আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গয়েশ্বরকে কি বিএনপি থেকে বহিস্কার করা উচিৎ?

http://www.facebook.com/Kobitar.Khata

"আমরা কেউ তারেক রহমানের শক্র নই। কিন্তু তার কাছে অতি আপন হওয়ার মতো অতীত প্রবণতা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। জনগণের কাছে ভাবমূর্তি খারাপ এমন নেতাদের মুখে তারেকের অতি প্রশংসা কিংবা বন্দনা ভালো নয়, শুভ নয়। "-গয়েশ্বর। বিএনপি হলো এমন একটি রাজনীতিক দল যারা নিজেরা দাবী করে তারা বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা।

কিন্তু তাদের নিজেরদের দলের মধ্যে কখনই গণতন্ত্রের ''গ'' ও ছিল না, এখনও নাই। (আমরা লেখা পড়ে অনেকেই হয় তো ইতিমধ্যে ভেবে বসেছেন আমি আওয়ামী লীগের লোক। কারণ আমাদের দেশের কিছু মানুষ আছে যারা একদলের কোন সমালোচনা করলে মনে করে সে নিশ্চয় অন্য দলের লোক। এমন যারা মনে করছেন তারা প্রথমে লেখাটি পড়ুন। তারপর কমেন্ট করুন।

) আওয়ামী লীগ ও বিএনপির গঠনতন্ত্রের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য হলো, আওয়ামী লীগ নেত্রী ইচ্ছে করলেই দল থেকে কাউকে বহিস্কার করতে পারবেন না। দলের কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে ঠিক করা হয় কে দলে থাকবে বা বহিস্কার হবে। কিন্তু বিএনপির গঠনতন্ত্র হলো একদম স্বৈরাচারী কায়দার। বিএনপি নেত্রী যাকে যখন ইচ্ছে একক ক্ষমতাবলে বহিস্কার করতে পারবেন। মনে আছে? যেদিন খালেদা জিয়াকে এরেস্ট করা হলো সেদিন জেলে যাওয়ার আগে তিনি একটি একটি চিঠি দিয়ে মান্নান ভূইয়াকে বহিস্কার করে দিয়ে গিয়েছিলেন? আপনি যে দলই করুন অথবা না করুন, চোখ বন্ধ করে একবার ভাবুন তো এটা কি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হতে পারে? বিএনপির আরেকটি সমস্যা হলো দলের বিপক্ষে কেউ কোন কথা বলে দলে থাকতে পারে না।

যারা সব সময় নেত্রীকে হুজুর হুজুর করে চলে তারাই শুধু দলে থাকার যোগ্য। ৪/৫ মাস আগে তানভির সিদ্দিকির ছেলে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি নেত্রীর নামে কিছু কটু কথা বলে। সে নাকি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের জন্য মনোনয়নের ব্যপারে খালেদা জিয়ার কাছে গিয়েছিল। খালেদা তার কাছে এর জন্য চাঁদা দাবী করে বলে সে জানায়। আর ছেলের এই অপরাধের জন্য বাবাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল।

অথচ আওয়ামী লীগে জলিল, আমুরা হাসিনার বিরুদ্ধে অনেক কটু কথা বলেও দলে টিকে আছে। আজ গয়েশ্বর যে কথা বলেছে এটা খুবই ভাল একটি কথা বলেছে। ভাল কথা বলার জন্য তার ভাগ্যে কি আছে দেখা যাক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।