আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইচ্ছামৃত্যু ও পুনরুত্থান

কবিতা

ইচ্ছামৃত্যু ও পুনরুত্থান (উৎসর্গ: তুষার গায়েন) ইচ্ছামৃত্যু ০৩ মার্চ ১৯৯৯ রাত ১২:৪৫ উড়োজাহাজে করে যাওয়ার যে আশা সেই যাদুকর সেই স্নাইপার মার্চ মাসের রাতের হাওয়ায় গুপ্ত অ্যাস্সাসিন। লুকিয়ে আছে কালো কোটে, নিঃশ্বাসের কাছে ট্রেনে বাসে শিশুদোলনায় রাত্রিকালীন আহারের মাদকতায় পড়ে থাকা ছাতিমগাছের সবুজ পাতায়। ভেসে যাওয়া বোতলের নিচে পাসপোর্টে অক্ষরের পাশে - শিকারসভা রক্তনেশা প্রতি বাঁকে বুবিট্র্যাপ জিঘাংসা - হনন ইচ্ছা । লাগছে যে পরিচয়পত্র তাও মনবিরুদ্ধ নিয়েছে দেহের পোশাক ভাষার আকার দেখছে - সমাপ্তি উড়াল মেঘে মেঘে বায়ু বায়ু মিশে যায় রক্তমাংস শব্দফল উড়ছে হাড়গুঁড়ো পাখি সেজে পড়ে যাওয়া চড়ুইবংশ মৃত্যুনীল। সেই আহ্বান - গিলোটিন কিলিং মেশিন কাটে গলা প্রাণেফোটা পদ্মফুল।

দাঁড়িয়ে আছে যে বিমানবালা - সেও কেমন বিচারক - রায় দেয় স্বরূপ ধ্বংসের। অভিশাপ থাকে ভাষাহীন পড়ে থাকা চিরদিন কলমরহিত। ভরা বাদলে বনঅর্জুন- তমালে পড়ে থাকা অর্ধমুখ মাটিদেশে চিরনিদ্রা- শুধু এক বোতল -রঙিন হাইনেকিন গড়িয়ে পড়ে সমাধির ঘাসে। পুনরুত্থান ০৯ এপ্রিল ২০০৯ সকাল ৪:৩০ যে আবার নিয়ে এলো -সেই ভাষা ভালোবাসা চুক্ষ দেয় মাংস লাগায় বুক ফুঁড়ে ঢুকিয়ে দেয় আতাফল- বাল্মীকিপ্রাণ । মুদ্রাঘোরে- মাটির নিচে ঘুমিয়ে থাকা ইচ্ছামৃত্যু- দশ বছর শত বছর অকৃত্রিম দূরদেশে দক্ষিণাঞ্চল - ভেড়ার পাল জেগে থাকা শুঁড়িখানা দেহমনে মাইজভাণ্ডারি রমনীদের পাগলস্তন- আগুনঘর।

বেদিমূলে কর্মধর্ম -আমাকে তুলে আমাকে খায় সারি সারি ওয়াটেল গাছ - মৃত্যুহীন জনছায়া। ডুবে যাওয়া হলুদ জাহাজ জলপিচ্ছিল প্রেতঘর জানালা ঘেঁষে নাবিকের চন্দ্রগ্রহণ- হারাকিরি। একদিন পাথর কেটে বন্ধুভাষা ডেকে ওঠে আর অমনি চুক্ষ সচল আর বইখাতা মেলে কি অসীম লিখনটান - শব্দফুল ভাষাখেলা। পৃথিবী ঢুকে যাচ্ছে শস্যঘরে- বাক্য হচ্ছে গাছে গাছে পাতা জন্মের শিহরণে লণ্ঠনের আলোয় - শব্দবিশ্ব জলস্বরে। আর মাঠে ময়দানে বল খেলছে ছেলেমেয়েরা আমাকে ডাকছে -আমি দৌড় দিয়ে দরোজা খুলি।

হাতে ব্যাট বল - ঘোড়দৌড় -সহিসের অনুশীলন সামনে আমন্ত্রণ-সরোবর, নদীঘেরা বড়লেখা স্টেশন চোখবুজে যাত্রা করি বাতাসের তালে- অনিবার্য। ১৫/০১২/২০০৯

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।