মানুষকে ভালোবাসতে হবে। অপরের মতকে গুরুত্ব দিতে হবে।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আগে স্বাভাবিক হওয়া প্রয়োজন। তারপর স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচারে হাত দেওয়া উচিত। যুদ্ধাপরাধের ইস্যুটি গুরুত্বপূর্ণ নিঃসন্দেহে; তবে দেশে এই মুহূর্তে হাজারো সমস্যা রেখে এ কাজে হাত দেয়াটা কতটা যুক্তিসংগত হবে, তা ভেবে দেখতে হবে।
বিভিন্ন বিষয়ে জনগণের ভোগান্তি এমন চরমে পৌঁছেছে যে যেকোনো সময় গণবিস্ফোরণ হতে পারে। গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, লাগামহীন দ্রব্যমূল্য, সীমান্তে বিএসএফ পাখির মতো গুলি করে মারছে বাংলাদেশিদের, নগরীতে অসহনীয় যানজটসহ অগণিত সমস্যা যেখানে দেশবাসীকে গিলে খাচ্ছে, সেখানে সরকারের নজর নেই। যার ফল হচ্ছে, একনিষ্ঠ আওয়ামী লীগাররাও আজ সরকারের সমালোচনায় প্রকাশ্য।
এক্ষেত্রে সরকরের উচিত হবে, দেশকে এসব বিষয়ে আগে স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা। তারপর সময় নিয়ে যুদ্ধাপরাধের মতো হাত দেয়া।
দেশকে এমন পরিস্থিতিতে রেখে যুদ্ধাপরাধের মতো বিষয়ে হাত দিলে দেশের পরিস্থিতি আরো অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে সন্দেহ নেই। কারণ, ওই পক্ষটাকে দুর্বল মনে করার কোনো কারণ নেই। তাদের কয়েক লাখ লোক যেকোনো সময় মৃত্যুর জন্য তৈরি আছে বলে শোনা যায়। সুতরাং বিচার শুরুর পরের পরিস্থিতি সরকার কতটা ট্যাকল করতে পারবে এ বিষয়টিও এখনই মাথায় নিতে হবে। এত এত সমস্যার মধ্যে নতুন ও গুরুতর এবং সময়সাপেক্ষ জটিল আরো একটি সমস্যা সরকারের জন্য খাঁড়ার ঘা হয়েই দেখা দেবে সন্দেহ নেই।
মনে রাখতে হবে, বিএনপি এখনো আন্দোলন দানা বাঁধাতে পারছে না। কিন্তু যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি যূথবদ্ধ আন্দোলনে নামবে ঠিকই। কারণ, চার দল মনে করছে সরকার যুদ্ধাপরাধের নামে বিরোধী দলকে দমনের চেষ্টাই করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় আওয়ামী লীগের কারো নাম শোনা যায়নি; যদিও এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কারো কারো সম্পৃক্ততার কথা শোনা যায়।
ইসলামী দলগুলোর পাশাপাশি বিএনপির প্রথম সারির কয়েকজনের নাম ওই তালিকায় থাকার ফলে বিএনপি যে তাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধবে, এ কথা মানতে কারো নারাজ থাকার কথা নয়।
সুতরাং সরকারের উচিত হবে, এমন একটি স্পর্শকাতর ও সময়সাপেক্ষ কাজে হাত দিয়ে লেজেগোবরে না করে আগে দেশের সার্বিক পরিস্থিত স্বাভাবিক করুন। তারপর...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।