও ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি মা-বাবারা এই গাছটিকে মা কালী জ্ঞানে পূজা দেন। ' তিনি জানান, সাচনাবাজারের কামাক্ষা রায় বাংলা ১৩৫৯ সালে গাছের চারদিকে ভক্তদের সুবিধার্থে বেষ্টনি দিয়ে দেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।