আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কটকা ট্রাজেডি দিবস আজ



১৩ই মার্চ, তারিখটা শুনলেই সবার আগে মনের পর্দায় ভেসে আছে কিছু স্মৃতি, কিছু মুখ। যাদেরকে আমরা হারিয়েছিলাম ২০০৪ সালের এই দিনে। ২০০৪ সালের ১১ মার্চ ২০০৪ সন্ধ্যা বেলায় খুলনার ফরেষ্ট ঘাট থেকে লঞ্চে ওঠে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের ছাত্র-ছাত্রীরা, উদ্দেশ্য - সুন্দরবন সফর। ট্যুরে তাদের সঙ্গি হয় বুয়েটের ও দুইজন শিক্ষার্থী। সুন্দরবনে পৌছে ওরা সবাই মেতে ওঠে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে, ঘুরতে ঘুরতে পৌছে যায় কটকা সমুদ্র সৈকতে।

আর তখনই সত্যি সত্যি প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গেল ১১ জন প্রকৌশলি যাদের মধ্যে ৯ জন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার ডিসিপ্লিনের এবং বাকি দুইজন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর। সেদিনটি ও ছিল শনিবার। রাত ৯টা নাগাদ আমরা সংবাদ পাই এই দূর্ঘটনার, তখন ও কোন ডেডবডি খুঁজে পাওয়া যায়নি। গুজব রটে গেল ২৬ জন নিখোঁজ। রাত ১ টা নাগাদ আমরা কাওছার ভাই ও রুপা আপুর ডেডবডি খুঁজে পাওয়ার সংবাদ পাই, আমরা তখন অপেক্ষা করছি মোংলা পোর্টে।

ফজরের আজানের সময় রুপা আপু আর কাউছার ভাই এর ডেডবডি নিয়ে আমরা পৌছাই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। কেউ ভাবতেই পারছিলাম না, বৃহস্পতিবার যারা আমাদের সাথে কথা বলেছে, তপন দার দোকানে বসে চা খেয়েছি এক সাথে তারা আজ নিথর হয়ে পড়ে আছে আমাদের সামনে। অনেক ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে তাদের দু'জনের জানাযা নামায পড়লাম, দুপুর নাগাদ আর ও ছয় জনের ডেডবডি উদ্ধারের খবর পেয়ে আবার ও মোংলা এবং রাতে পেলাম বাকি তিনজনের ডেড বডি। --------------- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিনটিকে 'খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস' হিসাবে ঘোষনা করেছে। ছাত্র ছাত্রীদের দাবীর মুখে স্থাপিত হয়েছে কটকা স্মৃতিসৌধ - কটকা ট্রাজেডির এই দিনে নয় শুধু, রুপা, কাওছার, নিপুন, শুভ, তোহা সহ তোমরা সবাই রবে আমাদের স্মৃতিতে অম্লান, আজীবন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।