আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মার্কিন যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশে কেন?



সরকার চট্টগ্রামকে মার্কিন ঘাঁটিতে পরিণত করতে সহায়তা করছে গতকাল মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি আগামী ১৩ মার্চ, ২০১০, চট্টগ্রামে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ‘ইউ.এস.এস প্যাট্টিয়ট’- এর আগমণ নিশ্চিত করেছে। ৬ দিনব্যাপী (১৩ থেকে ১৯ মার্চ, ২০১০) এ সফরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা মার্কিন নৌসেনাদের সাথে প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করবে। মাত্র এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এটি চট্টগ্রামে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ কর্তৃক তৃতীয় পোর্টকল। মার্কিন দূতাবাস কর্তৃক প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে,“এ সমস্ত পোর্টকল প্রমাণ করে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সহায়তা প্রদান এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে দৃঢ় ভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ.....”। কিন্তু, এদেশের মুসলিমদের অনুধাবন করা উচিত যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোন দেশকে সহায়তা দেবার ব্যাপারে এই “দৃঢ় অঙ্গীকার” এর একমাত্র অর্থ হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্রের হীন স্বার্থরক্ষায় সে দেশে মার্কিন দখলদারিত্ব ও পূর্ণ নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠিত করা।

এছাড়া, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা এ সবই হল এ বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব কর্তৃক বহুবার উচ্চারিত সস্তা, পুরনো আর মিথ্যা বুলি। রাসুল (সাঃ) বলেছেন যে,“মুমিনরা এক গর্তে কখনো দু’বার দংশিত হয় না। ” আমাদের অবশ্যই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। মার্কিন সেনাবাহিনীকে দীর্ঘদিন ব্যাপী সহযোগিতা করার ফলশ্র“তিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এখন প্রকৃত অর্থে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি ডিভিশনে পরিণত হয়েছে। দূরদর্শী ব্যক্তিদের কাছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীরও একই ভাগ্য বরণ করার লক্ষণ সুষ্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

উলেখ ্য যে, এই সমস্ত ‘পোর্টকল’ এর অল্প কিছুদিন আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে চট্টগ্রামে মার্কিন নৌবাহিনী এদেশের নৌসেনাদের সাথে “টাইগার শার্ক” নামে এক যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছে। এছাড়া, μুসেডারদের দূতাবাস আরও জানিয়েছে যে, এই ‘পোর্ট কল’ এখানেই শেষ হবে না, বরং এটি একটি সিরিজ কর্মসূচীর অংশ। সুতরাং, এটা এখন স্পষ্ট ভাবে বলা যায় যে, চট্টগ্রামে ঘাঁটি স্থাপন করার পরিকল্পনার পর্যায় অতিμম করে যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে তাদের হীন এই পরিকল্পনাকে দ্রুত বাস্তবায়ন করে চলছে এবং ক্ষমতাসীন দালাল সরকার দেশের মুসলিমদের নিরাপত্তা ভূলুন্ঠিত করে চট্টগ্রামে মার্কিন নৌবাহিনীর ঘাঁটি তৈরীতে সহায়তা করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন প্রতিরোধে এবং এ সরকারকে অপসারণে এদেশের মুসলিমদের দ্রুত রাজনৈতিক সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়া উচিত। সেইসাথে, তাদের খিলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থা পূণঃপ্রতিষ্ঠিত করতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করা উচিত, যে রাষ্ট্র সমস্ত মুসলিম বিশ্বে স্থাপিত মার্কিনীদের ঘাঁটিগুলোকে ধ্বংস করবে এবং মুসলিম উম্মাহ’র উপর মার্কিন দখলদারিত্ব ও আগ্রাসনের অবসান ঘটাবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.