আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশে নিরাময়-অযোগ্য অন্ধত্ব বাড়ছে সচেতনতার অভাবে

চোখের যত্ন নিন

আহমেদ আল আমীন | এক দশক আগে এক জরিপে দেখা গিয়েছিল, দেশে ১০ লাখ মানুষ চোখের উচ্চচাপজনিত রোগ ‘গ্লকোমা’তে ভুগছে। চোখের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ আই কেয়ার সোসাইটির ওই সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছিল, ৯০ শতাংশ মানুষ চোখের এই রোগের নামই শোনেনি। চক্ষু বিশেষজ্ঞরা এখন বলছেন, পয়ত্রিশোর্ধ্ব মানুষের তিন শতাংশ এ রোগে আক্রান্ত। দিন দিন এ হার বাড়ছে। চক্ষুসেবার জাতীয় পরিকল্পনা ‘ভিশন ২০২০’-এ ছানিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্লকোমার ব্যাপারেও সচেতনতা তৈরি না করলে পরিকল্পনা সফল হবে না। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের মতো গ্লকোমা রোগীকেও যথাযথ চিকিত্সার পরামর্শ দেওয়া প্রয়োজন। চোখের বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকেরা বলেছেন, গ্লকোমাতে আক্রান্ত ৮০ শতাংশ রোগী উপসর্গ বুঝতে পারেন না। ফলে রোগী ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলেন। এ অন্ধত্ব নিরাময়ের কোনো চিকিত্সা নেই।

তবে শুরুতেই শনাক্ত করে চিকিত্সা শুরু করলে চোখের সুস্থ অংশকে গ্লকোমা থেকে রক্ষা করা সম্ভব। দৃষ্টিশক্তি যেটুকু থাকে, তা ধরে রাখার জন্যই চিকিত্সার প্রয়োজন। আজ ১২ মার্চ বিশ্ব গ্লকোমা দিবস। এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে ৭ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত পালিত হচ্ছে বিশ্ব গ্লকোমা সপ্তাহ। বিশ্ব গ্লকোমা সমিতির উদ্যোগে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে এ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।

চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ গ্লকোমা সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এম নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রোগের শুরুতে চোখের দুই পাশে দৃষ্টির পরিসীমা ছোট হতে থাকে। চোখের উচ্চচাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই পাশজুড়ে অন্ধকার বাড়তে থাকে। একসময় কেবল সামনের দিকেই কিছু দেখা যায়। এরপর ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি একেবারে হারিয়ে যায়। নজরুল ইসলাম আরও বলেন, পয়ত্রিশোর্ধ্ব মানুষ এ রোগের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন।

তিনি বলেন, ‘ভিশন ২০২০’-এর মতো কর্মসূচিতে এ ব্যাপারে আরও পরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন। জাতীয় চক্ষুসেবা কেন্দ্রের লাইন ডিরেক্টর দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, গত ১০ বছরে গ্লকোমাতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ ব্যাপারে নতুন একটি জরিপ হওয়া প্রয়োজন। ছানিজনিত সমস্যার মতো গ্লকোমার ব্যাপারেও সমান গুরুত্ব দেওয়া দরকার। তিনি জানান, চোখের রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সার জন্য দেশের ২০টি জেলা হাসপাতালে এরই মধ্যে অবকাঠামো ও জনশক্তি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তাতে গ্লকোমা নির্ণয় ও চিকিত্সার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আরও জনসচেতনতা বাড়ানো এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। সুত্রঃ প্রথম আলো, ১৩ মার্চ ২০১০

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.