আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিছু চিরন্তন প্রশ্ন ও তার চিরন্তন উত্তর

এক অসাম্প্রদায়িক উজ্জল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি

১। বাংলার মানুষ মুক্তিযুদ্ধ কেন করেছিল? উত্তর: নবম শ্রেণীর বংলা বইয়ে ১টা গল্প ছিল জহীর রায়হানের। নাম "সময়ের প্রয়োজনে"। গল্পটা পড়ে নিয়েন। সেইসাথে পড়তে হবে স্বাধীনতার দলীলপত্রগুলো যদি কেউ সবিস্তারে এবং গভীরভাবে ব্যাপারটা নিয়ে জানতে চান।

তবে সাধারণভাবে ই বোঝা উচিত যে এত বড় একটি বিপ্লব কেন হয়েছিল তখন। যদি কারো উপর কেউ কোন কিছু চাপিয়ে দেয়,তার স্বকীয়তার মূল্যায়ন না করে এবং তাকে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বন্চিত করে তবে ভুক্তভুগী ব্যক্তি বিদ্রোহ করতে বাধ্য। এটা যেমন ব্যক্তির খেত্রে প্রজোয্য তেমনি যেকোন জাতির খেত্রে ও প্রজোয্য। ঠিক এই কারনগুলোর জন্য ই হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ। ২।

কিসের বিরুদ্ধে ছিল সেই যুদ্ধ?অত্যাচারের বিরুদ্ধে? অধিকার আদায়ের লক্ষে? উত্তর: অবশ্য ই পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে যারা ছিল অত্যাচারী,ধর্মান্ধ,কূপমন্দুক আর চরম বাংগালী বিদ্বেষী মনোভাবাসম্পন্ন। প্রাপ্য অধিকার না দিলে তা কেড়ে নিতে হয় প্রক্রিতির নিয়ম অনুযায়ী। ৩। নাকি বিষেশ কোন ধর্মের বিরুদ্ধে? নাকি অন্য কিছু? উত্তর: সত্যি বলতে কী ধর্মীয় দ্রিস্টিভংগীর দিক দিয়ে বাংগালী তখন অনেকবেশি সহনশীল ছিল এখনকার চেয়ে। এটা ছিল অধিকার প্রতিস্ঠার সংগ্রাম।

তাই ধর্মীয় অনুভূতি এখানে প্রাধান্য পায়নি। যদিও,পাকিস্তানী শাসকরা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে মানুষকে নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেছিল। কিছুটা সফল ও হয়েছিল। ধর্মীয় ধুয়া তলে যেসব মানুষকে তারা বাগে আনতে পেরেছিল তাদেরকে তারা নিজেরা ই নাম দিয়েছিল রাজাকার। এই গুটিকয়েক কুশিখ্খীত,ধর্মান্ধ ও ভুল পথে পা বাড়ানো লোকগুলোকে মানুষ ঘ্রিণা করে,কারণ,তারা ধর্মের নামে অধর্মকেই সমর্থন দিয়েছে।

মানবিকতা আর দেশপ্রেম ই যে ধর্ম সেটা তারা অনুধাবন করতে পারেনি....দু;খের বিষয় আজ ও পারেনি। ৪। বাংঙ্গালীরা এবং পাকিস্তানিরা তারা কে কোন অবস্থানে ছিল? উত্তর: বাংগালী সবসময় ই আবেগপ্রবন,সংস্ক্রিতিমনা ও উদার একটি জাতি। আমাদের মাঝে অনেক বুধিজীবী ও প্রতীভাবান ব্যক্তিত্ব তখন ছিলেন। আর পাকিস্তান সবসময় ই একটি যুদ্ধবাজ জাতি।

তারা উষ্ন মস্তিষ্কের অধিকারী। তাদের ইতিহাস ঘেটে দেখুন এখন পর্যন্ত তারা সভ্য হতে পারে নি। হাতে গোনা কয়েকজন বাদে গভীর গ্যানে গুণে কোন রিদ্ধ মানুষ নেই তাদের দেশে। তো ততকালীন সময়ে কূপমন্ডুক,স্বল্প বুদ্ধির উগ্র ও উষ্ন মস্তিষ্কের সামরিক শাসকদের হাতে যখন খমতা গেল তখন তারা যে রিদ্ধ বাংগালীকে কোন দাম ই দেবে না সেটাই স্বভাবিক। তাই তাদের বর্জন ই ছিল সময়ের দাবী।

৫। তখন কয়টি প্রধান দল ছিল যরা রাজনীতি করতেন? উত্তর: ৪ বা ৫ টা ছিল। আওয়ামীলীগ ছিল প্রধাণ,জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে বড় দল। এছাড়া ছিল বামপন্থী সমাজতান্ত্রিক দল,ন্যাপ,জামায়াত ইসলামী,মুসলীম লীগ ইত্যাদি। একটা কথা কী জানেন,বাংগালীর সবচেয়ে বড় দোষ হল অনৈক্য।

তখন হয়তো কোন একটি রাজনৈতিক দলকে নেত্রিত্ব দিতে হয়েছিল সময়ের দাবীতে। এবং সেটি ছিল আওমীলীগ। এজন্য অবশ্য ই তারা প্রশংসা পাওয়ার দাবিদার। তার মানে এই নয় যে স্বাধীনতা তাদের একক কোন সম্পত্তি। কারন এর মূল সৈনিকরা ছিল বাংলার আপামর জনসাধারণ।

যেহেতু বহিশক্তির সাথে আমাদের লড়তে হয়েছে তাই ঐ পরিস্থিতিতে আমাদের ঐক্যটা সহজ হয়েছিল। যখন লড়াই শেষ হল তখন আবার আমাদের চরিত্রগত অনৈক্যটা প্রকটিত হল। ৬। কারা যুদ্ধাপরাধী? যদি তারা সত্যিই অপরাধী হয়, আর যথাযত প্রমান থাকে। তাহলে মুক্তি যুদ্ধের এত বছর পরেও কেন তাদের বিচার কেউ করতে পারেনি? তারাকি এতই ক্ষমতা বান? উত্তর: জি তারা এত ই খমতাবান।

এবং তাদের ঐ খমতার আসনে আমরাই বসিয়েছি গুটিকয়েক যারা লোভী মানুষ। আপনি জানেন না,টাকায় বাঘের চোখ ও মেলে?আমাদের মত হতদরিদ্র একটি দেশে যে কারো পখ্খে আদর্শ কে বিকিয়ে দেয়া সম্ভব। তাদের বিরুদ্ধে যথেস্ঠ সঠিক তথ্য প্রমান আছে। এত বছরেও বিচার সম্ভব হয়নি কারন খমতায় ছিল সেই সব লোভী মানুষের দল যাদের কাছে আদর্শের কোন দাম নেই। তবে আমি সন্দিহান অয়ামীলীগ সরকার ও এদের বিচার করতে পারবে কিনা,কারন কোন কোন খেত্রে মুদ্রার আরেক পিঠের মত আচরণ করে আওয়ামীলীগ।

যদি ওরা করতে পারে ত বুঝতে হবে ,না এখন ও কিছু আদর্শবান মানুষ আমাদের দেশে আছে। আর যদি না করে বুঝতে হবে,এটা ওদের খমতায় যাবার ১টা নির্বাচনী ইস্যু মাত্র। আমি আপনাদের কোন তথ্য বা রেফারেন্স দিতে পারলামনা বলে দু;খিত। আসলে এটি আমার ব্যক্তিগত উপলুব্ধি। যতটা সম্ভব নিরপেখখ দ্রিস্টিকোণ থেকে দেখার চেস্টা করেছি।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।