বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০ এপ্রিল তাঁদের তিনজনকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
অন্য দুজন হলেন বিএনপিপন্থী চিকিত্সকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সহসভাপতি এম সালাম এবং মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
আদালত অবমাননার অভিযোগে এই তিনজনের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তাঁদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত রায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম আলোসহ একাধিক দৈনিকে ‘সব কোর্টই মুজিব কোটের পকেটে বন্দী: গয়েশ্বর’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এটি বিবেচনায় নিয়ে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আজ রুল দেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছিলেন, ‘জজ কোর্ট, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট—সব কোর্টই এখন মুজিব কোটের পকেটে বন্দী।
এই পকেট ছিঁড়তে না পারলে কেউ ন্যায়বিচার পাবে না, বিচারকদের বিবেক জাগ্রত হবে না। ’ গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও পত্রিকাটি খুলে দেওয়ার দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ড্যাব এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
গয়েশ্বর রায়ের দাবি, বিচারকেরা আইনজীবীদের শুনানি শোনেন না। কারণ, তাঁরা সে অনুযায়ী রায় লিখতে পারেন না।
বরং তাঁরা একটি ইশারার আশায় বসে থাকেন। সেই ইশারা এলে সে অনুযায়ী রায় লিখতে হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।