বাংলার আলো-জলে ধূলো মেখে বেড়ে ওঠা মুক্তি
সাংবাদিক হিসেবে এক মহান দ্বায়িত্ব (!)পালন করতে আমাকে যেতে হয়ে হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আই.ই.আর ইনষ্টিটিউশনের প্রভাবশালী (!) শিক্ষক ( যিনি কিছুদিন আগে নির্বাচনে সাদা দলের প্র্রার্থী জনাব ওবায়েদ এর কাছে গো হারা হেরেছেন) জনাব চাঁন স্যারের কাছে। মধ্য দুপুরে গনগনে রোদের মধ্যে এক শহীদ পরিবারের খবর নেয়ার জন্য গেলাম তার কাছে....
কিন্তু সে তথন এতই ব্যস্ত যে, আমাদের দিকে তাকিয়ে দেথলেও কথা বলার সময় পেলেন না।
কারণ সে তখন গালগল্পে মেতে উঠেছে দুই লবিংবাজ এর সাথে।যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে জয়েন করার জন্য মরিয়া হয়ে আলাপ করছে তাঁর সাথে।একজন আবার মেয়ে , যে তার মুখোমুখি বসে হাত দুলিয়ে দুলিয়ে চোখ নাচিয়ে নাচিয়ে কথা বলে যাচ্ছে , যে নাকি এক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে জয়েন করেছে......আর আমার শ্রদ্ধেয় স্যার গদির চেয়ারে আয়েস করে হেলান দিয়ে, দু পা ছড়িয়ে মনোযোগ দিয়ে শুনছে তার কথা......
অনেকবার চেষ্টা করেও আমরা তার দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারলাম না।
অবশেষে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর সেখানকার উপস্থিত দুই লবিংবাজ ও স্যারের চেহারাটা হলো দেখার মতো।মিটিংটা শেষ হয়ে গেল তাড়াতাড়ি.........তবে তড়িঘড়ি করে চলে গেল সবাই!!!!
তবে আমাদের কোন লাভ হলো না। আমাদের কথার জবাব পর্যন্ত দিল না , অসময়ে বিরক্ত করায় ক্ষুব্ধ হয়েছে সম্ভবত!!!!!
বাইরে এসে মেয়েটির সাথে কথা বলতে চাইলে সে দ্রুত চলে গেল। ছেলেটিও..... কিন্তু দূরে দাড়িয়ে দেখলাম স্যার বেরোনোর সাথে সাথে তারা আবার দৌড়ে এসে হাটতে হাটতে গল্পে মজে গেল....
আর আমি ও আমার সাংবাদিক বন্ধু হাসলাম কষ্টের হাসি...!!!!!!
এরাই আমাদের সর্বোচ্চ শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী, আর ভবিষ্যতের বিদ্ধিজীবী !!!! জাতির কপাল !!!!
জাতির কপাল খন্ডাবে কে ???????
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।